দেবব্রত তাঁতী
রাতের শহরঃ
শহরে রাত নামে নগ্ন কবিতার গা ঘেঁসে
মেট্রোর পাশের গলিতে হাত টানাটানি
শাড়ীর আঁচল ধরে ঝোপঝাড়
কাগজ দিয়ে শুধায় কতই যাবি ?
সেদিন বলতে শুনলাম কাকে চাই ? কাকে চাই ?
মুচকি হেসে দিল মেয়েটি
শব্দ বড়ই গোলমেলে ঠেকে এখন
মুখ ফস্কে কত না বলা মনের কথা বেরিয়ে পরে
রাতে দাঁতাল প্রাণী পাঁচিল ভাঙ্গে
মনের ভাব ছড়িয়ে পড়ে রাস্তায়
যতটা পেরেছে সযত্নে কুড়িয়েছে কাগজ কুড়নি
মন পড়ে থাকে ডাস্টবিনে কিংবা নর্দমায়
পাতা খসে পড়ে ; শাড়ি নেচে ওঠে
চুল খোলা রাস্তায় কবিতার বাড়াবাড়ি মেনে নেয় নি
চোখ রাঙ্গানিই সার
রাতের শহর ফিসফিস কথা বলে
আড়ি পাতে অন্ধকারে ; কার গোপন কথা কে বলবে কাকে ?
কার এত বড় সাহস প্রতিবাদ জানাবে
রাত নষ্ট নয় সতী নারী !
সেই ছেলেটাঃ
প্রতিদিন সন্ধ্যেতে স্টেশনে অপেক্ষা
কে আসবে ? কেন এত প্রতীক্ষা ?
তুই আশায় থাকিস না , সে আসবেনা
কথা কেবল কথায় বলে
কথা পড়লে কথা বাড়ে ।
প্রেম আসবে ! এই তো মিঠে রোদে ভিজে গেছে
দেখা করার পর ফিরবে আদৌ ; তাই এত প্রতীক্ষা
কিন্তু সে যেন প্রেমিকের মতো
কথা দিয়েও কথা রাখল না , ফিরল না ।
সবকিছুতেই ভেজাল এখন ; ফাঁপা শুধু
শুধু মা শব্দটি অ-ভেজাল থেকে গেল
ছেলেটা সেই যে বাড়ি ছাড়ল আর ফিরল না ।
সূর্যাস্তের পরঃ
চাঁদ জোছনাকে ছড়িয়ে দিয়েছে , নিজের কাছে রাখেনি
এটা তার আশীর্বাদ নাকি অন্য কিছু
অন্ধকারে জোনাকিও আলো বিচ্ছুরণ ঘটে
জলে চাঁদের প্রতিছবি না নতুন এক চাঁদ জন্ম নিল ।
শব্দ তো চুপচাপ এখনও
প্রতিবাদী মিছিলে তার দেখা নেই ; কি করবো
বিনোদনের আসর ভাবনা কেড়ে নেয় তাই
সব বোকাবাক্সতেই থেকে যায় আমরা
তাই ভোরের আলো বলছে... মানুষ হ
সেই তো সূর্যাস্তের পর মারা যাবি ।
No comments:
Post a Comment