।। পুস্তক পর্যালোচনা।।
কাব্যগ্রন্থ- জলজ্যোৎস্নার মেয়ে
কবি- মানিক সাহা
প্রকাশনা- উত্তর শিলালিপি
মূল্য- আশি টাকা
কবি- মানিক সাহা
প্রকাশনা- উত্তর শিলালিপি
মূল্য- আশি টাকা
আলোচক: শৌভিক রায়
কবিতা সাহিত্যের প্রাচীনতম ধারা। দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বের সব ভাষার সাহিত্যেই কবিতা নিয়ে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে আসছে। কবিতার জগতে নানাবিধ আন্দোলন কবিতাকে নিঃসন্দেহে অন্য মাত্রা দিয়েছে। কবিতার ব্যাপ্তি এতটাই যে দেশ-কালের গন্ডী পেরিয়ে কবিতা যাত্রা করে এমন এক অসীম অনন্তে যেখানে পাঠকের বোধ ও চেতনার বন্ধ দরজা খুলতে শুরু করে তার নিজস্ব অর্গল।
কবিতার বিষয় ও কবিতার ভাষা কি হবে তা নিয়ে আপাত বিরোধের মধ্যেও একথা সত্য যে কবিতার বিষয় সেভাবে না পালটালেও কবিতার ভাষায় বাঁকবদল হয়ে গেছে অনেক আগেই। বিষয়ের ক্ষেত্রেও যে তা হয় নি, এমনটা কিন্তু নয়। দীর্ঘদিন বাংলা কবিতার ক্ষেত্রে যে কেন্দ্রিকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল তা এই শতকের খানিকটা আগে থেকেই ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। রবীন্দ্র পরবর্তী যুগের বিখ্যাত কবিদের কথা মাথায় রেখেই বলছি কবিতা আজ আর কারো মুখাপেক্ষি নয়। নিত্য নতুন প্রক্ষেপে, নব আঙ্গিকে স্থানীয় থেকে শুরু করে সার্বজনীন বিষয়ে নব নব ভাষায় কবিতা লিখবার প্রয়াস অবশ্যই কবিতাকে দিচ্ছে নতুন পরিচয়।
কবি মানিক সাহা তাঁর কাব্যগ্রন্থে বেশীর ভাগ কবিতার ক্ষেত্রেই বিষয় নির্বাচনে 'প্রেম'কে বেছে নিলেও তাঁর শব্দ ও ভাষার ব্যবহারে কবিতাগুলিকে অন্য মাত্রা দিতে পেরেছেন। এখানেই তাঁর সার্থকতা। এর আগেও বলেছি বিষয় হিসেবে 'প্রেম' এতটাই ব্যবহৃত যে এই বিষয়ক কবিতা তখনই পাঠককে আকৃষ্ট করে যখন তা নতুনভাবে ধরা দেয়। আর সেরকমটি করতে গেলে যেটা সবচেয়ে প্রয়োজন তা হল শব্দ ব্যবহারের মুনসিয়ানা। কবি মানিক সাহা অত্যন্ত সুচারুভাবে সেটি করতে পেরেছেন বলেই পাঠকের ভাললাগা তৈরী হয় কাব্যগ্রন্থটি পাঠ করলে। প্রেম প্রকাশে অনায়াসে কবি বলতে পারেন ' তুমি চুল আঁচড়ে নেবার সময় নক্ষত্র/ সাজিয়ে নিচ্ছ অলঙ্কারে' (পালক) অথবা 'একটি ঝুলবারান্দায় পড়ে থাকা বিকেলের রোদ/তাতে তোমার চুলের গন্ধ লেগে আছে' (ঝুলবারান্দা) বা 'তোমার চলে যাওয়া রাস্তায়/আমি ছায়াগুলি গুছিয়ে রেখেছি...' (মাথুর/প্রেম পদাবলি)। এরকম অজস্র শব্দবন্ধ অবশ্যই প্রেমকে উপস্থাপন করে নতুনভাবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। প্রেমের সাথে বিরহের সম্পর্ক অনেকটা যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠের মত। বিরহকথাও প্রবল নানা কবিতার পরতে পরতে। প্রেমের আনুসঙ্গিকে যেন হাত ধরেই এসেছে যৌনতা। এখানে একটা কথা পরিষ্কার বোঝা দরকার যে যৌনতা মানে শুধুই শারীরীক মিলন নয়। শারীরীক মিলন যৌনতার একটি অংশ হতে পারে কিন্তু তা সামগ্রিক না। সেই অখন্ড যৌনচেতনাই পরিলক্ষিত কবি মানিক সাহার কবিতাই। 'হিরণ্যগর্ভজাত ধান', 'মেঘের যোনি' চুঁইয়ে নেমে আসা শিশির, দেবদারুপাতার 'মৈথুনের ছবি', 'যৌনগন্ধী মাছ', 'চাঁদ কামড়ে খেতে চাওয়া দুটি ঠোঁট', 'মগ্নতায় ঘোড়া ডাক', 'রমণের ছায়া', 'শঙ্খলাগা প্রেম' ইত্যাদি নানা শব্দে লুকিয়ে থাকা চোরা যৌনতা কবিতাগুলিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে, চিনিয়েছে নতুন দিক, শব্দ ব্যবহারের।
