Thursday, April 4, 2024


 

মুনা 

অনলাইন চৈত্র সংখ্যা ১৪৩০



ইমনকল্যাণ
 অর্পিতা মুখার্জী চক্রবর্তী

ড্রইং রুমটায় নীচু স্বরে গুঞ্জন উঠছিল থেকে থেকে।কদিন ধরেই এমন চলছে।মধুরা নার্সিং হোম থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই।আজ তো দোলের অজুহাত আছেই। রং দেওয়ার আছিলায় আরো একটু বেশি সংখ্যায় এরা সব এসে হাজির হয়েছে।মায়ের অবিরাম বলে চলায় আর কান্নাকাটিতে মধুরাকেও এসে দাঁড়াতে হয়েছে এদের মাঝে।কত দুঃখ আর দেবে বাবাকে, মাকে। এমনিতেই তো মরে বেঁচে আছে মানুষ দুটো কিছুদিন যাবত।মধুরাকে একটু স্বাভাবিক দেখলে, ওর মুখে একটু হাসি দেখলে প্রাণ পায় যেন এঁরা। নিজের জীবনের সমস্ত রং চলে গেলেও অনুজ্জ্বল ফ্যাকাসে মুখে কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে তাও মধুরা এঁদের জন্যই শুধু সকলের দেওয়া রং মুখে মেখে ঘরের এককোণে বসেছে সবাইকে সঙ্গ দিতে।
 জানলা ঘেঁষে বসে বেশ অনেকটা ওপর থেকে দামাল বসন্ত বাতাসের হুটোপুটির দিকে আলগোছে চেয়ে ছিল মধুরা। দামাল..ঠিক আবিরের মতো।মুখটা মনে ভেসে উঠতেই চোখের কোণ চিকচিক করে উঠলো।
অবন্তীকার প্রায় ফিসফিস করে বলা আন্তরিক কথাগুলো কানে এল,
'কী করে ওর মতো ছেলে এমন পারলো! আবিরের বিয়ে!আমার তো ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে।'
খসখসে গলায় চাপা স্বরে ব্রততী বলে উঠলো,'না ভাবতে পারার আছেটা কি? এটাই খুব স্বাভাবিক।ওর নিজের জীবন,নিজের সিদ্ধান্ত এবং উপযুক্ত সঠিক সময়ে ও সেটা নিয়েছে।'
নীচু আওয়াজে বাসবীদি যোগ করলো,'যতই আমরা এগোই না কেনো,এখনও সমাজ, পরিবার ও কিছু মূল্যবোধের ওপরে আমরা উঠতে পারিনা।'
কাতর স্বরে অবন্তীকা বলল,'থামবে তোমরা প্লিজ.. কোথায় বসে কথাগুলো বলছো সে খেয়ালটুকু অন্তত রাখো..'
এত মন কেমনের মধ্যেও হঠাৎ খুব হাসি পেল মধুরার। এই ব্রততী আর বাসবীদি মিলেই কিছুক্ষণ আগে মায়ের সামনে কত ভালোবাসা দেখিয়ে মধুরাকে জোর করে ফলগুলো খাওয়ালো.... 
আর নিতে পারছেনা মধুরা।এরা নিয়ম করে সেই কবে থেকে দায়িত্ব নিয়ে আসা শুরু করেছে এখানে।মা-বাবার ধারণা এরা এলে মধুরার মন ভালো থাকবে,ও পুরোনো সবকিছু ভুলে যাবে ধীরে ধীরে, ওর একা লাগবেনা।ও একা ঘরে থাকলেই মা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে,বাবা অস্থির হয়ে বাড়িময় পায়চারি করে বেড়ায়।এমনিতেই এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেছে..বাবা- মাকে নতুন করে আর চাপ দিতে মন চায়না বলেই এদের মাঝে এসে বসা।মধুরা শুধু অবাক হয় এটা ভেবেই ,ওকে যারা ছোট থেকে মানুষ করলো ওর মনটাকে একটুও বোঝেনা তারা। বাবা- মাকে কিছুতেই বোঝাতে পারছেনা, ওর এখন কিছুদিন নিজের মতো করে থাকবার খুব প্রয়োজন.... 
                            বড় বিরক্তিকর লাগছিল মধুরার। দম আটকে আসে আজকাল সকলের  এই অতিরিক্ত মনযোগে, এতটা বাড়াবাড়ি রকমের লোকদেখানো ভালোবাসায়। সবটাই ভীষণ মেকি মনে হয়। সবাই মিলে এগুলো করে  আরও বেশি করে প্রতি মুহূর্তে মনে করিয়ে দিচ্ছে সেই ভয়ংকর দিনটির কথা। করুণা ঝরছে যেন সকলের দৃষ্টিতে। 'কারো অনুকম্পা চাইনা  আমার.. চাইনা'.... চিৎকার করে বলে উঠতে মন চায়। 
ছোটবেলা থেকে এমনিতেই না চাইতেই সব পেয়ে বড় হয়ে ওঠা। বড় দুই দিদির সঙ্গে বয়সের বিস্তর ফারাক থাকায় বহুবছর আগেই তারা নিজ নিজ কর্মজীবনে, সাংসারিক জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাবার চাকরি থেকে অবসর আর মধুরার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বার শুরু। বাড়ির সকলের থেকে প্রয়োজনের চাইতে বেশি আদর পেলেও মধুরার চাইতে বয়সগত বিস্তর ফারাকের জন্যই হয়তো বা বাড়ির কেউই সে অর্থে মধুরার বন্ধু হয়ে উঠতে পারেনি। 
