বসন্ত এসে গেছে
অমৃতা মৌয়ার
তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুল মুছতে মুছতে ক্যালেন্ডারের পাতা ওল্টাল শ্রবণা। কিভাবে দেখতে দেখতে যে একটা মাস পার হয়ে গেল। আজ ফেব্রুয়ারির ১লা তারিখ। এই মাসে ক্যালেন্ডারের গায়ে এই একটাই লাল কালি। মানে ছুটির দিন আর কি। সরস্বতী পূজো। যদিও এই লাল কালির ছুটিকে অভীর অফিস কিংবা মেয়ে রিদ্ধির স্কুল বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করেনা। তারা কর্ণাটকা স্টেট আর নিজস্বী ছুটি নিয়েই চলে। তবু প্রতিবার নতুন বছর পরার আগে থেকেই শ্রবণা বারবার বাড়িতে বলে রাখে দাদার অফিসের নতুন ক্যালেন্ডার যেন ওর জন্য রাখা হয়। আর দাদাও ঠিক নিয়মমত নতুন ক্যালেন্ডার ডায়েরি ছোটবোনকে কুরিয়ার করে দেয়। রিদ্ধি হেসে বলে,
-"কমন মা,সবার মোবাইলেই এখন ক্যালেন্ডার আছে। তবুও তুমি কেন যে এই ক্যালেন্ডার নিয়ে এত অবসেসড্ থাকো।"
কিছু বলেনা শ্রবণা। উত্তরে একটু হাসে শুধু। কি করে বোঝাবে সে মেয়েকে প্রত্যেক মাসের পাতা ওল্টালে যে নতুন ছবি আসে,পাতার গায়ে হাত বোলালে যে ছুটির দিনগুলো লেগে থাকে তার মধ্যে যে এক অকারন ভাললাগা জড়িয়ে আছে। বেশ কিছুদিন থেকেই মনের মধ্যে একটা ইচ্ছে গুনগুন করছিল শ্রবণার। সেদিন রাতে বিছানায় শুয়ে কথাটা বলেই ফেলল সে,
-"অভী তোমার মনে আছে...সরস্বতী পূজোর দিন তুমি আমাকে প্রোপোজ করেছিলে।"
অভী তখন মোবাইল নামক আস্ত দুনিয়াটাতে ঘুরপাক খাচ্ছে। শ্রবণার কথা ওর কানে গেলও কিনা ঠিক বোঝা গেলনা। সে আবার বলল,
-"এই অভী,এবার সরস্বতী পূজোয় বাড়ি যাবে?"
এবার হাতে ধরা মোবাইল থেকে চোখটা সরিয়ে শ্রবণাকে এক ঝলক দেখল অভী। তারপর বিছনায় শরীরটাকে এলিয়ে দিয়ে বলল,
-"ক্ষেপেছ,সামনেই তোমার মেয়ের পরীক্ষা। ও এইসময় কোথাও যেতে রাজি হবে বলে তোমার মনে হয়।
-"আর যদি সে রাজি হয়..তবে যাবে,বলোনা।"
-"অফিসে ছুটি পাওয়াটাও তো চাপ ডার্লিং। প্রোজেক্টের অলরেডি প্রচুর চাপ আছে জানোতো।"
এবার বেশ একটু অভিমানী সুরেই বলে ফেলল ,
-"সে তোমার অফিস,রিদ্ধির এক্সাম এসব তো সারাবছরই লেগে থাকবে। সরস্বতী পূজোটাতো বছরে এই একবারই আসবে বলো। আর এই বছর দিনটাও পড়েছে সোমবার। জাস্ট দু'টো দিন ছুটি ম্যানেজ করলেই আমরা সরস্বতী পূজোটা বাড়িতে কাটাতে পারি। তাছাড়া রিদ্ধিও তো কখন দেখেনি সরস্বতী পূজো মানে যে আমাদের ওখানে একটা...একটা উৎসব। এ্যই চলোনা গো এবার...কি যাবে?"
