মায়ের আগমন
চন্দ্রানী চৌধুরী
নীল আকাশে শুভ্র বলাকার দল
ভেসে বেড়ায় আপনমনে
অরুন আলোর আভায় চমকিত
কাশফুলের ধবল রাশি।
প্রতি আশ্বিনে শিউলির ঘ্রাণ বুকে নিয়ে
আসেন আমার মা।
বেজে ওঠে আগমনী গান
মহালয়ার পুণ্যপ্রভাতে দেবীপক্ষের প্রারম্ভিক লগ্নে
আবাহন করি অসুর বিনাশিনী মায়ের।
পঞ্চমী থেকেই চারদিকে পুজোর আমেজ
হৃদয় মোহনায় খুশির হিল্লোল
ঘরে বানানো নাড়ু মোয়া মুড়কির সাথে সাথে
বাতাসে মিশে থাকে নতুন জামার গন্ধ।
আসে মহাষষ্ঠী ;
দেবী বোধনের পর শক্তিময়ী মাকে জানাই আমন্ত্রন
ঢাকের তালে নেচে ওঠে মন।
নবপত্রিকা স্নানের মধ্য দিয়ে
শুরু হয় মহাসপ্তমী;
মন্ডপে মন্ডপে ভিড়, মাইকে পুজোর গান;
উপচে পরা আনন্দে ছোট বড় সবাই মিলেমিশে একাকার।
অষ্টমীতে দেবী মায়ের আলোকজ্জ্বল রূপে
সবাই বিমোহিত হই। কুমারী পুজোয় প্রকাশিত হয়
নারীজাতির প্রতি শ্রদ্ধা।
অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষনে
সমস্ত দ্বন্দ্বের অবসানে মিলনের বার্তা আনে
সন্ধিপুজো।
নবমী নিশিতে আকাশে বাতাসে
ছেয়ে থাকে বিষন্নতা
দশমীর ঢাকের কাঠিতে বাজে বিদায়ের সুর।
সিঁদুর খেলা শেষে ভেজা চোখে বিসর্জনের পালা।
সুখের স্মৃতি বুকে নিয়ে অপেক্ষারা প্রহর গোনে
বছর পরে ফিরবে আবার মা।
No comments:
Post a Comment