Monday, February 20, 2023


 

প্রবন্ধ 


বাঙালি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ভুলে যাচ্ছে দিন দিন
বটু কৃষ্ণ হালদার

আ_মরি প্রাণের বাংলা ভাষা,অমি তোমায় বড় ভালবাসি।আমার গর্ব এই ভাষাতেই আমি মা বলে ডাকি। বাঙ্গালীর অতি প্রিয় বাংলা ভাষা বর্তমানে শুধু ভারত বর্ষ নয়,সমগ্র বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।উনিশ শতকের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের রেনেসাঁ শুরু হয় এই বাংলায়। এরপর বাংলাভাষাকে নিয়ে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।স্বামী বিবেকানন্দ,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর মত মনীষীরা কাঁধে করে বাংলা ভাষা, সাহিত্যকে বয়ে নিয়ে গেছে বিশ্বের দরবারে। ধীরে ধীরে বাংলা ভাষার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে সমগ্র বিশ্বে।সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে বাঙ্গালী জাতির মুন্সিয়ানা।এই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির টানে বিদেশীরা পাড়ি দেন এই বাংলায়। কিন্তু লজ্জাজনক বিষয় হলো এই বাংলা ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে অনেকেই শহীদ হয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো ১৯৫২ সালে অবিভক্ত বাংলাদেশ,১৯৬১ সালে আসামের শিলচরে বরাক উপত্যকায় ভাষা আন্দোলন অন্যতম।সালটা ছিল ১৯৫২ ,বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তানের অধীনে, উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা ঘোষণা করেন।আপামর জনসাধারণ মনে প্রাণে সেই ঘোষণা মন থেকে মেনে নিতে পারেনি, ভুলতে পারেনি যে উর্দু নয়, বাংলা তাদের প্রাণের প্রিয় ভাষা।শুরু হয় বাংলা ভাষার তরে  আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটি এক অমর রঞ্জিত রক্তে রাঙা ইতিহাস হয়ে আছে। স্বাধীন ভারতের রাষ্ট্র ভাষা হবে বাংলা সে সিদ্ধান্ত জাতীয় কংগ্রেস আগে থেকে নিয়ে ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা কি হবে সে সম্পর্কে মুসলিম লীগ কোনো অনুষ্ঠানিক প্রস্তাব গ্রহণের আগে পাকিস্তানে ঠিক হয়ে যায়।পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠার প্রাক্কালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চান্সলর জিয়াউদ্দিন আহমদ এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা উর্দু হওয়া উচিত মনে করেন।কিন্তু শাহীদুল্লা সহ ভাষা বিদগণ ও জনগণ মেনে নেন নি সেই প্রস্তাব,কারণ তাদের শিরায় শিরায় তখন বাংলা ভাষা একমাত্র অবলম্বন বলে মনে করেন ।কারণ জন্মের পর এই ভাষায় তারা প্রথম মা বলে ডেকেছে। তাই তারা তীব্র প্রতিবাদ জানান। কিন্তু রাষ্ট্র ভাষা প্রশ্ন তে মুসলিম লীগের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব গৃহীত না হলে ও রাষ্ট্রের প্রশাসনে অ বাঙালি উচ্চ পদস্থ আমলাদের আধিক্যর কারণে ভিতরে ভিতরে উর্দু কে একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা করার চক্রান্ত চালাতে থাকে।এ চক্রান্ত ধরা পড়ে যায় নতুন রাষ্ট্রে পোস্টকার্ড,এনভেলাপ, প্রভৃতিতে ইংলিশ শব্দর সঙ্গে উর্দু ভাষার ব্যবহার দেখে। ভাষা আন্দোলন কার্য চালানোর জন্য তমদ্দুন মজলিস সভা গঠন করা হয়।