'কবিতা ও কার্তিকের মাঠ', 'প্রেমিক বা দেবতা', 'নির্বাণ', 'চরনদাসের গান', 'আত্মহত্যার পর যা যা লিখব ভেবেছি', 'মেঘ ও মৃত্যু বিষয়ক', 'বীজচোর' এবং 'কবি' ইত্যাদি কবিতায় কবি তাঁর প্রিয় বিষয় ছেড়ে যাত্রা করেছেন অন্য পথে। যে অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে কবিতাগুলি রচিত হয়েছে তাতে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি প্রেমের স্তর উত্তীর্ণ হয়ে কবির নতুন কথা বলার সময় এসেছে। চেতনার এক গভীর স্তর থেকে জীবনকে দেখা হয়েছে এই কবিতাগুলিতে। নিজের ব্যবচ্ছেদ করতে গিয়ে কবি যেন নিজের শরীরটিকেই 'গুপ্তমন্ত্রে' কাঁচ বানিয়েছেন 'কবি' শীর্ষক কবিতাটিতে। শরীর ও মননের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা এমন এক মনুষ্যজীবন এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন কবি মানিক সাহা যা যথার্থ অর্থেই 'জীবন'। মৃত্যু চেতনার বেশ কয়েকটি স্তরকে ছুঁতে পেরেছেন তিনি 'আত্মহত্যার পর যা যা লিখব ভেবেছি' এবং 'মেঘ ও মৃত্যু বিষয়ক' কবিতা দুটিতে। মৃত্যু এমন একটি ভাবনা যা সমস্ত ধরণের মানুষকেই ভাবায়। কিন্তু সেই ভাবনা সূক্ষ ও বিরামহীন হয় কবির মনোজগতে। বস্তুতঃ কবির চ্যালেঞ্জ থাকে মৃত্যুর সাথেই যদিও তা অবশ্যম্ভাবী তা জেনেও। কিন্তু মৃত্যুও হেরে যায় কবির কলমের জোরে। কবির মৃত্যু হয় না। নশ্বর শরীর সময়ের আঘাতে জীর্ণ হয়, বিদীর্ণ হয় লুকিয়ে থাকা প্রাণ। থেকে যায় কবির ভাবনা, তার শব্দেরা। এই দুটি ব্যাপারে কবি মানিক সাহা অন্ততঃ এই দুটি কবিতায় সসম্মানে উত্তীর্ণ। উত্তরবঙ্গের প্রকৃতির ও তার সাথে এখানকার লোকেদের একাত্মতার ছবি চলমান 'চরণদাসের গান', 'বীজ চোর', 'গান' ইত্যাদি কবিতায়। সাথে যোগ হয়েছে না পাওয়ার বেদনাও। এই বেদনা বোধ বোধহয় উত্তরের মানুষদের মজ্জাগত দীর্ঘদিনের অবহেলার ফলস্বরূপ। কবি মানিক সাহা তাঁর অসামান্য দ্যুতিময়তায়ও নিজের শেকড়ের সাথে প্রোথিত আছেন একথা ভাবতেও ভাল লাগে। এখানেই উত্তরণ হয় একজন সত্যিকারের মানুষের, একজন কবির। খন্ড চেতনাকে কবি যখন অখন্ডতার রূপ দেন তখনই সার্থক হয় তাঁর সৃষ্টি। কবি মানিক সাহা ধাবমান যেন সেই লক্ষ্যেই। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তীতে কবি মানিক সাহা নতুন ভাবনায় ও শব্দচয়নে চমৎকৃত করবেন যেভাবে এই কাব্যগ্রন্থের বিভিন্ন কবিতায় করেছেন।
আপত্তি করছি 'ভূমিকা'র বক্তব্য নিয়ে। কবি নিজে যদি তাঁর কবিতার বিষয় বলে দেন তবে পড়ার মজা ক্ষুণ্ন হয় বলে আমার ধারণা। কবিতা তো পেঁয়াজের মতো। খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে যেমন পেঁয়াজের অভ্যন্তরভাগ পাওয়া যায়, কবিতার নির্যাসটুকুও সেভাবেই পায় পাঠক তার নিজস্ব ভাবনার খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে। সাংকেতিকতা যদি কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হয় তবে ভূমিকাতে কবি মানিক সাহা কবিতার বিষয়বস্তু বলে দিয়ে কবিতাগুলি পড়বার আমেজ একটু হলেও নষ্ট করেছেন। অবশ্য এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত।
