Monday, July 10, 2017
















প্রবন্ধ 

স্বাধীনতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদ
সুকান্ত পাল
.
স্বাধীনতা শব্দটি স্ব + অধীনতা -এর মিলনে গঠিত যার আক্ষরিক অর্থ হল নিজের অধীনে থাকা। সেই প্রসঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার সঠিক মূল্যায়ন করলে সবসময় একটা প্রশ্নচিহ্ন থেকে যায় আমার মনের মাঝে, " আমরা আদেও স্বাধীন হতে পেরেছি তো " ? মনের মাঝে দ্বন্দ্ব যাই থাকুক না কেন, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস ঘাটলে অনেক বড় বড় কথাই ইতিহাসের পাতায় মুক্তাক্ষরে দেখতে পাবেন | অনেক সামান্য ঘটনাও যে বড় ব্যাপার হয়ে উঠেছে তা বিচার বুদ্ধি দিয়ে বিশ্লেষণ করলেই বুঝতে পারবেন। ঘটনাগুলি এমনভাবে সব সাজানো হয়েছে যে, দেখলেই  মনে হয় হিন্দু-মুসলমান, খ্রিস্টান-বৌদ্ধ নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ একসাথে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল | কিন্তু বাস্তবে সত্যি কি তাই ? আসুন দেখা যাক আমার কলম আর আপনাদের বোধ-বুদ্ধি কি বলে ?
প্রথমেই আসি মহাবিদ্রোহ প্রসঙ্গে। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রহে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ একজোটে ব্রিটিশ বিরোধিতা করেছিল। বিভিন্ন ঐতিহাসিক এটাকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে সগর্বে প্রচার করে থাকলেও, ঘটনাটা কি আদেও ঠিক ? সামান্য এক গুজবে কান দিয়ে তৎকালীন সমাজের সিপাহীরা ধর্ম সংকোটে পড়ে যায় ! শোনা যায় গরু আর শুওরের চর্বি মিশ্রিত কার্তুজ দাঁতে কাটবার ফলেই নাকি  হিন্দু ও মুসলমানের ধর্মানুভুতি আহত হয়েছিল | আর তাই জাত খোয়ানোর ভয়ে তাঁরা এন্ডফিল রাইফেল ব্যবহার করতে আপত্তি জানিয়ে সিপাহী বিদ্রোহের সূচনা করে | সিপাহীরা এরপর ব্রিটিশ নারী পুরুষদের হত্যা করতে লাগলো | যদিও সামান্য গরু আর শুওরের চর্বি মিশ্রিত কার্তুজ দাঁতে কেটে জাত খুয়ানোর চেয়ে মানুষের প্রানের দাম অ-নে-ক কমই হয়ে উঠে সিপাহীদের কাছে, তাই এই বিদ্রোহটা ভারতের একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বলা চলে | প্রতিটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যেমন ধর্ম নিয়ে শুরু হয় , তেমনি এটাও শুরু হয়েছিল মূলত ধর্ম হারানোর ভয় নিয়ে | আর দেশীয় রাজারা এই সুযোগে ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমে গেলেন । ঠিক আজকের পলিটিশিয়ানদের সাথে এর মিল পাওয়া যায় | এই বিদ্রোহে বিদ্রোহী সিপাহীরা যে অমানবিক নির্দয়তার পরিচয় দিয়েছিল নিরীহ ইংরেজ নারী-পুরুষদের হত্যার মাধ্যমে, তার সাথে ৪৭ এর দাঙ্গা, গুজরাটের গোধরার দাঙ্গা, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর মুম্বাইয়ের দাঙ্গার বেশ মিল পাওয়া যায় | মিলটা হলো ধর্মানুভুতি আহত হলেই নরহত্যা করে প্রতিশোধ নেয়া হবে | সিপাহিদের নিরীহ ইংরাজ নারী পুরুষ হত্যার কথাটা কিন্তু ফলাও করে কখনো বলা বা লেখা হয় না ইতিহাসের পাতায় | বরং হলওয়েলের অন্ধকূপ হত্যার তত্ব যে বানানো কথা সেটা প্রমান করতে সবাই উঠেপড়ে লেগে যান | এমনকি মঙ্গল পান্ডের ফাঁসির উপরে সিনেমা বানানো হয় | তাছাড়া তো সাম্প্রতিক বজরঙ্গী ভাইজান তো আছেই। আসলে নানা সাহেব-তাতিয়া টুপি-রানী লক্ষীবাই, ইত্যাদি দেশীয় রাজন্যবর্গ যে নিজ নিজ রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে তত্পর সেদিকে ইতিহাস ফিরেও দেখেনা বরং ফলাও করে রানী লক্ষী-বাই তাঁর ঝাঁসীর দুর্গ রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারান সে খবর আমাদের কাছে তুলে ধরে| দমনের শেষ পর্বে বাকি সমস্ত রাজারা তাদের নিজেদের সময় সুবিধা মাফিক ইংরেজদের দলে ভিড়ে গেলেন | ব্যাস, মহাবিদ্রোহের ঐখানেই শেষ | চলুন এবার যাওয়া যাক তৎকালীন পরাধীন ভারতের রাজনৈতিক পার্টির প্রসঙ্গে । সেই সময় পরাধীন ভারতে বেশ কয়েকটি পার্টি ছিল | প্রত্যেকের পৃথক পৃথক উদ্দেশ্য ছিল | আমি পার্টি গুলো ও তাদের উদ্দেশ্যকে পর পর সাজিয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা করছি.