এই সভা থেকে ১৯৪৭ সালের ১৫ ই সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা না উর্দু শীর্ষক পুস্তক লিখে ভাষা আন্দোলনের সূচনা করা হয়।এর পর তমদ্দুন মজলিশ বসে থাকেনি, ছাত্র শিক্ষক কর্মী সংযোগে বৈঠক করেন।এই সব কাজের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন এই মজলিশের প্রতিষ্ঠাতা আবুল কাশেম।ওই বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিজ্ঞানের শিক্ষক অধ্যাপক নুরুল হক ভুঁইয়া কে আহবায়ক করে রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রামের পরিষদ গঠন করেন।চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে বাংলা ভাষা আন্দোলন এর আগুন।৯৪৮সালের ৪ঠা জানুয়ারি পূর্ব বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্র লীগের একটি অংশ পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম ছাত্র লীগ নামে একটি সংগঠন আত্ম প্রকাশ করেন।প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সংগঠন ভাষা আন্দোলনের প্রশ্নে 
মতদ্দুন মজলিশের অবস্থান কে সমর্থন করেন। লীগ এর নাম করন করা হয় সংগ্রাম পরিষদ। এই লীগ এর পক্ষ থেকে ১১ ই মার্চ থেকে ১৯মার্চ পর্যন্ত ঢাকা শহরের সর্বত্র বাংলা ভাষার দাবিতে বিক্ষোভ চলতে থাকে।১৯ শে মার্চ কায়েদে আজম জিন্নাহর ঢাকা সফর করার কথা ঘোষণা করা হয়।এই সফরের আগে তৎকালীন চিফ মিনিস্টার খাজা নাজিম উদ্দিন পরিস্থিতি সামাল দিতে সকল দাবি দাওয়া মেনে নিয়ে সংগ্রাম পরিষদ এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এর পর জিন্নাহ ঢাকা শহরের রেসকোর্স ময়দানে এক জনসভায় ও কার্জন হলের বিশেষ সমার্তন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন উর্দুতে,  এবং সেই সঙ্গে উর্দু কে রাষ্ট্র ভাষারমর্যাদা দান করেন।কিন্তু সেই ভাষণে ব্যপক প্রতিবাদ হয়।বিশাল জনসভায় এ প্রতিবাদ টের না পেলে ও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত কিছু তরুণ যখন ভাষা সম্পর্কে তার বক্তব্যর প্রতিবাদ জানায় তখন তিনি থমকে যান এবং বক্তব্য শেষ না করে ফিরে আসেন।পরদিন তিনি বাংলা ভাষা সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ।কিন্তু উভয়েই নিজ নিজ বক্তব্য তে অবিচল থাকায় বৈঠক ভেঙে যায়।এই ভাবে চলতে থাকে আন্দোলন, অবশেষে সাল টা ছিল ১৯৫২, খাজা নাজিম উদ্দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঢাকায় এসে ২৭ শে জানুয়ারি পল্টন ময়দানে এক জন সভায় ভাষণ দেন উর্দু ভাষায় এবং সেই সঙ্গে ঘোষণা করেন উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা, যে নাজিম উদ্দিন ১৯৪৮ সালে বাংলা রাষ্ট্র ভাষা র দাবি মেনে নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন, তাঁর এ হেন ঘোষণায় বিশ্বাসঘাতক তার প্রতিবাদ এ ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে মিছিল শুরু করেন। মিছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি আসতেই পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের উপর গুলি বর্ষণ করেন, নিহত হন বাংলা ভাষা বুকের মাঝে রাখতে চাওয়া বীর সন্তানেরl রফিক, সালাম, বরকত সহ বহু বীর সন্তানেরা। শহীদ দের রক্তে রঞ্জিত হয়ে গেলো রাজপথ, আবার ও লেখা হলো প্রতিবাদী দের রক্তে রঞ্জিত অভিশপ্ত ইতিহাস। শোকবহ এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, তখন থেকে প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে শোক দিবস হিসাবে পালন করা হয়।অবশেষে ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে ৯ ই মে অনুষ্ঠিত গণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয় ।আবারো প্রমাণ হয়ে গেলো যে আন্দোলন যদি সঠিক পথে হয় জয় লাভ হবেই হবে, প্রতিপক্ষ একদিন ঠিক পরাজয় মানবে।