একটা লম্বা হাই তুলে পাশ ফিরতে ফিরতে অভী বলল,
-"আগে দেখ তোমার মেয়েকে ম্যানেজ করতে পার কিনা।
আই ডোন্ট থিংক শি উড বি রেডি টু গো।"
সেইতো...ঠিক কি বলবে শ্রবণা মেয়েকে। আর ক'টা সপ্তাহ বাদেই ওর ক্লাস সেভেনের পরীক্ষা। কোথায় মা হয়ে মেয়েকে বলবে আরও মাথা গুঁজে পড়তে,তা নয় উলটো বলবে দুদিন ছুটি নিয়ে সরস্বতী পূজো দেখতে যেতে। এসব শুনে মেয়েই বা কি ভাববে। সত্যিইতো এসব ছেলেমানুষীর কি কোন মানে হয়!
-"কমন মা,সবার মোবাইলেই এখন ক্যালেন্ডার আছে। তবুও তুমি কেন যে এই ক্যালেন্ডার নিয়ে এত অবসেসড্ থাকো।"
কিছু বলেনা শ্রবণা। উত্তরে একটু হাসে শুধু। কি করে বোঝাবে সে মেয়েকে প্রত্যেক মাসের পাতা ওল্টালে যে নতুন ছবি আসে,পাতার গায়ে হাত বোলালে যে ছুটির দিনগুলো লেগে থাকে তার মধ্যে যে এক অকারন ভাললাগা জড়িয়ে আছে। বেশ কিছুদিন থেকেই মনের মধ্যে একটা ইচ্ছে গুনগুন করছিল শ্রবণার। সেদিন রাতে বিছানায় শুয়ে কথাটা বলেই ফেলল সে,
-"অভী তোমার মনে আছে...সরস্বতী পূজোর দিন তুমি আমাকে প্রোপোজ করেছিলে।"
অভী তখন মোবাইল নামক আস্ত দুনিয়াটাতে ঘুরপাক খাচ্ছে। শ্রবণার কথা ওর কানে গেলও কিনা ঠিক বোঝা গেলনা। সে আবার বলল,
-"এই অভী,এবার সরস্বতী পূজোয় বাড়ি যাবে?"
এবার হাতে ধরা মোবাইল থেকে চোখটা সরিয়ে শ্রবণাকে এক ঝলক দেখল অভী। তারপর বিছনায় শরীরটাকে এলিয়ে দিয়ে বলল,
-"ক্ষেপেছ,সামনেই তোমার মেয়ের পরীক্ষা। ও এইসময় কোথাও যেতে রাজি হবে বলে তোমার মনে হয়।
-"আর যদি সে রাজি হয়..তবে যাবে,বলোনা।"
-"অফিসে ছুটি পাওয়াটাও তো চাপ ডার্লিং। প্রোজেক্টের অলরেডি প্রচুর চাপ আছে জানোতো।"
এবার বেশ একটু অভিমানী সুরেই বলে ফেলল ,
-"সে তোমার অফিস,রিদ্ধির এক্সাম এসব তো সারাবছরই লেগে থাকবে। সরস্বতী পূজোটাতো বছরে এই একবারই আসবে বলো। আর এই বছর দিনটাও পড়েছে সোমবার। জাস্ট দু'টো দিন ছুটি ম্যানেজ করলেই আমরা সরস্বতী পূজোটা বাড়িতে কাটাতে পারি। তাছাড়া রিদ্ধিও তো কখন দেখেনি সরস্বতী পূজো মানে যে আমাদের ওখানে একটা...একটা উৎসব। এ্যই চলোনা গো এবার...কি যাবে?"
একটা লম্বা হাই তুলে পাশ ফিরতে ফিরতে অভী বলল,
-"আগে দেখ তোমার মেয়েকে ম্যানেজ করতে পার কিনা।
আই ডোন্ট থিংক শি উড বি রেডি টু গো।"
সেইতো...ঠিক কি বলবে শ্রবণা মেয়েকে। আর ক'টা সপ্তাহ বাদেই ওর ক্লাস সেভেনের পরীক্ষা। কোথায় মা হয়ে মেয়েকে বলবে আরও মাথা গুঁজে পড়তে,তা নয় উলটো বলবে দুদিন ছুটি নিয়ে সরস্বতী পূজো দেখতে যেতে। এসব শুনে মেয়েই বা কি ভাববে। সত্যিইতো এসব ছেলেমানুষীর কি কোন মানে হয়!