                            ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বার সময় থেকেই জীবনে বন্ধুত্বের আসল আস্বাদ মিলেছে। চাকরিতে জয়েন করবার পর সেই পরিধি বেড়েছে আরও। বাড়ির লোকজন, পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন, চেনা পরিচিত লোকজনদের সঙ্গে সঙ্গে সেই কাছের, ভালোবাসার বন্ধুদের, কলিগদের মুখগুলোও কেমন অচেনা হয়ে গেছে এখন। মধুরার মুখের দিকে তাকিয়ে ওর ভেতর পর্যন্ত পড়ে নিতে চায় ওরা কেউ কেউ। মা ঘরে না থাকলে এমন সব প্রশ্ন করে, যে মধুরার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে, 
'তোমরাও যে মেয়ে সেটা ভুলে যাও কেমন করে? এ ঘটনাটা সেদিন তোমাদের যে কারোর সঙ্গে ঘটতে পারতো। '
মনের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আর ক'দিনের মধ্যে অফিস যাওয়া শুরু করবে ভেবেছিল। ভেতরের যে দগদগে ক্ষত সে তো রয়েই যাবে নিজের মতো। তবুও সময়ই হয়তো প্রলেপ হয়ে উঠবে একদিন এ কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বাভাবিক জীবনে ফিরতেই হবে, নিজের জন্য যতটা নয় বাবা মায়ের জন্য আরো বেশি করে। কিন্তু সেখানে তো এরাই থাকবে।এই মানুষগুলিই।এ মুহূর্তে বাইরে কোথাও চাকরির খোঁজখবরের কথা ভাবতেও পারছেনা। অচেনা নতুন কোনো পরিবেশে গিয়ে নতুন করে মানিয়ে নেবার মনও নেই আর।
                ভুলতে চেয়েও ভুলতে পারে কই.. মধুরার মন বার বার পিছিয়ে যায় অন্ধকার সেই দিনটিতে। 
              পাশের দুরন্ত পাহাড়ি ঝোরাটির মতোই কলকল করতে করতে এগিয়ে চলেছিল কয়েকজনের ছোটখাটো একটি দলের স্বতঃস্ফূর্ত ছেলেমেয়ে গুলো। হঠাৎ পাওয়া কয়েকদিনের ছুটির আনন্দ লুটে নিতে ঝাঁক বেঁধে বেরিয়ে পড়েছিল ওরা। 
                                  পূর্ব ভারতের এই অদেখা পাহাড়টিকে ঘিরে মধুরার বেশ কৌতূহল ছিল। সাহিত্যপ্রেমী বাবার কাছে এই পাহাড়ের পৌরাণিক গল্প শোনার পর থেকে এই পাহাড় ওকে টানতো খুব। আবিরকে একবার কখনো বলেছিল সবটা। ব্যাস্, সে- ই তোড়জোড় করে সকলকে একসঙ্গে করে এখানে আসবার পরিকল্পনা করে ফেলল। আবির এমনই। শান্ত মধুরার জীবনে ঝোরো হাওয়া হয়ে এসেছিল সে। মধুরার মনের সমস্ত বন্ধ দরজাগুলোও জীবনের প্রথম ভালোবাসার মানুষকে পেয়ে সমস্ত আগল ভেঙে অচেনা স্রোতের টানে ভেসে গিয়েছিল। তারপর.... শুধু ভালোবাসা আর ভালোবাসা.... 
                                এখানে এসেও বন্ধুরা একটু বাড়তি ভালোবাসার সুযোগ করে দিয়েছিল আবির আর মধুরাকে। সকলের সঙ্গে বেড়িয়েও তাই দলছুট হয়ে নিজেদের মতো করে চারিদিকের সৌন্দর্য্যকে লুফে নিতে নিতে আর বাবার থেকে শোনা কল্পলোকের ছবি আঁকতে, আঁকতে আবিরের হাত ধরে এগিয়ে চলেছিল মধুরা। 
              গল্প কথার মাঝে হঠাৎ ওরা আবিষ্কার করেছিল, ওরা পথ হারিয়েছে। প্রথমে খুব মজা লেগেছিল দুজনের। এরপর ধীরে ধীরে সন্ধ্যার ছায়া গাঢ় হতেই কেমন একটা অনুভূতি বাসা বাঁধছিল মনের মধ্যে। দুজনে মিলে বন্ধুদের নাম ধরে অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া পায়নি কারো। ছায়া ছায়া পথ ধরে কয়েকটি লোক তাদের পালিত পশুগুলিকে নিয়ে বাড়ি ফিরবার পথে তাদের দেখে দাঁড়িয়ে পড়েছিল সেখানে। ওদের সবটা বলায় ওরা পথ দেখিয়ে ওদের নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলল। 