১৯৫২সালে ২১শে ফেব্রুয়ারী ঢাকার ইতিহাসে ঘটে যাওয়া ভাষা আন্দোলনের মর্যাদা রক্ষার দ্বিতীয় আন্দোলন হোল ১৯৬১ সালে ১৯ শে মে আসামের বরাক উপত্যকা য় ঘটে যাওয়া ভাষা আন্দোলন। ১৯ শে মে শিলচর ভাষা দিবস হিসাবে পালিত হয় কারণ এই উপত্যকায় বসবাস কারি সংখ্যা গরিষ্ট বাঙালি তাদের বাংলা ভাষা কে স্বীকৃতি দিতে পথে নেমেছিল.. আর তাতে চলেছিল গুলি বর্ষণ, যাতে কমলা ভট্টাচার্য সহ শহীদ হয়েছিলেন এগারো জন ভাষা সৈনিক।স্বাধীনতার পর উত্তর ভারত বর্ষের প্রথম ভাষা আন্দোলনের ভাষা শহীদ, এর পর দক্ষিণ ভারতে ব্যপক হিন্দি আধিপত্য বিরোধী ভাষা আন্দোলনের প্রকাশ পায়। এই দেশের ভাষা আন্দোলনের প্রথম হলেন শহীদ ষোড়শী কমলা ভট্টাচার্য ।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল বাংলা ভাষার প্রাণ পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম শতবর্ষ উদযাপনের মাত্র কয়েক দিন পরেই এই আন্দোলন তথা শহীদ বরণ দিবস।আগে থেকেই চলমান আসামের বাঙ্গাল খেলা,দাঙ্গার সাথে শুধুমাত্র অসমিয়া ভাষা কে আসাম রাজ্যের একমাত্র সরকারী ভাষা ঘোষণা করায়।এই আন্দোলনের সূচনা হয় বরাক উপত্যকায়  শিলচর শহরের রেল স্টেশন চত্বরে ঢুকে পড়ে গোটা স্টেশন দখল করে নেয়, অফিস কর্মচারীদের চেয়ারে বসে পড়ে. কর্মকর্তারা বসবার জায়গা না পেয়ে ফিরে যান, প্রশাসন কে অচল করে দেয়, ওই বছর ২৬শে মে ঈদ উৎসবের দিন সকল ধর্ম প্রাণ বাঙালি মুসলমান রা বুকে কালো ব্যাজ পরে হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদে সামিল হন। সাম্প্রদায়িক ঊর্ধ্বে এক গৌরব উজ্জ্বল অধ্যায় এটি।ইতিহাসে অবশেষে বাংলা ভাষা সরকারী স্বীকৃতি লাভ করে।
মহান শিলচর এর ভাষা আন্দোলন আমাদের মতো বহু ধার্মিকদের এক বিশেষ বার্তা বহন করে, নিজ ভাষা ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মের ভাষার প্রতি দেওয়া দরকার ।ফেডারেল রাষ্ট্র নীতি হাওয়া দরকার।স্বাধীনতার আগে থেকে যে সমস্ত বাংলা ভাষা পরিচালিত স্কুল গুলি কে বাঁচিয়ে রাখা।তাই এগারো টি স্বীকৃতি ভাষা ছাড়া ভারত বর্ষে অন্যান্য ভাষার সার্বজনীন অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
বুকের রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছিল বাংলা ভাষার মান। সেই বাংলা ভাষা বর্তমানে বিশ্বের দরবারে জয়জয়কার। ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে বাংলা ভাষাকে_"sweetest language in the word"হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।স্পানিশ ও ডাচ ভাষাকে যথাক্রমে দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।আবার মার্কিন ব্যালট  পেপার এ বাংলা ভাষার ব্যাবহার করা হয়েছে।এর আগে অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার সংসদ ভবনে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবেস্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।বাঙালি হিসেবে আজ গর্ব করার দিন।কিন্তু সেই বাংলা ভাষা এই বাংলায় বর্তমানে উপেক্ষিত।ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগের দাম এই বাংলা না দিলেও বিশ্ব দরবারে তার প্রাপ্য মর্যাদা লাভ করেছে। একি কম গৌরবের কথা।
