শিক্ষণীয় বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ
কবিতা বণিক
পৃথিবীর সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল।
বিশ্বের ক্ষুদ্রতম অণু-পরমাণু থেকে সূর্য , গ্রহ, নক্ষত্র আমরা সবার কাছেই শিক্ষা নিতে পারি। আকাশ, বায়ু, পাহাড়, মাঠ, সূর্য, চাঁদ, নদী, মাটি এদের সবার আমরা ছাত্র। এরা কেমন সুন্দর, সবাই এক নিয়মে এক ভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে তাদের কাজ যথানিয়মে করে চলেছে। পূর্বদিকে সূর্য ওঠে ভোর হয়। পশ্চিমে সূর্য অস্ত যায় তখন সন্ধ্যা নামে। শৃঙ্খলা বদ্ধ হয়ে কাজ করে চলেছে বলেই প্রকৃতি এত সুন্দর।গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত সব ঋতুই পর পর শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবেই আসে। আমরা সে কারণে প্রকৃতির সৌন্দর্য কে উপভোগ করতে পারি। মানব সভ্যতার বিকাশের মূলেও প্রকৃতির দান অনস্বীকার্য। সূর্যের আলো আমাদের শরীর সুস্থ ও সবল রাখে। এর ফলে শরীরের বৃদ্ধি হয়। আমরাও শিশু অবস্হা থেকে শৈ্শব, কৈশোর, যৌবন ও বৃদ্ধাবস্হায় পৌঁছই। চাঁদ , তারাদের আলোর ঝিকিমিকি আমাদের মনে আনন্দ দেয়। রাতের অন্ধকারে কিছু আলোও দেয়। মানুষের জীবনকেও সুন্দর সুশৃঙ্খল ও সংযত হয়ে চলার শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।প্রকৃতির কাছে আমরা সুশৃঙ্খল জীবন যাপন শিখব। জীবনে শ্রী, কল্যাণ, আনন্দ, শান্তি এগুলো সুশৃঙ্খলতার মধ্য দিয়েই আসে।
ছাত্রজীবনেই জীবনের ভিত্তি গঠিত হয়। তাই ছাত্রজীবনেই গঠন করতে হবে নিয়মানুবর্তিতা ও সুশৃঙ্খল জীবন। তবেই আমরা সর্বত্র বিজয়ী হতে পারব। সেনা বিভাগের লোকেরা সবচেয়ে বেশি সুশৃঙ্খল জীবন ও নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে কাটায়। আমরাও দেখি শৃঙ্খলাবদ্ধ,নিয়মানুবর্তী ও সুসংহত সৈন্যবাহিনীই যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারে। আমরাও এমন সুশৃঙ্খল ও সুসংহত জীবন যাপন করলে সবক্ষেত্রে অবশ্যই বিজয়ী হব।
সব কিছু আমাদের শরীরের ওপর নির্ভর করে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে শরীর চর্চা ও খেলাধুলো করা প্রয়োজন।তাহলে শরীর ও মন দুটোই শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে পারবে।
মানুষ তার শরীরটাকে জন্মমুহূর্তে লাভ করে। এই শরীর টার বৃদ্ধি হয়, অসুখ হয় ইত্যাদি কারণে শরীর কে সুস্থ রাখা জরুরি। সুস্বাস্থ্য জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইন থেকে এই শিক্ষা নিই--
" অন্ন চাই, প্রাণ চাই,আলো চাই, চাই মুক্ত বায়ূ, চাই বল, চাই স্বাস্হ্য, আনন্দ- উজ্জ্বল পরমায়ূ, সাহস বিস্তৃত বক্ষপট।"
দেহের সৌন্দর্য্য অলংকার । আত্মার সৌন্দর্য শিষ্টাচার। অলংকার বা গহনা দিয়ে দেহটাকে সাজানো হয়। কিন্তু লক্ষ্যনীয় একটা মানুষ যতই সেজে থাকুক, যদি তার আচার আচরণ ভদ্রচিত না হয় তবে কেউ তাকে পছন্দ করে না। তাই সবার সাথে মিলে মিশে থাকা, বন্ধু ভাবে থাকার জন্য চাই শিষ্টাচার শিক্ষা। মানুষের চারিত্রিক সম্পদ হল শিষ্টাচার । এই শিক্ষা মানুষের সাথে মানুষের ভালবাসার বন্ধনকে দৃঢ় করে। শিষ্টাচার এর মধ্য দিয়ে আমরা বাবা, মা, শিক্ষক, গুরুজনদের শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে শিখি। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের নিজেদের জীবনকে সুন্দর ও গৌরবময় করার জন্য শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধে শিক্ষিত করা। এটা সমাজজীবনে ও একটা গৌরবময় অধ্যায় । এই জীবনকে পূর্ণ করার দায়িত্ব ছাত্র-ছাত্রীদের। যে কোন শিক্ষাই ধৈর্য ধরে ভালোবেসে শিখলে তার সুফল নিশ্চিত।
No comments:
Post a Comment