সুপ্রীতি বর্মন
নগন্য চাহিদা
পকেট আমার গড়ের মাঠ, নেইকো কানাকড়ি।
তবুও অহংকারে মাটিতে পা পড়েনা আমার।
ছোট পকেটে যে রয়েছে তোমার আমার ছবি।
ঐটুকুই বাড়ায় আস্কারা, তোমার প্রেমের চড়া দাম।
নাইবা পেলাম বাজারের বিক্রীত পণ্য, তবুও
শুধু তোমাকে একান্ত নিজের করে পেয়ে সুখী।
যদিও তৈলাক্ত, লেগেছে ঘুন বীর্যপাতে,
বিছানায় মুখ থুবড়ে উর্দ্ধমুখী দৃষ্টিপাত।
স্তনবৃন্তে যেন কোন ফোটা কুসুম।
বহু যত্নে ফেলে রেখেছি তোমার আদর,
ব্যস্ততার সরানি যখন হৃদয়ের নাব্যতা,
দেয় আস্তে আস্তে পলি জমিয়ে,
তখন কেমন যেন অস্তাচলের শোক।
নোঙ্গর ফেলে চুপটি করে বসে থাকি,
কিংবা অবসাদের চাদরে কাপুরুষের,
সদম্ভ বিচরন শয্যার কালসাপে।
হঠাৎ প্রেম তখন পর্নমোচী বৃক্ষ ঝরাপাতা,
হৃদগগনে ফেলে যাওয়া বসন্তকে খোঁজে।
গলাফাটা চীৎকারে তোমাকে কাঁপায় বিষে।
ক্রন্দিত নয়নে জলসার ঔজ্জ্বল্য, না,
তোমাকে না পাওয়ার যন্ত্রনায় বারি অপচয়।
বুঝতে থেকে ক্লান্ত আমি,
কিছুটা ফেলে রাখি তোমার চোখে।
ধার নিই আমি একটু আলো,
আমি তো আজ বছরের পর বছর গ্রহদোষ।
কিংবা অপরের আলোকে ঋনী।
আমার কি বা আছে নিজের কাছে,
শঙ্খের আওয়াজে চেনা ঘর তোমায়,
স্বামী বলে ডাকে,,,,,,,,,,, ওগো শুনছো।
এসো না এসো একটু জিরিয়ে নাও আমাতে।
যেখানেই অশ্বমেধের ঘোড়া দৌড়াও তুমি,
দিনের শেষে তুমিই তো কালজয়ী সম্রাট অশোক।
ফিরবেই ফিরবে একদিন আমার কাছে গৃহশোকে।
No comments:
Post a Comment