Saturday, December 31, 2016

জোনাকির মৃত্যু
ফিরোজ আখতার
==============
 
একটি জোনাকি মরেছে,
দেহটা নীল হয়ে গেছে-
আলো কিন্তু নেভেনি তার
দূর করছে রাতের আঁধার ।
 
রাতের পোকাটা মরেছে,
টিমটিম করে জ্বলছে মরণ-
আলোটা শুধু নিভছে জ্বলছে
শেষ হয়েছে জীবনের রসায়ন ।
 
জীবনটা যেন হয় জোনাকির মতন
মরণের পরেও যেন জ্বলে ওঠে চেতন …
দূর করে দিতে সকল আঁধার
ঝলসে উঠুক জীবন বারবার ।
সামলে রেখো
              নরেশ রায়

এক অচেনা আজনবি
শহরে যেন আগন্তুক
পা মেপে মেপে পা ফেলে ফেলে
চলেছি অভিযাত্রীর মত l
একটা চেনা গন্ধ যেন
কার উপস্থিতির দিচ্ছে
সবুজ সংকেত নীরবে
চেনা গন্ধে চারদিক ম ম l
নতুন শহরে নিজেকেই
কেমন ছদ্মবেশী মনেহয়
যেন সদ্য পৃথিবী আগমন
হোক ছয়ষষ্ঠি নামকরণ l
কিন্তু বারেবারেই পড়ি ধরা
তোমার হাতে হাতেনাতে
এমনি করেই আগলে রেখো
সামলে রেখো বিবেকটাকেl
মেয়েটা 
প্রসূন সমাজদ্বার, ইসলামপুর, উত্তর দিনাজপুর

ঘিরে আছে শ্যাওলা অন্ধকার। পিছলে যায় সময়, শব্দ মিসাইল 'বেচারী'। ছিঁবড়ে, বাতিল' ঘ্যানঘ্যানে কথার পাহাড় শরীর থেঁতো করেছে অনেক। অথচ পূর্ণিমা আজও সবুজ। চারিদিকে কবিতার ইলশেগুড়ি। শিশিরের ফোঁটায়, হিমেল চাদরে কবিতা। মেঠো রোদের আলপথে আছড়ে পড়ার সাথে কবিতা। এমনকি জানালার খাঁজে পিঁপড়ে সারির লুকিয়ে পড়াতে ও ছন্দ। ছন্দহীন শুধু মেয়েটি। আঃ।! নতুন ধানের গন্ধে হুটোপাটি বাতাস, মিঠে রোদ্দুরের। কুয়াশার ছাঁকনি বেয়ে চাঁদের ঘাম থিতিয়ে যাচ্ছে সর্ষে খেতে। মেয়েটির বুকে শুধু আলো নেই। পাপোশের মত ছেঁড়া। হিংস্র কাঁকড়ার দাঁড়ায় নীল বিষ। খুবলে নেবার সময় তীব্র যন্ত্রণায় মেয়েটি অনুভব করেছিলো চাঁদ ও নীল হয়ে গেছে। কি জানি। এখন তো আড়ি। ও আর খালের ধারে আলপথে ঘাসের কণায় কবিতা কুড়োয়  না। বদলে ওর ঘিরে থাকা থাকথাক ছায়ায়। মরা, ঘোলাটে, সাদা - সাদা। বিশ্বাসের ঘরে ও দেখেছে সূর্যের ছায়া। ঘৃণায় গুঁড়ো গুঁড়ো হয়েছে স্বত্তা। তারপর মিশে গেছে নিষ্প্রাণ, নিস্তেজ অন্ধকারের পথে। ক্ষতচিহ্নগুলো শরীর ভেদ করে বাসা তুলেছে মনের অসীমতায়। নড়ে গেছে 'আমি' ভিত। অন্ধকারে লাট খেতে খেতে হারিয়েছে মেয়েটি, মেয়েটির সাথে ওর কবিতা। এখন তাই  ঠিকানা c/o হলদে শীতল ঘরের কোণ। 

কোন প্রশ্ন নয়
অর্ণব গড়াই

আজ কোন প্রশ্ন করোনাশুধু আমার আদর নাও
যদি মেঘেরা তোমায় তার মেঘবালিকা বানায়
তুমি কোন প্রশ্ন করোনা।
আজ শুধুই আমাকে আপন করোভুলে যেও সব ঘৃনা

যদি বৃষ্টির জল ধুয়ে দেয় তোমার সব অভিমান,
তুমি শুধু কোন প্রশ্ন করোনাকেবলই উষ্ণতা দূর করো।
আমরা তো বেশ ছিলামদুজন দুজনাতেই মুগ্ধ
তবে কেন বিশ্বাসের প্রাচীর ভেদ হলো অবিশ্বাসের হানায়
যদি লিপ্ত হয় কোন কালিমায়তবুও তুমি কোন প্রশ্ন করোনা।
অবজ্ঞারা আজ উপেক্ষিত হোকসব মলিনতা যাক ধুয়ে
ফেলে আসা সময় হয়ত আসবে না আর,
তবু আগামীর স্বার্থে তুমি আজ কোন প্রশ্ন করোনা ।।
ধন্যবাদান্তে 
অর্ণব গরাই

Saturday, December 24, 2016

।। আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে




"মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা"র 




নতুন ব্লগ নতুন বছরের প্রথম দিনে।।