 প্রথমেই বলা চলে কংগ্রেসের কথা | এই দলটি অ্যালেন অক্টাভিয়ান হিউম নামক এক ব্রিটিশ তৈরী করেছিল | এর মূল উদ্দেশ্যটাই ছিল সেফটি ভালভের মতো কাজ করা | অর্থাৎ দেশীয় জনতার যত রাগ বা ক্ষোভ আছে সব শান্তিপূর্ণ ভাবে বের করে দেয়াই এই দলটির প্রধান ও মুখ্য কাজ | এরপরে ১৯০৬ সালে তৈরী হয় মুসলিম লীগ | এই দলটির মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল মুসলিমদের ধর্ম , ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির রক্ষা করা | এছাড়া এর দ্বিতীয় কোনো উদ্দেশ্য ছিল না | সম্ভবত এটি ভারতের প্রথম ধর্মীয় রাজনৈতিক দল | এই দলটিকে ইংরেজরা এসেম্বলির সদস্য করে | প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে এর উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ প্রশাসনে মুসলিম যুবকদের বেশি করে ঢোকানো | তাই এরা বেশি বেশি মুসলিম যুবকদের প্রশাসনে ঢোকায় | ব্রিটিশদের সাথে এদের ভালো সম্পর্ক ছিল | ৮০% মুসলিম এর কথায় চলত | আর তাই  ব্রিটিশ বিরোধী সহিংস আন্দোলনে এরা অংশ নেয় নি । মুসলিম লীগের এইরকম আগ্রাসী মনোভাব হিন্দুদের ভীত করে তোলে | দেশটা আবার মুসলিমদের হাতে চলে যাবার ভয় যত না ছিল তার চেয়ে বেশি ধর্মের ভয় | সেই ভয় থেকে ১৯০৯ সালে জন্ম নেয় হিন্দু মহাসভা | এই দলটির উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু ধর্ম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করা | এটি দ্বিতীয় ধর্মীয় রজনৈতিক দল | কংগ্রেসের সাথে এই দলটি প্রতিযোগিতা করতে শুরু করে | এর উদ্দেশ্য ছিল প্রশাসনে হিন্দু যুবকদের বেশি করে ঢোকানো | এরই একটা সাথী ছিল, বা বলা যেতে পারে অ্যাকশন গ্রুপ ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ , যা ১৯২৫ সালে তৈরী হয় | এই হিন্দু মহাসভার সদস্য ডক্টর বি কে মুঞ্জে লন্ডনে গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দিতে যান | ফেরার পথে ইতালিতে মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী কার্যকলাপে আকৃষ্ট হন এবং হিন্দু যুবকদের সমরশিক্ষা দানের জন্য সেন্ট্রাল হিন্দু মিলিটারি একাডেমী তৈরী করেন | এছাড়া আর এস এসের গুরু সদাশিব গোলওয়াল্কর হিটলারের আর্য রক্তের কনসেপ্টকে খুব পছন্দ করেন | হিন্দু মহাসভার সাভার্কারের নেতৃত্বে অহিন্দুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয় |হিন্দু মহাসভা পাঞ্জাব ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে মুসলমানদের ও শিখদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কার্যকলাপ শুরু করে যা পরে দেশভাগের জমি প্রস্তুত করে | এরাও ব্রিটিশ সরকারের সাথে সহযোগিতাই করেছিল | ব্রিটিশ এদেরকেও এসেম্বলির সদস্য করে | ব্রিটিশ বিরোধী সহিংস আন্দোলনে এরা অংশ নেয় নি | প্রায় ৮০% হিন্দু