`কতটা পথ পেরোলে পরে....`
অমৃত পথের সন্ধানে
ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে...
ঠিক কতটা পথ পেরোলে পরে জীবন চেনা যায়? মানুষ চেনা যায়? নিজেকে চেনা যায়? কতটা?
আমার জীবনটা আমার শিকড়ের হিসেবে দুটো ভাগে বিভক্ত। ছোটবেলা থেকে কৈশোর পেরিয়ে প্রাপ্তবয়স্কতার চৌকাঠ অবধি উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে আর তার পরের সময়টা দক্ষিণবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে। এর মধ্যে আবার অনেকটা সময় কর্মসূত্রে কেটেছে কলকাতার পথে ঘাটে। পথের কাহিনীর বিস্তৃত পরিসর তাই কোচবিহার, শ্রীরামপুর, কলকাতা এই সমস্তটা জুড়েই, এবং, তার বাইরেও।
যখন একাধিক জায়গা ছুঁয়ে বয়ে চলে একটা জীবন, তার স্মৃতির অস্থি মজ্জা রক্তে অসংখ্য ছোট ছোট মুহূর্ত এমন গভীর আশ্লেষে মিশে থাকে যাকে বাদ দিলে তার পুরো অস্তিত্বটাই অর্থহীন। তাই বহু পেছনে ফেলে আসলেও কোচবিহারে সাহিত্যসভা বাই লেনের পরিস্কার সুপ্রশস্ত এবং সবুজে ছাওয়া শান্ত রাস্তা ধরে এগিয়ে এসে ডাইনে ঘুরে চারমাথার ছোট্ট মোড় থেকে আবার বাঁয়ে ঘুরে সোজা এগিয়ে সুন্দর কেয়ারি করা বহুবিচিত্র ফুলের গোলাকৃতি বাগান গোলবাগান ছাড়িয়ে মিনিট দশেক সোজা রাস্তা ধরে হেঁটে বাঁয়ে ঘুরতেই আমার স্কুল সুনীতি একাডেমী, যেখানে যাওয়া আসার এই পথের স্মৃতি আজও ভীষণ জীবন্ত। যদিও স্কুলে যাবার জন্য রোজকার বাঁধা রিকশা ছিল, তাও মাঝেমধ্যেই তাকে ফাঁকি দিয়ে মিনিট পনেরোর এই রাস্তাটা আমি হেঁটেই যেতে পছন্দ করতাম, আর এই সুযোগটা সবচেয়ে বেশি মিলত বর্ষাকালে যখন প্রায়দিনই প্রবল বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই ছুটি হয়ে যেত স্কুল। রিমঝিমে বৃষ্টির মধ্যে পথের জল ছাপিয়ে আপনমনে বাড়ি ফেরার সেই নির্মল আনন্দের দিনগুলো এখনও মনের একেবারে গহীনে গেঁথে আছে। সেই সময় শহরের মধ্যে রিকশা, সাইকেল আর হাঁটা এই তিনটিই ছিল সবচেয়ে প্রচলিত চলাচলের মাধ্যম। শহরের সুন্দর সুসজ্জিত পরিচ্ছন্ন রাস্তাগুলো হাঁটার যোগ্যও ছিল। স্কুলে যাওয়া আসার এই রাস্তাটুকু বাদ দিলে ছোটবেলার স্মৃতিতে যে আরও একটা রাস্তা একেবারে অমলিন হয়ে গেঁথে আছে সেটা হল সাহিত্য সভায় আমাদের বাড়ি থেকে ডানদিকে মিনিট পাঁচ সাতেক হাঁটলেই এবড়ো খেবড়ো আঁকাবাঁকা ঈষৎ চড়াই পেরিয়ে উঠে যাওয়া বাঁধের পাড়ের রাস্তা। বর্ষার ভরা তোর্ষার রোষ থেকে বাঁচতে তৈরি এই বাঁধের পাড় এখন পাকা করে বাঁধিয়ে দেওয়া হলেও সেসময় ওটা স্রেফ একটা সাধারণ মাটি বালি পাথর মেশানো গ্রাম্য পথই ছিল। কতদিন সকালে বাঁধের পাড়ের দীর্ঘ মেঠো রাস্তা দিয়ে টিউশন পড়তে গিয়ে অথবা কোনও রোববারের বিকেলে তোর্ষার চরে ভাই বোনেদের সাথে খেলতে গিয়ে শহুরে সাজানো ছবির বাইরের দিগন্তবিস্তৃত মুক্ত প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হয়ে কেবল নির্নিমেষ চেয়ে থেকেছি তার হিসেব নেই। পরবর্তীতে কোচবিহার ছেড়ে এলেও এ পথদুটো আমার স্মৃতিতে আজও অমলিন।