রিদ্ধি আর ওর বাবা বেরিয়ে যাওয়ার পর বাড়ির বাকি কাজ সেরে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ায় শ্রবণা। এইদিকটাতে সুইমিংপুল প্লেগ্রাউন্ড থাকার জন্য সামনে অনেকটা খোলা আকাশ দেখা যায়। কাছেই কোন গাছ থেকে অনবরত একটা কোকিল ডেকে চলেছে। আশ্চর্য ব্যাপার যে আগে যখন একটা ছোট্ট শহরে থাকত সে সেখানে কখন কোকিলের এই ডাক শুনতে পেতনা। কিন্তু এই বিশাল মহানগরীতে কী সুন্দর কোকিল ডেকে যায় অবিরাম। তবু কেন জানি সেই বসন্তকালটাকে এখানে কোথাও খুঁজে পায়না শ্রবণা। কিন্তু এই সময় তার নিজের শহরের আকাশে বাতাসে রাস্তার মোড়ে স্কুলের করিডরে সব জায়গায় বসন্তকাল কেমন লেপ্টে থাকে। এখনও মনে আছে সরস্বতী পূজোর দিনকতক আগে থেকে স্কুলে তোড়জোড় শুরু হয়ে যেত। পূজোর দায়িত্ব,আলপনা কম্পিটিশন,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আর তার সাথে ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে বন্ধুদের সবচেয়ে জরুরি আলোচনা কে কোন শাড়ি পড়বে,কেমন সাজ হবে,কোথায় কোথায় যাওয়া হবে। এদিকে বাড়ি ফিরে শ্রবণা আলমারি থেকে মায়ের একটার পর একটা শাড়ি বের করে হুলুস্থূল কান্ড ঘটাত। মা বলত সরস্বতী পূজোর দিন হলুদ রঙের শাড়ি পড়তে হয়রে মেয়ে। কিন্তু সেবার শ্রবণা একটা নীল রঙের জামদানী পড়েছিল। সাথে টেরাকোটার ম্যাচিং গলার কানের আর একটা ছোট্ট টিপ। আর সেবারই তো অভী ওর বন্ধুদের সাথে এসেছিল ওদের স্কুলে। ওরা সব সেম ব্যাচ। পায়েল আর অলি অলরেডি অভীদের দুই বন্ধু সুমন আর শুভ্রর সাথে প্রেম করছে তখন। শ্রবণা আর অভীর তখনও চোখে চোখে কথা,অসম্ভব ভাললাগা। সবার সাথে যেতে যেতে শ্রবণা আর অভী একটু পিছিয়ে পড়েছিল। কিছুটা ইচ্ছে করেই।পাশে হাঁটতে হাঁটতে অভী আলতো করে ছুঁয়েছিল শ্রবণার একটা আঙ্গুল। ওর নাম ধরে ডেকেছিল একবার। শ্রবণা মুখ তুলে তাকাতেই খুব ধীরে কাছে এসে বলেছিল,'ভালবাসি'। আর সাথে সাথে শ্রবণা শুনতে পেয়েছিল ওর বুকের ধুকপুকুনিটা হঠাৎ ভীষণ বেড়ে গিয়েছে। চারিদিক থেকে এক অদ্ভুত ভাললাগা ওর সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। বুকের ভিতরে কেউ যেন তানপুরায় সুর তুলে বেহাগ বাজিয়ে চলেছে অনবরত। এরপর কয়েক বছর দু'জনে চুটিয়ে প্রেম করে তারপর বিয়ে করে সেটেল্ড হয় ব্যাঙ্গালোরে। দিব্যি সুখে সংসার করছে দু'জনে। উইকেন্ডে শপিং,ডিনার,বছরে দু'বার ট্যুর। এখনও অভী যখন তখন জড়িয়ে ধরে আদরে আদরে ভরিয়ে দেয় শ্রবণাকে। কানের কাছে মুখ নিয়ে বারবার বলতে থাকে আই লাভ ইউ। কিন্তু এখন আর নিজের বুকের ওই ধুকপুকুনিটা কেন শুনতে পাইনা শ্রবণা। আর তো সেই ভীষণ ভাললাগা লজ্জায় ওর ফর্সা মুখটা লাল হয়ে ওঠেনা। কিন্তু এখনো কী ভীষণ ভালবাসে সে অভীকে। আচমকা মোবাইলের শব্দে ঘোর কাটল শ্রবণার। দেখল স্ক্রীনে অভীর নাম ভেসে উঠছে। কলটা রিসিভ করতেই ওপার থেকে ভেসে এল অভীর স্বর,