সুন্দর প্রচ্ছদ, ভাল কাগজ ও ঝকঝকে ছাপা বইটির অন্যতম সম্পদ।
তবে সেরা সম্পদ অবশ্যই চল্লিশটি কবিতা যা মলাটবন্দী হয়েছে বইটিতে।
কবিতার বিষয় ও কবিতার ভাষা কি হবে তা নিয়ে আপাত বিরোধের মধ্যেও একথা সত্য যে কবিতার বিষয় সেভাবে না পালটালেও কবিতার ভাষায় বাঁকবদল হয়ে গেছে অনেক আগেই। বিষয়ের ক্ষেত্রেও যে তা হয় নি, এমনটা কিন্তু নয়। দীর্ঘদিন বাংলা কবিতার ক্ষেত্রে যে কেন্দ্রিকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল তা এই শতকের খানিকটা আগে থেকেই ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। রবীন্দ্র পরবর্তী যুগের বিখ্যাত কবিদের কথা মাথায় রেখেই বলছি কবিতা আজ আর কারো মুখাপেক্ষি নয়। নিত্য নতুন প্রক্ষেপে, নব আঙ্গিকে স্থানীয় থেকে শুরু করে সার্বজনীন বিষয়ে নব নব ভাষায় কবিতা লিখবার প্রয়াস অবশ্যই কবিতাকে দিচ্ছে নতুন পরিচয়।
কবি মানিক সাহা তাঁর কাব্যগ্রন্থে বেশীর ভাগ কবিতার ক্ষেত্রেই বিষয় নির্বাচনে 'প্রেম'কে বেছে নিলেও তাঁর শব্দ ও ভাষার ব্যবহারে কবিতাগুলিকে অন্য মাত্রা দিতে পেরেছেন। এখানেই তাঁর সার্থকতা। এর আগেও বলেছি বিষয় হিসেবে 'প্রেম' এতটাই ব্যবহৃত যে এই বিষয়ক কবিতা তখনই পাঠককে আকৃষ্ট করে যখন তা নতুনভাবে ধরা দেয়। আর সেরকমটি করতে গেলে যেটা সবচেয়ে প্রয়োজন তা হল শব্দ ব্যবহারের মুনসিয়ানা। কবি মানিক সাহা অত্যন্ত সুচারুভাবে সেটি করতে পেরেছেন বলেই পাঠকের ভাললাগা তৈরী হয় কাব্যগ্রন্থটি পাঠ করলে। প্রেম প্রকাশে অনায়াসে কবি বলতে পারেন ' তুমি চুল আঁচড়ে নেবার সময় নক্ষত্র/ সাজিয়ে নিচ্ছ অলঙ্কারে' (পালক) অথবা 'একটি ঝুলবারান্দায় পড়ে থাকা বিকেলের রোদ/তাতে তোমার চুলের গন্ধ লেগে আছে' (ঝুলবারান্দা) বা 'তোমার চলে যাওয়া রাস্তায়/আমি ছায়াগুলি গুছিয়ে রেখেছি...' (মাথুর/প্রেম পদাবলি)। এরকম অজস্র শব্দবন্ধ অবশ্যই প্রেমকে উপস্থাপন করে নতুনভাবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। প্রেমের সাথে বিরহের সম্পর্ক অনেকটা যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠের মত। বিরহকথাও প্রবল নানা কবিতার পরতে পরতে। প্রেমের আনুসঙ্গিকে যেন হাত ধরেই এসেছে যৌনতা। এখানে একটা কথা পরিষ্কার বোঝা দরকার যে যৌনতা মানে শুধুই শারীরীক মিলন নয়। শারীরীক মিলন যৌনতার একটি অংশ হতে পারে কিন্তু তা সামগ্রিক না। সেই অখন্ড যৌনচেতনাই পরিলক্ষিত কবি মানিক সাহার কবিতাই। 'হিরণ্যগর্ভজাত ধান', 'মেঘের যোনি' চুঁইয়ে নেমে আসা শিশির, দেবদারুপাতার 'মৈথুনের ছবি', 'যৌনগন্ধী মাছ', 'চাঁদ কামড়ে খেতে চাওয়া দুটি ঠোঁট', 'মগ্নতায় ঘোড়া ডাক', 'রমণের ছায়া', 'শঙ্খলাগা প্রেম' ইত্যাদি নানা শব্দে লুকিয়ে থাকা চোরা যৌনতা কবিতাগুলিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে, চিনিয়েছে নতুন দিক, শব্দ ব্যবহারের।