শ্রীরামপুর কলেজে পড়াকালীনও হেঁটে কলেজে আসা যাওয়ার একটা অভ্যেস ছিল আমার। শহর হিসেবে শ্রীরামপুরের সাথে কোচবিহারের একটা গুণগত মিল আছে। দুটো শহরই রাজানুকূল্যে গড়ে ওঠা, শিক্ষা সংস্কৃতি ও রুচিশীল কৌলীন্যে সিক্ত এবং অবস্থানগতভাবে নদীতীরস্থ। শ্রীরামপুর কলেজের পেছনের অংশের পথটি ছিল গঙ্গার ধার ঘেঁষে এবং সেকারণেই প্রায়দিনই ছুটির পর সামনের দিকের সহজ রাস্তা না ধরে বিকেলের নরম আলোয় বড় বড় গাছে ঘেরা সুদীর্ঘ গঙ্গাপাড়ের ছায়াঘন পথ ধরে বাড়ি ফিরতাম আমি। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, এক নিয়ম। আর এ কারণেই সারা বছর ধরে গঙ্গার কত বিচিত্র রূপের যে সাক্ষী হতে পেরেছিলাম, এখন বুঝি সে আশ্চর্য সৌন্দর্য কেবলমাত্র দর্শনেই উপলব্ধি করা যায়, ভাষায় তার প্রকাশ নেই।
এরপর, কর্মসূত্রে দীর্ঘকাল কলকাতায় যাতায়াত করেছি। তবে কলকাতার বিচিত্র ঘটনাবহুল পথের অনেকটাই বাসের জানালায় বসে অপলক বাইরে চেয়ে দেখা, কিছুটা নিজে হেঁটে হেঁটে অনুভব করা। বড়বাজার, স্ট্রাণ্ড রোড আর মধ্য কলকাতার পথে পথে রোজ কত যে গল্প ভাঙে গড়ে, মহানগরীর অন্তহীন রাজপথের দুইধারে ধুঁকতে ধুঁকতেও কোনমতে বেঁচে থাকা সারি সারি পুরনো ভাঙাচোরা বিশাল বিশাল খড়খড়ি আর টানা বারান্দার অট্টালিকাগুলোতে কত যে কাহিনীর ভিড় জমে রোজ, একটা দীর্ঘ সময় সেই সব রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত না করলে তার আভাস পাওয়া যায় না। আজও তাই কলকাতা গেলে কাজ থাকুক কি না থাকুক, কিছু বিশেষ চিরচেনা পুরনো পথ ধরে হাঁটতে বড় ভালবাসি আমি। এবং সেটা ঠিক কোনও নস্ট্যালজিয়ার ভাসা ভাসা আবেগের জন্যে নয়, পায়ের তলার মাটির সাথে নিজের আত্মিক সংযোগটুকু ধরে রাখার অদম্য বাসনাতেই আমার এই একান্ত পথ চলা। এইসব পথের আশেপাশের জীবনগুলো আমার জীবনের চেয়ে অনেক অনেক আলাদা হলেও নানাস্তরের এইসব মানুষ, তাদের দৈনন্দিনের নির্মম জীবনযুদ্ধ, আর এত পরিশ্রমের পরেও এই সমাজে শেষ অবধি তাদের ঠিক কতটুকুই বা মূল্য, যবে থেকে এদের পথে ঘাটে দেখেছি, এ ভাবনাগুলো ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সবসময় ভীষণভাবে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে। পথে পথে হেঁটে মানুষ চিনতে গিয়ে এই মুহুর্তগুলোতে শেষ অবধি তাই অন্য কিছু নয়, যেন নিজেকেই বারবার নতুন করে খুঁজে পেয়েছি আমি। তবে, এখনও অবধি নিজেকে চেনার এই সুদীর্ঘ যাত্রায় যে পথটি আমাকে আসলে পথ দেখিয়েছে সেটা কিন্তু এখানে কোথাও নয়, আমার রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে সে পথের হদিশ অনেক অনেক দূরে, আরও এক গঙ্গাপাড়ের নগরী, শিবশক্তির পরম স্থান, সুদূর উত্তরপ্রদেশের বেনারস অর্থাৎ কাশীর ঘিঞ্জি পুরনো গলিপথ থেকে ঘাটের পর ঘাট পেরিয়ে তার বাস।