-"চেক ইওর মেল। আমার এখন একটা মিটিং আছে।উইল টক টু ইউ লেটার।"
ফোনটা কেটে অলস হাতে নেট অন করে মেলটা চেক করতেই একটা আনন্দের শিহরণ খেলে গেল সারা শরীরে।অভী ওদের তিনজনের ফ্লাইটের টিকিট পাঠিয়েছে... আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারীর। আচ্ছা তার দু'দিন বাদেই তো সরস্বতী পূজো তাইনা!
-"চেক ইওর মেল। আমার এখন একটা মিটিং আছে।উইল টক টু ইউ লেটার।"
ফোনটা কেটে অলস হাতে নেট অন করে মেলটা চেক করতেই একটা আনন্দের শিহরণ খেলে গেল সারা শরীরে।অভী ওদের তিনজনের ফ্লাইটের টিকিট পাঠিয়েছে... আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারীর। আচ্ছা তার দু'দিন বাদেই তো সরস্বতী পূজো তাইনা!
সারা বাড়ি জুড়ে এখন সাজসাজ রব চলছে। বাড়ির সরস্বতী পূজো খুব সক্কাল সক্কাল সারা হয়েগিয়েছে। দোতালার ঘরে এখন ছোড়দির মেয়ে মিমি আর দাদার ছোটমেয়ে তুলির সাথে রিদ্ধি সাজগোজে ব্যস্ত। মিমি আর রিদ্ধি একই বয়সী। তুলি ওদের একবছরের ছোট। কিন্তু তিনটেই হয়েছে একে অপরের ন্যেওটা। ওরা সব বন্ধুরা মিলেই আজ বেরনোর প্ল্যান। রিদ্ধিও যাবে ওদের সাথেই। শ্রবণা মেয়ের জন্য কাঁচা হলুদ আর সবুজে একটা বুটিকের শাড়ি কিনেছে।সাথে মানানসই অর্নামেন্টস্। রেডি হয়ে তিন সরস্বতী আরও একঝাঁক সরস্বতীর সাথে হৈহৈ করে বেড়িয়ে পড়তেই ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াল শ্রবণা। চারিদিক কেমন ঝলমল করছে মিঠে হলুদ আলোতে। শ্রবণা জোরে জোরে শ্বাস টেনে বুকে ভরে নিল বসন্তের মিষ্টি গন্ধ। একদল মেয়ে হাসতে হাসতে চলে গেল রাস্তা দিয়ে। মেয়েদের রংবেরংয়ের সাজের দিকে তাকিয়ে শ্রবণা দেখতে পাচ্ছে ওর স্কুলের মাঠ,একঝাঁক তরুণীর হাসতে হাসতে গড়িয়ে পরা। আর ওই ভিড়ের মধ্যে ওইযে শ্রবণা.. ওদেরই মাঝে চোখে মুখে একরাশ খুশি নিয়ে। এসবের মধ্যেই অভী যে কখন এসে পাশে দাঁড়িয়েছে খেয়ালই করেনি সে। চমক ভাঙ্গল অভীর ডাকে।
-"কি বেরোবেনা..ঝটপট তৈরি হয়ে নাও।
-"বেরোব!!! কোথায়?"
-"কেন সরস্বতী পূজো দেখতে..উহু কি ভেবেছেন ম্যাডাম..সব প্ল্যান সেট।শালাবাবুর গাড়ি প্রিবুকড্।
-"কিন্তু কোথায় যাব আমরা?