                         'না, না, না'..... নিজের তীব্র এই আর্তনাদ নিজের কানে এখনও বড় স্পষ্ট মধুরার। একটা প্রায় অন্ধকার ঘরে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসা লোকগুলো বেঁধে রেখেছিল আবির আর ওকে। ওদের মোবাইল থেকে শুরু করে সঙ্গে থাকা টুকিটাকি সমস্ত জিনিস নিজেদের জিম্মায় করে নিয়েছিল ওরা। এরপর মধুরার দিকে হাত বাড়িয়েছিল। ওদের অনুনয়,  কাকুতি মিনতি,  চোখের জল কিচ্ছু সেই নির্মমতা, বিকৃতি, পাশবিকতাকে স্পর্শ করেনি। আবিরের চিৎকার,  প্রতিবাদ সব ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল ওদের লিপ্সার কাছে। প্রচন্ড মারধোর করে আবিরকে প্রায় অজ্ঞান করে ওরা তিনজন পর পর ক্ষুধার্ত শিকারি পশুর মতো মধুরার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। যন্ত্রণা ও আচ্ছন্নতার মধ্যেও আবিরের কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছিল মধুরার কানে। চরম অসহায়তার মধ্যে দিয়ে পার হয়েছিল সেই অন্ধকার রাত। মানুষরূপী হিংস্র পশুগুলোর লালসার শিকার অচেতন মধুরাকে নিয়ে আবিরের সেখান থেকে ফিরে আসা, সে এক অন্য গল্প। 
           নিজেকে নার্সিং হোমের বেডে আবিষ্কার করবার পর থেকে এই কিছুদিন আগে পর্যন্ত মধুরাকে একমাত্র সাথ দিয়ে গেছে আবির। আর সকলে সঙ্গে থেকেও যেন সঙ্গে নেই। বাড়ির লোকেরা লজ্জায়, কে কী বলবে সেই ভাবনায়, অহেতুক কান্নাকাটি করে আরও দুর্বল করেছে মধুরাকে। কী হতে পারতো বা পারতোনা তা নিয়ে খোশ গল্প বানিয়েছে অনেক কাছের আত্মীয়েরা। এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে তা নিয়ে নীতি উপদেশ দিতে বিনা আমন্ত্রণেই বাড়িতে এসে আজকের মতোই প্রায় প্রতিদিন আড্ডা বসিয়েছে কিছু বন্ধু, কলিগ। কিছুদিন আগে পর্যন্ত  এই পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে নিয়েছে আবির। বাড়িতে লোকজনের আসা যাওয়া অনেকটাই কমে এসেছিল তখন আগের তুলনায়। তবে হঠাৎ করেই আবিরের আসা- যাওয়া বন্ধ হয়েছে কয়েকটা দিন ধরে। মধুরাকে বলেছে অন্য কোম্পানিতে জয়েন করবে শিগগিরই, তাই ব্যস্ততা চলছে খুব। 
মধুরার চিকিৎসা থেকে শুরু করে কাউন্সেলিং, ওকে ওই ভয়ানক ট্রমা থেকে বের করে আনার জন্য ডাক্তারের নির্দেশে যাবতীয় কিছু নিয়ে যা কিছু করবার সবটাই একার দায়িত্বে করে গেছে আবির। একবারের জন্য কোনো সমবেদনা, অহেতুক সহানুভূতি দেখায়নি মধুরার সামনে। মধুরার মুখটা দেখে কষ্টে বুক ফেটে গেলেও হাসিমুখে সবটা করে গেছে কোনো প্রসঙ্গ না তুলে। আবিরের এই গভীরতা বারে বারে ছুঁয়ে গেছে তখন মধুরাকে। আরও ভালোবেসেছে ওকে,শ্রদ্ধা মিশে গেছে সে ভালোবাসায়। 
আবির বিয়ে করবে এরমধ্যেই.. কানাঘুষোয় খবর এসেছে মধুরার কাছে। এখনও তো ওর কলিগরা এ নিয়েই কথা চালাচালি করছে। একেবারে প্রথমে খবরটা মধুরাকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। ওই নারকীয় ভয়াবহতার থেকে বের হবার লড়াইয়ের মধ্যে আবিরের বিয়ের খবর প্রচন্ড আঘাত হয়ে এসেছিল মধুরার কাছে। ফোনেও একবারের জন্যও এ নিয়ে প্রশ্ন করেনি আবিরকে। মধুরার বাস্তববাদী মন নিজেকেই নিজে বুঝিয়েছিল অনেককিছু। সত্যিই তো, ওরা দুজন দুজনকে ভালোবাসলেও বিয়ের কোনো প্রতিশ্রুতি কখনো দেয়নি আবির। ওদের আলাপ ও ভালোবাসার সময়কালও খুব অল্প দিনের। আবির সবসময় বলতো, 'ভালো বন্ধু হিসেবে আমাকে সবসময় পাশে পাবি।'বন্ধুর দায়িত্ব সে নিজের সবটুকু দিয়ে পালন করেছে। তবুও এই ভরা বসন্তে কুয়াশা জমাট বাঁধে মনে। একরাশ শীতকাল বরফ শীতলতা নিয়ে ছেয়ে বসে রন্ধ্রে রন্ধ্রে। দুচোখ ছাপিয়ে  অকাল বর্ষার জলধারা নেমে আসে গাল বেয়ে।