বেনারস আমি প্রথম যাই আজ থেকে ঠিক বারো বছর আগে, ২০১২ সালে। এরপর আবার ২০১৭ এর এপ্রিলে এবং ২০১৮ এর পুজোয়। যেকোনও জায়গায় বেড়াতে গেলেই পায়ে হেঁটে সে জায়গা ঘোরা আমার চিরকালের অভ্যেস। বেনারস স্টেশনে নেমে অটোয় করে অপেক্ষাকৃত পরিচ্ছন্ন ও উন্নত নতুন বেনারসের গতানুগতিক শহুরে আধুনিকতা ছাড়িয়ে মিনিট কুড়ি গেলেই আদি পুরাতন বেনারস। আমরা প্রতিবারই এই পুরনো বেনারসের গোধুলিয়া সংলগ্ন হোটেল নিতাম যাতে বাবা বিশ্বনাথের মন্দির আর দশাশ্বমেধ ঘাটটা কাছে হয়। এর মধ্যে দুবার হোটেলে থাকলেও একবার ছিলাম ঘাটের একেবারে কাছেই দশাশ্বমেধ বোর্ডিং হাউসে। এই বোর্ডিং হাউসটির নাম আগে ছিল ক্যালকাটা লজ এবং সত্যজিৎ রায়ের জয় বাবা ফেলুনাথে ফেলুদা তোপশে আর লালমোহনবাবুর কাশীবাসের ঠিকানা ছিল এটাই। সুলভ মূল্যে দশাশ্বমেধ ঘাটের একেবারে কাছে থাকা ও খাওয়ার পক্ষে এখনও মধ্যবিত্ত বাঙালির এটাই প্রথম পছন্দ। এখান থেকে বেড়িয়ে ডাইনে বেঁকে দশ পা যেতে না যেতেই বাবা বিশ্বনাথের মন্দিরের প্রধান ফটক আর বামে সামান্য হাঁটলেই সকাল সন্ধ্যের গঙ্গা আরতির প্রধান স্থান দশাশ্বমেধ ঘাট। বেনারসে শিবপুজোর আগে কালভৈরবের পুজোর নিদান আছে এবং আমরাও সেই প্রথামতোই প্রতিবার প্রথমে কালভৈরব ও তারপরে বাবা বিশ্বনাথের পুজো দিয়েছি। কালভৈরবের মন্দির বেনারসের বিশ্বেশ্বরগঞ্জ এলাকায়। শেষবার যখন বেনারস যাই ঠিক করেছিলাম এখানে পুজো দিয়ে বেড়িয়ে ডানদিকের অপরিসর গলিপথ ধরে পায়ে হেঁটে বোর্ডিং হাউসে ফিরব। কাশীকে পুরোপুরি জানতে হলে কাশীর প্রবাসী বাঙালি অধ্যুষিত বাঙালিটোলার পাশাপাশি খাঁটি উত্তরপ্রদেশীয় এই সব গলিগুলোতে পায়ে হেঁটে ঘোরার অভিজ্ঞতাও একান্ত জরুরি। অত্যন্ত অপরিসর ঘিঞ্জি সংকীর্ণ পুরনো কাশীর এইসব গলি ভেতরে ভেতরে এঁকে বেঁকে চলে গেছে বহুদূর। বেশিরভাগ গলিতেই সরাসরি সূর্যালোক প্রবেশ করে না। মধ্য ও উত্তর কলকাতার গলির সাথে চেহারায় কিছুটা মিল থাকলেও চরিত্রগতভাবে একেবারেই আলাদা বেনারসের গলি। দু’ফুট মাত্র প্রশস্ত রাস্তার মধ্য দিয়েই নির্বিকারভাবে দ্রুত গতিতে ক্রমাগত যাতায়াত করে চলেছে মানুষ, সাইকেল, অটো, রিকশা, বাইক এবং কাশীর একমেবাদ্বিতীয়ম পরম আরাধ্য প্রকাণ্ড বাঁকানো শিংওলা ষাঁড় ও গরু। এই মনুষ্যেতর প্রাণীদুটির তাদের আশেপাশের সহযাত্রীদের সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই, এমনকি, তাদের জন্যে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার কোনও তাড়া বা ইচ্ছেও নেই। অনভ্যস্ত আমরা অতি সন্তর্পণে সুকৌশলে এদের থেকে গা বাঁচিয়ে গলিপথ ধরে হাঁটছিলাম ধীরে ধীরে। দু’পাশে আকাশচুম্বী পুরনো সব অট্টালিকার সারি। কোনও কোনও বাড়ির ভেতর থেকে মাঝেমধ্যেই সুরেলা রেওয়াজি কণ্ঠের শাস্ত্রীয় ঘরানার গান কি বাদ্যযন্ত্রের ক্ষীণ সুর ভেসে আসছে। তখন প্রায় দুপুর। তবে আদি বেনারসের ঘরে ঘরে সঙ্গীত তালিমের রেওয়াজ এত পুরনো যে এসব অলিগলিতে হাঁটলে দিনের যেকোনও সময়েই তার নিয়মিত অভ্যাসের শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।
