Saturday, December 31, 2016

মেয়েটা 
প্রসূন সমাজদ্বার, ইসলামপুর, উত্তর দিনাজপুর

ঘিরে আছে শ্যাওলা অন্ধকার। পিছলে যায় সময়, শব্দ মিসাইল 'বেচারী'। ছিঁবড়ে, বাতিল' ঘ্যানঘ্যানে কথার পাহাড় শরীর থেঁতো করেছে অনেক। অথচ পূর্ণিমা আজও সবুজ। চারিদিকে কবিতার ইলশেগুড়ি। শিশিরের ফোঁটায়, হিমেল চাদরে কবিতা। মেঠো রোদের আলপথে আছড়ে পড়ার সাথে কবিতা। এমনকি জানালার খাঁজে পিঁপড়ে সারির লুকিয়ে পড়াতে ও ছন্দ। ছন্দহীন শুধু মেয়েটি। আঃ।! নতুন ধানের গন্ধে হুটোপাটি বাতাস, মিঠে রোদ্দুরের। কুয়াশার ছাঁকনি বেয়ে চাঁদের ঘাম থিতিয়ে যাচ্ছে সর্ষে খেতে। মেয়েটির বুকে শুধু আলো নেই। পাপোশের মত ছেঁড়া। হিংস্র কাঁকড়ার দাঁড়ায় নীল বিষ। খুবলে নেবার সময় তীব্র যন্ত্রণায় মেয়েটি অনুভব করেছিলো চাঁদ ও নীল হয়ে গেছে। কি জানি। এখন তো আড়ি। ও আর খালের ধারে আলপথে ঘাসের কণায় কবিতা কুড়োয়  না। বদলে ওর ঘিরে থাকা থাকথাক ছায়ায়। মরা, ঘোলাটে, সাদা - সাদা। বিশ্বাসের ঘরে ও দেখেছে সূর্যের ছায়া। ঘৃণায় গুঁড়ো গুঁড়ো হয়েছে স্বত্তা। তারপর মিশে গেছে নিষ্প্রাণ, নিস্তেজ অন্ধকারের পথে। ক্ষতচিহ্নগুলো শরীর ভেদ করে বাসা তুলেছে মনের অসীমতায়। নড়ে গেছে 'আমি' ভিত। অন্ধকারে লাট খেতে খেতে হারিয়েছে মেয়েটি, মেয়েটির সাথে ওর কবিতা। এখন তাই  ঠিকানা c/o হলদে শীতল ঘরের কোণ। 

No comments:

Post a Comment