মুজনাই সাপ্তাহিক
কন্যের ডুয়ার্স যাত্রা
শ্রাবনী সেনগুপ্ত
ডুয়ার্স যাচ্ছে কন্যে
সঙ্গে আছেন বুড়ো চাকর
মাল বইবার জন্যে।
শখ যে তার ছোট্টবেলার
দেখবে সে জঙ্গলের বাহার
ঝর্ণা আর পাখপাখালির
কলতানের ছন্দে ,
মাতবে মন আনন্দে।
কিন্তু সংসারেরই চাপে
স্বপ্নটি তার পড়ে যাচ্ছিলো ফাঁকে।
এবার যাহোক সময় সুযোগ করে ,
বসলো সে রেলগাড়িতে চড়ে,
নামলো এসে নিউ মাল জংশনে।
সেখান থেকে ওয়াগনে করে
চললো কন্যে ডুয়ার্সের অন্দরে।
চারিদিকে সবুজের ঘনঘটা,
তারই মাঝে আলো-আঁধারির ছটা।
পথে মিললো দেখা নাগরাকাটা, মাটিয়ালী, চালসার
নামগুলি বেশ, মনে রয়ে যায় রেশ।
হঠাৎ পথ আটকালো দাঁতাল এক হাতি
এবং তার গুটি কয়েক সঙ্গীসাথী।
কন্যে ফটাফট ছবি তুললো ক্যামেরায়
বুড়ো চাকর খুশি বেজায়।
বেশ কিছুক্ষন পরে,
হাতির দল চলে গেলো রাস্তার ওপারে।
আবার শুরু হলো পথ চলা,
সৌন্দর্য তার ভাষায় যায়না বলা।
অবশেষে থামলো গাড়ি
সামনে হোটেল মস্ত ভারী,
মালপত্তর তাড়াতাড়ি নামিয়ে সেথায়
কন্যে আবার ঘুরতে চললো হেতায় হোথায় ।
চা বাগানের সবুজ আভায় চোখ ভরলো ,
অপূর্ব এক আবেশ মন কাড়লো।
মূর্তি নদীর ছুটন্ত জলরাশি
যেন শিশুর মতন হাসিখুশি।
পরদিন কন্যে চললো দেখতে জঙ্গল,
সঙ্গে টুরিস্ট আরো এক দঙ্গল।
চারিদিকে শাল-মহুলের বৃক্ষ সারিসারি
তারমধ্যে দিয়ে চলেছে জঙ্গল সাফারি।
দেখা মিললো একশৃঙ্গ গন্ডার,ময়ূর, হরিনের
সবুজ পাতার ফাঁকে চিতার হলুদ-কালো শরীরের।
শেষ হলো জঙ্গল সাফারি,
হোটেলে ফিরলো কন্যে
মন তার খুশি ভারী।
এবার বাড়ি ফেরার পালা ,
বুড়ো চাকরির সঙ্গে কন্যে করলো এক শলা।
যেভাবেই হোক প্রতিবছর আসবেই সে ডুয়ার্সে
মন ভরাবার জায়গা কন্যে পেয়েছে অবশেষে।
No comments:
Post a Comment