-"কেন.. আমাদের পুরোনো স্কুল,সেই মিশন,সুদীপ স্যারের বাড়ি।"
-"বয়স কত হল আন্দাজ আছে আপনার।তোমার মেয়ে এই বয়সে পূজো দেখতে বেরিয়েছে।"
-"তাতে কি হয়েছে। ওদেরতো বললাম আমাদের দেখলে বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে একটু আড়াল হয়ে যাস। চল চল লেটস্ গেট রেডি। আমার জন্যে একটা পান্জাবি বের করে দাওতো। আর হ্যাঁ শোনো তুমি একটা নীল রঙের শাড়ি পরো আজ,ঠিক সেইবারের মতো।"
-"অভী..তোমার মনে আছে?"
এবার শ্রবণার হাতের ওপর নিজের হাতটা রাখল অভী। শ্রবণার আঙ্গুলের ফাঁকে নিজের আঙ্গুল জড়িয়ে সরে এল আরেকটু কাছে। কানের খুব কাছে এসে বলল,'ভালবাসি।' ওইতো...ওইতো নিজের ভেতরের ধুকপুকুনিটা আবার শুনতে পাচ্ছে শ্রবণা। সারা শরীর জুড়ে ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ছে কী দারুণ এক আনন্দ। ওই যে শুনতে পাচ্ছে...কোথায় যেন কে গেয়ে উঠল-
"বাতাসে বহিছে প্রেম,নয়নে লাগিল নেশা,কারা যে ডাকিল পিছে বসন্ত এসে গেছে।"
-"কি বেরোবেনা..ঝটপট তৈরি হয়ে নাও।
-"বেরোব!!! কোথায়?"
-"কেন সরস্বতী পূজো দেখতে..উহু কি ভেবেছেন ম্যাডাম..সব প্ল্যান সেট।শালাবাবুর গাড়ি প্রিবুকড্।
-"কিন্তু কোথায় যাব আমরা?
-"কেন.. আমাদের পুরোনো স্কুল,সেই মিশন,সুদীপ স্যারের বাড়ি।"
-"বয়স কত হল আন্দাজ আছে আপনার।তোমার মেয়ে এই বয়সে পূজো দেখতে বেরিয়েছে।"
-"তাতে কি হয়েছে। ওদেরতো বললাম আমাদের দেখলে বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে একটু আড়াল হয়ে যাস। চল চল লেটস্ গেট রেডি। আমার জন্যে একটা পান্জাবি বের করে দাওতো। আর হ্যাঁ শোনো তুমি একটা নীল রঙের শাড়ি পরো আজ,ঠিক সেইবারের মতো।"
-"অভী..তোমার মনে আছে?"
এবার শ্রবণার হাতের ওপর নিজের হাতটা রাখল অভী। শ্রবণার আঙ্গুলের ফাঁকে নিজের আঙ্গুল জড়িয়ে সরে এল আরেকটু কাছে। কানের খুব কাছে এসে বলল,'ভালবাসি।' ওইতো...ওইতো নিজের ভেতরের ধুকপুকুনিটা আবার শুনতে পাচ্ছে শ্রবণা। সারা শরীর জুড়ে ছড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ছে কী দারুণ এক আনন্দ। ওই যে শুনতে পাচ্ছে...কোথায় যেন কে গেয়ে উঠল-
"বাতাসে বহিছে প্রেম,নয়নে লাগিল নেশা,কারা যে ডাকিল পিছে বসন্ত এসে গেছে।"
মুজনাই অনলাইন মাঘ সংখ্যা ১৪২৬
রেজিস্ট্রেশন নাম্বার- S0008775 OF 2019-2020
ঠিকানা- হসপিটাল রোড, কোচবিহার, ৭৩৬১০১
প্রকাশক- রীনা সাহা
সম্পাদনা, অলংকরণ ও বিন্যাস- শৌভিক রায়
মুজনাই অনলাইন মাঘ সংখ্যা ১৪২৬
No comments:
Post a Comment