এদের কথায় চলত । এই দুই দলের কার্যকলাপ একটা বিষয় পরিস্কার করে যে কেন ভারতে সহিংস বিপ্লবীর সংখ্যা এত কম ছিল | ধর্মই আমাদের ব্রিটিশের বিরোধিতা করতে দেয় নি | যদি দিত তাহলে আমরা আরো আগে স্বাধীন হতাম | ভালো রে ভাই ভালো ,  ধর্মই বেঁচে থাক চিরকাল, মানুষ আর সমাজ না হয় চুলোয় যাক | গোপন সুত্রে জানা যায় এই হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লীগের ছেলেদের ব্রিটিশ প্রশাসনে অনুপ্রবেশ দেশভাগে সহায়তা করেছিল ] এই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যে হাস্যকর রকমের প্রতিযোগিতা চলছিল তা বলা-বাহুল্য  | কংগ্রেসের ভারত ছাড় আন্দোলনে হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লীগ কেউই অংশ নেই নি | কংগ্রেসের তেরঙ্গা ঝান্ডা হিন্দু মহাসভা সমর্থন করে নি, তারা চেয়েছিল গেরুয়া ঝান্ডা | কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানও হিন্দু মহাসভা পছন্দ করে নি | তারা চেয়েছিল মনুসংহিতার আদলে সংবিধান | আর এস এসের সদস্য নাথুরাম গড সে তো কংগ্রেসের গান্ধীকে হত্যাই করলো | মুসলিম লীগ খিলাফত আন্দোলনেও অংশ নেয় নি , যেহেতু সেটা ব্রিটিশ বিরোধী ছিল | তারা এর বিরোধিতা করে | কংগ্রেস অখন্ড ভারত চাইলে মুসলিম লীগ পাকিস্তান চায় | আবার হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লীগের উগ্র ধর্মীয় কার্যকলাপের বিরোধিতা করে কংগ্রেস | সব মিলিয়ে আজকের রাজনৈতিক পার্টিদের কোন্দলের মতই পরিস্থিতি | স্বদেশপ্রেম, স্বাধীনতা ইত্যাদির কোনো গল্পই ছিল না । 
চলুন এবার ভারতের সহিংস আন্দোলন কেমন ছিল দেখা যাক | ভারতের সহিংস আন্দোলন শুরু হয় ১৮৫৭র মহাযুদ্ধ দিয়ে | সেটা যে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক কারণে হয়েছিল সেটা তো আগেই বলেছি | এরপরে সহিংস আন্দোলনে বাংলার বিপ্লবীদের কথা আসে | ১৯০৫ সালে অনুশীলন সমিতি ঢাকায় তৈরী হয় ৮০ জন হিন্দু যুবককে নিয়ে| এই সমিতির সদস্যরা ব্রিটিশদের উপর সহিংস হামলা করত । চাপেকার ভাইরা মহারাষ্ট্রে রান্ড আর আয়ার্স্ট নাম দুই ইংরাজকে মেরেছিল। ভগত সিং এন্ড কোং পাঞ্জাবে পার্লামেন্ট-এ বোম মেরেছিল । এরা হিন্দুস্তান রিপাবলিকান এসোসিয়েশন-এর সদস্য ছিল । বিনয়-বাদল-দিনেশ নেতাজীর বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স গ্রুপের সদস্য ছিল | তারা লোমান নামে এক ইংরাজ অফিসার আর রাইটার্স-এ সিম্পসন নামে এক অফিসারকে মারে | স যাই হোক সহিংস আন্দোলনে নেতাজীর ভূমিকার কথা না বললে অন্যায় করা হয় | নেতাজিই একমাত্র ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব | তিনিই আঞ্চলিক-ধর্মীয়-গোষ্ঠী স্বার্থ-এর মত সংকীর্ণ বিষয়ের উর্ধ্বে সর্বভারতীয় ভাব আনতে পেরেছিলেন | তার আজাদ হিন্দ ফৌজে