'কবিতা ও কার্তিকের মাঠ', 'প্রেমিক বা দেবতা', 'নির্বাণ', 'চরনদাসের গান', 'আত্মহত্যার পর যা যা লিখব ভেবেছি', 'মেঘ ও মৃত্যু বিষয়ক', 'বীজচোর' এবং 'কবি' ইত্যাদি কবিতায় কবি তাঁর প্রিয় বিষয় ছেড়ে যাত্রা করেছেন অন্য পথে। যে অন্তর্দৃষ্টি নিয়ে কবিতাগুলি রচিত হয়েছে তাতে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি প্রেমের স্তর উত্তীর্ণ হয়ে কবির নতুন কথা বলার সময় এসেছে। চেতনার এক গভীর স্তর থেকে জীবনকে দেখা হয়েছে এই কবিতাগুলিতে। নিজের ব্যবচ্ছেদ করতে গিয়ে কবি যেন নিজের শরীরটিকেই 'গুপ্তমন্ত্রে' কাঁচ বানিয়েছেন 'কবি' শীর্ষক কবিতাটিতে। শরীর ও মননের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা এমন এক মনুষ্যজীবন এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন কবি মানিক সাহা যা যথার্থ অর্থেই 'জীবন'। মৃত্যু চেতনার বেশ কয়েকটি স্তরকে ছুঁতে পেরেছেন তিনি 'আত্মহত্যার পর যা যা লিখব ভেবেছি' এবং 'মেঘ ও মৃত্যু বিষয়ক' কবিতা দুটিতে। মৃত্যু এমন একটি ভাবনা যা সমস্ত ধরণের মানুষকেই ভাবায়। কিন্তু সেই ভাবনা সূক্ষ ও বিরামহীন হয় কবির মনোজগতে। বস্তুতঃ কবির চ্যালেঞ্জ থাকে মৃত্যুর সাথেই যদিও তা অবশ্যম্ভাবী তা জেনেও। কিন্তু মৃত্যুও হেরে যায় কবির কলমের জোরে। কবির মৃত্যু হয় না। নশ্বর শরীর সময়ের আঘাতে জীর্ণ হয়, বিদীর্ণ হয় লুকিয়ে থাকা প্রাণ। থেকে যায় কবির ভাবনা, তার শব্দেরা। এই দুটি ব্যাপারে কবি মানিক সাহা অন্ততঃ এই দুটি কবিতায় সসম্মানে উত্তীর্ণ। উত্তরবঙ্গের প্রকৃতির ও তার সাথে এখানকার লোকেদের একাত্মতার ছবি চলমান 'চরণদাসের গান', 'বীজ চোর', 'গান' ইত্যাদি কবিতায়। সাথে যোগ হয়েছে না পাওয়ার বেদনাও। এই বেদনা বোধ বোধহয় উত্তরের মানুষদের মজ্জাগত দীর্ঘদিনের অবহেলার ফলস্বরূপ। কবি মানিক সাহা তাঁর অসামান্য দ্যুতিময়তায়ও নিজের শেকড়ের সাথে প্রোথিত আছেন একথা ভাবতেও ভাল লাগে। এখানেই উত্তরণ হয় একজন সত্যিকারের মানুষের, একজন কবির। খন্ড চেতনাকে কবি যখন অখন্ডতার রূপ দেন তখনই সার্থক হয় তাঁর সৃষ্টি। কবি মানিক সাহা ধাবমান যেন সেই লক্ষ্যেই। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তীতে কবি মানিক সাহা নতুন ভাবনায় ও শব্দচয়নে চমৎকৃত করবেন যেভাবে এই কাব্যগ্রন্থের বিভিন্ন কবিতায় করেছেন।
আপত্তি করছি 'ভূমিকা'র বক্তব্য নিয়ে। কবি নিজে যদি তাঁর কবিতার বিষয় বলে দেন তবে পড়ার মজা ক্ষুণ্ন হয় বলে আমার ধারণা। কবিতা তো পেঁয়াজের মতো। খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে যেমন পেঁয়াজের অভ্যন্তরভাগ পাওয়া যায়, কবিতার নির্যাসটুকুও সেভাবেই পায় পাঠক তার নিজস্ব ভাবনার খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে। সাংকেতিকতা যদি কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হয় তবে ভূমিকাতে কবি মানিক সাহা কবিতার বিষয়বস্তু বলে দিয়ে কবিতাগুলি পড়বার আমেজ একটু হলেও নষ্ট করেছেন। অবশ্য এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত।
সুন্দর প্রচ্ছদ, ভাল কাগজ ও ঝকঝকে ছাপা বইটির অন্যতম সম্পদ।
তবে সেরা সম্পদ অবশ্যই চল্লিশটি কবিতা যা মলাটবন্দী হয়েছে বইটিতে।
No comments:
Post a Comment