দু সপ্তাহ পর..... 

                                 কুমকুম চন্দনে সাজানো  স্নিগ্ধ মুখখানির দিকে তাকিয়ে ছিল আবির। রাজ্যের বাইরে একটি কোম্পানির নতুন চাকরিতে জয়েন করবার তাড়াহুড়োয় চটজলদি এই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হলো আবিরকে। এজন্য পাত্রীর বাড়ির ও আবিরের বাড়ির লোকেরা কেউই সেভাবে প্রস্তুত ছিলেননা।হাতে হাত রেখে মন্ত্রোচ্চারণের সময় নিজের হাতের উষ্ণতা টুকুকে ভরসায় ও বিশ্বাসে ছড়িয়ে দিচ্ছিল নববধূর হাতে।নিজের চোখের আনন্দকে ভাগ করে নিচ্ছিল কাজল কালো মায়াবী চোখদুটির সঙ্গে।সাত পাকের প্রতিটি আবর্তের চিরন্তন ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জড়ানো কথাগুলিকে আগামীর নিশ্চিত সত্য হিসেবে অগ্নি দেবতার কাছে প্রার্থনা করে নিচ্ছিল দুটি সুন্দর মন। 
                             'যদেতৎ হৃদয়ং তব, তদস্তু হৃদয়ং মম। যদিদং হৃদয়ং তব, তদস্তু হৃদয়ং মম..... ' বৈশাখী বাতাসে উড়ে উড়ে মধুর ধ্বনি হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছিল শুভ পরিণয়ের মন্ত্রোচ্চারণ। আবিরের দেওয়া সিঁদুর ছুঁয়ে যাচ্ছিল মধুরাকে.. হ্যাঁ, মধুরাকেই।একটা ঘোরের মধ্য দিয়ে, একটা সুন্দর স্বপ্নের সত্যি হবার মাহেন্দ্রক্ষণকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে পার হচ্ছিল ওরা দুজন। মধুরার চোখের বিষন্নতা তখন বদলে যাচ্ছিল আনন্দে, মন জুড়ে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিল মিষ্টি এক আগামী, যার সবটা জুড়ে শুধু একটাই নাম..... 'আবির'....আর আবিরের ঠোঁট এত ভিড়ের মাঝেও মধুরার কানের কাছে নির্জনতা খুঁজে নিয়ে 'বন্ধু' বলে ভালোবাসার আশ্বাস ছড়িয়ে ডেকে নিচ্ছিল সুন্দর এক উজ্জ্বল সত্যিকারের গল্পকে।


No comments:

Post a Comment