সব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে লোক যোগদান করেছিল | অথচ তিনিই স্বাধীন ভারতে পাত্তা পেলেন না | এর পিছনে নেহেরুর কংগ্রেসী রাজনীতি কাজ করছিল | এখন অবশ্য রাজনৈতিক দলগুলি তাঁকে নিয়ে খুব ব্যস্ত | এছাড়াও বহু সহিংস আন্দোলন হয়েছিল যা বিচ্ছিন্ন ও অসংগঠিত হবার দরুন আরামসে দমন করা গেছিল | তবে এই বিপ্লবীদের কয়েকটি কাজ একদম সমর্থন যোগ্য নয় | ক্ষুদিরাম কিংসলি সাহেবের বউ ও মেয়েকে মারে | ভগত সিং লালাজির হত্যাকারী হিসেবে সন্ডার্স নাম নির্দোষ ইংরাজকে মারে , বিনয়-বাদল-দিনেশ রাইটার্স-এ সিম্পসনের পাশাপাশি বহু নির্দোষ ইংরাজ অফিসারকে মারে | গোটা আন্দোলনটাই ছিল বিচ্ছিন্ন | কোনো সুসংগঠিত ভাব ছিল না | সর্বভারতীয় ভাব একমাত্র নেতাজি ছাড়া কথাও ছিল না | তবে ওদের এই সহিংস আক্রমনে ব্রিটিশ সরকার মোটেই ভয় পায়নি | যদিও দেশীয় ব্যবসায়ীরা কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেননি | কেননা তারা তখন ব্যবসায়িক ফায়দা লুটছিলেন | যেমন কংগ্রেস-এর ভারত ছাড় আন্দোলনের সময় খদ্দরের চাহিদা বেড়েছিল | সেই সময় আগুন দরে খদ্দর বেচে বস্ত্র ব্যবসায়ীরা লাভ করেছিলেন | দু-দুটো মহাযুদ্ধে ব্রিটিশকে নানা জিনিসের যোগান দিয়ে দেশীয় ব্যবসায়ী টাটা-বিড়লারা খুবই লাভ করেছিল | স্বাধীনতা আন্দোলনের নেশা ওদের ছিল না| সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে সর্বভারতীয় স্তরে শুধু এক নেতাজি ছাড়া কেউই আন্দোলন করেনি | তাহলে ভারত কিকরে স্বাধীন হলো ? এটা সম্পূর্ণ পরিস্থিতির কারণে হয়েছে | দু-দুটো মহাযুদ্ধে ব্রিটেন সাংঘাতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় | তার অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে | এই বিশাল সাম্রাজ্য রক্ষার ব্যয়ভার আর সে বহন করতে পারেনি | তাই বাধ্য হয়ে ভারতকে স্বাধীন করে ।
আশাকরি এটা স্পষ্ট যে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনো পলিটিকাল পার্টিই কোনো উল্লেখযোগ্য কাজ করেনি | আসলে কাউকেই ব্রিটিশরা পাত্তা দেয় নি | সহিংস বিপ্লবীরাও ব্রিটিশদের ভয় পাওয়াতে পারেনি | আর সংখ্যাগুরু হিন্দু মহাসভা, মুসলিম লীগ, কংগ্রেস ব্রিটিশ বিরোধী ছিল না | সংখ্যালঘু অসংগঠিত সহিংস বিপ্লবীদের আরামসে মারা গেছিল | সুতরাং স্বাধীনতার যুদ্ধে ব্রিটিশদের সেরকম কঠোর প্রতিপক্ষ কেউ ছিল না | ব্রিটিশরা ভারত ছেড়েছে সম্পূর্ণ অন্য কারণে | দু-দুটো মহাযুদ্ধে আর্থিক ভাবে সর্বস্বান্ত হবার পর তারা ভারত ছেড়েছে নইলে ছাড়ত না | এখন অবশ্য পলিটিকাল পার্টিরা স্বাধীনতা যুদ্ধের ক্রেডিট দাবি করে | কিন্তু তাদেরকে ব্রিটিশরা গ্রাহ্য করে নি | পরিশেষে একটাই কথা বলে রাখি ধর্মের গোড়ামী আমাদের স্বাধীনতায় আজও হস্তক্ষেপ করে By hook or by crook !

No comments:

Post a Comment