আজ বাঙালি ভুলে গেছে আপন পথে চলতে/
আজ বাঙালি ভুলে গেছে বাংলা কথা বলতে/আজ বাঙালি হয়ে গেছে অন্য ভাষার দাস/বাংলা ভাষায় বললে কথা পড়বে তোমার লাশ।বর্তমান সময়ে বাঙালি আজ ভুলতে বসেছে তার প্রিয় বাংলা ভাষা।শুধু তাই নয় বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে বাংলা ভাষায় শিক্ষক নিয়োগ চেয়ে রাজেশ অরুণ তরুণদের মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে।এই সময়ে বাংলা ভাষার মান তলানি তে এসে ঠেকেছে।এই ভোট উৎসবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ভোটের স্লিপ প্রদান করা হচ্ছে তাতে উর্দু ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে কি বর্তমান রাজ্য সরকার ১৯৫২ সালে অবিভক্ত বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের কথা ভুলে গেছে।তৎকালীন সময়ে অবিভক্ত বাংলাদেশের বাঙ্গালীদের উপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার অপমান তারা সহ্য করতে পারেনি।সালাম,রফিক, বরকত রা বুকের রক্ত দিয়ে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তৈরি করে গেছেন। অথচ বাংলা ভাষার পিঠস্থান এই পশ্চিমবাংলায় ভোটের স্লিপ উর্দু ভাষাকে প্রাধান্য দিয়ে রাজ্য সরকার কি বুঝাতে চাইছেন? কিন্তু একটা কথা মনে রাখা দরকার,এটা পশ্চিম বাংলা।এখানে বাংলা ভাষা, সাহিত্যর ঐতিহ্য সংস্কৃতি যুগ যুগ ধরে বহন করে চলেছে। তাই কখনোই রাজ্য সরকারের চাপিয়ে দেওয়া উর্দু ভাষার দালালি করা এই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মন থেকে মেনে নেবে না।উর্দু ভাষাকে প্রাধান্য দিয়ে এই পশ্চিমবাংলাকে জঙ্গী কার্যকলাপের প্রধান আশ্রয় স্থল ও পাকিস্তান বানিয়ে তুলতে চাইছে।এ কথা অস্বীকার করার উপায় আছে কি? এখন প্রশ্ন বর্তমান রাজ্য সরকার সত্যিই কি পশ্চিমবাংলার বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কথা ভাবেন?খোদ পশ্চিমবাংলায় ভোটের স্লিপ উর্দু ভাষাকে প্রাধান্য দিয়ে বাঙালি সমাজের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। এর ফল কিন্তু আগামী দিনে মারাত্মক হতে চলেছে,তা বলা বাহুল্য।কিছু রাজনৈতিক দল ১৯৫২ সালে অবিভক্ত বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, ও ১৯৬১ সালের আসামের শিলচর এর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস  মুছে দিতে চাইছেন। বাঙালির অতি প্রিয় বাংলা ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে সমাজের তরুণ-তরুণীরা বুকে বুলেটের চিহ্ন এঁকে ছিল।সেই ইতিহাস বর্তমান  সরকার ভুলে গেলেও বাঙালি সমাজ কিন্তু ভুলে যায়নি।আজও এই দুই বাংলায় যথার্থ সম্মানের সঙ্গে ভাষা দিবসের শহীদদের কথা স্মরণ করে ভাষা দিবস পালন করেন। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের সম্মানার্থে তাদের বেদীতে মাল্যদান করেন।তাই যতদিন বাঙালি বিশ্বের বুকে থাকবে ততদিন তারা বাংলা ভাষাকেই নিজেদের প্রিয় ভাষা রূপে বরণ করবেন। প্রয়োজনে বাংলা ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে আবারো বাঙালি সমাজ মৃত্যুবরণ করতে প্রস্তুত হবে।উর্দু ভাষাকে নয়।

No comments:

Post a Comment