কালভৈরবের মন্দির থেকে বেড়িয়ে প্রায় মিনিট কুড়ি পঁচিশ হাঁটলে বেনারসের রেলব্রীজ পার্শ্ববর্তী গঙ্গাপাড়ের দুর্গা ঘাটে পৌঁছনো যায়, তারপর সেখান থেকে ডাইনে গোটা দশ বারো ঘাট পেরিয়ে দশাশ্বমেধ ঘাট যা থেকে হেঁটে ওপরে উঠে গোটা বিশেক পা চললেই আমাদের আস্তানা। এই গোটা পথের মধ্যে মাঝামাঝি জায়গায় পড়ে কাশীর চিতা সহযোগে দাহকার্যের একমাত্র ঘাট মণিকর্ণিকা। ঘাটে পৌঁছানোর আগেই একপাশে ভীষণরকম অপ্রশস্ত সিঁড়ি ধাপে ধাপে নেমে গেছে গভীর সীতাকুণ্ডে আর উল্টোদিকের গঙ্গার পাড়সংলগ্ন ঘাট জুড়ে বিশাল বিশাল কাঠের ও দাহকাজে জরুরি যাবতীয় সামগ্রীর সার সার দোকান। কাশীতে মৃত্যু পরম পুণ্যের এবং মৃত্যু পরবর্তী আচার সংস্কারও অত্যন্ত শ্রদ্ধাসহকারে নিয়ম মেনে করা হয়। এর মধ্যে হরিশচন্দ্র ঘাটে ইলেকট্রিক চুল্লির ব্যবস্থা থাকলেও সনাতন ধর্মমতে বিশ্বাসী অধিকাংশ কাশীবাসীই মণিকর্ণিকা ঘাটের কাঠের চিতায় অমৃতলোকে গমনকেই শ্রেয় মনে করেন। কাশীর মণিকর্ণিকা ঘাটের চিতার আগুন তাই কখনও নেভে না। দিবারাত্রি জ্বলতেই থাকে। দুই ধারের দোকানী খরিদ্দারের ব্যবসায়িক কোলাহলকে পেছনে ফেলে সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে ক্রমশ ঘাটের যত কাছে যাওয়া যায়, গঙ্গার খোলা হাওয়ার দাপটে জ্বলন্ত চিতার লেলিহান অগ্নিশিখার উত্তপ্ত ঝাপটা আর উড়ন্ত ছাইয়ের গুঁড়ো চোখে মুখে এসে লাগে, আর, মৃত্যুর অমোঘ নিশ্চয়তাকে প্রতিটি রোমকূপে অনুভব করা যায়। যে জীবনের ঠুনকো দম্ভে প্রতি মুহূর্তে দর্পের সাথে বাঁচি আমরা, একটা সময় তা যে স্রেফ ছাই হয়ে জলে বাতাসে মিশে যায়, এর প্রত্যক্ষ সাক্ষী মণিকর্ণিকার প্রতিটি ধূলিকণা। সাংসারিক যাবতীয় আকাঙ্খা লোভ মোহ থেকে মুক্ত সর্বত্যাগী মহাসন্ন্যাসী শিব এবং জীবনের একমাত্র ধ্রুবক নিয়ন্তক মৃত্যুর আরাধনা, এই দুই অত্যাশ্চর্য অনুভবই আমার বেনারসের পথ পরিক্রমার পরম প্রাপ্তি। অসীম আনন্দময় এ জীবনের সমাপ্তিটুকু আত্ম অহঙ্কারের বশে যতই এড়িয়ে যেতে চাই, তাই যে শেষপর্যন্ত একমাত্র ধ্রুবসত্য, এবং সে সত্য স্বীকারেই যে জীবনের আসল পূর্ণতা, বেনারসের এই ভীষণ জরুরি শিক্ষাটাই কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমাকে জীবনকে আরও বেশি করে ভালবাসতে শিখিয়েছে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের অনন্ত সম্ভাবনাময় মূল্যকে সম্মান করতে শিখিয়েছে। তাই যতটা পথ হেঁটে বেনারসের অলি গলি পেরিয়ে অবশেষে মণিকর্ণিকায় পৌঁছেছিলাম আমি, তার সবটুকুর সার্থকতাই আজ আমার প্রতি মুহূর্তের যাপনে, প্রতি মুহুর্তের জীবন উদযাপনে। অমৃতমুক্তির সন্ধান দেওয়া সেই পথই তাই আজও আমার জীবনের একমাত্র অমৃত পথ।
No comments:
Post a Comment