গোমাতা
ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য
কাশী। বেনারস। ইতিহাসের চেয়েও প্রাচীন এই ঐতিহ্যবাহী শহরের দুটো ভাগ। প্রথমটি বেনারস রেল স্টেশন লাগোয়া নতুন আধুনিক বেনারস শহর, আর, দ্বিতীয়টি সেই যুগ যুগ ধরে চলে আসা আদ্যিকালের রূপ রস গন্ধ মেখে আজও সগর্বে দণ্ডায়মান সর্বপাপহারিনী গঙ্গাপার্শ্ববর্তী পুরাতন বেনারস তথা কাশী। কাশীতে দেখার জিনিস দুটি, গঙ্গা আর বাবা বিশ্বনাথের মন্দির, এবং, এর বাইরে যা কিছু সবই এই দুটিকে ঘিরেই আবর্তিত। কাশীর সুদীর্ঘ গঙ্গাতীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা মোট চুরাশিখানা ঘাটের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত ঘাটটি হল দশাশ্বমেধ ঘাট, যা প্রধানত ব্যবহৃত হয় বেনারসের প্রাণেশ্বর বাবা বিশ্বনাথের পুজো দিতে আসা স্থানীয় মানুষ বা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পুণ্যার্থীদের দৈনন্দিন স্নানকৃত্যাদিহেতু এবং ভোর ও সন্ধ্যার পবিত্র গঙ্গা আরতির জন্য। বাবা বিশ্বনাথ মন্দিরের পুরোহিতকুল এবং ভারপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের সুসংগঠিত উপস্থিতি ও আয়োজনে ধূপধুনো বাদ্য ডমরু চামর সহযোগে বহুবিধ ভক্তিমূলক সঙ্গীত এবং শাস্ত্রসম্মত গঙ্গাবন্দনার সাথে সাথে সমবেত উদাত্ত কণ্ঠের গঙ্গাস্তোত্র, গোবিন্দভজনা এবং শিবনামের মধুর ধ্বনিতে সকাল সন্ধ্যে আলোড়িত হয়ে ওঠে গোটা ঘাট চত্বর। দেশবিদেশ থেকে আগত পুণ্যার্থীদের ভিড়ে ঘাটের ছড়ানো সুপ্রশস্ত এলাকা জুড়ে এইসময় যেন পা ফেলারও জায়গা থাকে না। রোজকার এই জমজমাট গঙ্গা আরতি দর্শন করতে স্থানীয় মানুষজনও আসেন নিয়মিত। যেমন, কাশীদেবী আর তাঁর বছর ছয়েকের একমাত্র নাতি মোহন। রোজ সন্ধ্যের আরতির একটু আগে এসে ঘাটের শেষ ধাপটিতে বসে একমনে মুগ্ধ হয়ে এই গঙ্গা আরতি দেখেন কাশীদেবী এবং আরতির পাট শেষ হলে ছোট একটি মাটির প্রদীপ জ্বেলে মা গঙ্গাকে প্রণাম করে জলে ভাসিয়ে দেন, আর তারপর, নাতি মোহনের হাত ধরে মন্থর পায়ে ঘাটের পর ঘাট পেড়িয়ে বাড়ির পথ ধরেন। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, কাশীদেবীর এই নিয়মের অন্যথা নেই।
কাশীদেবী বেনারসেরই আদি বাসিন্দা। দশাশ্বমেধ ঘাট থেকে ঈষৎ দূরে বামদিকে তাকালে আরও গোটা দশেক ঘাট পেড়িয়ে যে রেলের ব্রিজ দেখা যায়, সেই ব্রিজের কাছেই একটি বেশ সুসজ্জিত ঘাট হল দুর্গা ঘাট। সরু সরু পাথরের অসংখ্য ধাপওলা সিঁড়ি নিচের জল থেকে একেবারে খাড়া উঠে গেছে অনেকটা ওপরে। এই দুর্গা ঘাট দিয়ে ওপরে উঠে এসে দু’পাশের আকাশছোঁয়া শতাব্দী প্রাচীন গোটা কুড়ি বাড়ি ছাড়িয়ে সামনে এগোলে বামদিকের এক সূর্যালোকবঞ্চিত প্রায়ান্ধকার সরু কানাগলির একেবারে শেষপ্রান্তে কাশীদেবীর বাসগৃহ। চটলা ওঠা রঙহীন প্রায় ভেঙে পড়া তিনখানি ঘর নিয়ে বাড়িটি, যার অপেক্ষাকৃত ভাল ঘরদুটির একটি ব্যবহৃত হয় কাশীদেবী ও মোহনের থাকার জন্য, অন্যটি রান্নাঘর, এবং, উঠোনসংলগ্ন ছইঢাকা তৃতীয় ঘরটি বরাদ্দ এ বাড়ির সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ প্রাণী, রোহিণীর জন্য, যে কিনা এই ঠাকুমা নাতির এই দিন আনি দিন খাই সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী উপায়! ধবধবে সাদা দুধেল গাই রোহিণীই কাশীদেবীর জীবনের পুরুষানুক্রমে প্রাপ্ত একমাত্র সম্বল।
************
“ তাড়াতাড়ি কর বেটা! আর দেরি করলে সবাই চলে যাবে যে!”, উদ্বিগ্ন কাশীদেবীর গলা ভেসে আসে গোয়ালঘরের ভেতর থেকে।
দ্রুত মুখ চালায় মোহন। গোল লালরঙা বাতাসাটার শেষ টুকরোটি মুখে পুরেই ঢক ঢক করে তাড়াতাড়ি এক ঘটি জল খেয়ে নেয় সে। এখনও ভোরের আলো ফোটেনি। অন্যদিন এত সকালে কখনও মন্দিরে যায় না তারা। কিন্তু আজ শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার। বাবা বিশ্বনাথের পুজোর আজ বড় পুণ্যের দিন! আজ থেকে শুরু হয়ে গোটা শ্রাবণ মাসটাই এই হুড়োহুড়ি চলবে। প্রতি বছর এই সময়ে দিনরাতের ঠিক থাকে না তাদের।
“ আসছিইইইইই!”, কোনমতে কমলা রঙের সাদা ছিট ছিট জামাটায় মুখটা চট করে মুছে নিয়েই এক দৌড়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে যায় মোহন। কাশীদেবী ততক্ষণে বড় দুটো পাত্রে টইটম্বুর করে রোহিণীর মিষ্টি ঘন দুধ ভরে ঘুরঘুট্টি অন্ধকার গলিপথ ধরে রওনা দিয়েছেন। মোহন ছুট্টে গিয়ে তাঁর বামহাতটা ধরে নেয়। তারপর, আগে আগে চলতে থাকে।
গোটা মন্দির চত্বর আজ অন্ধকার থাকতেই গমগমে। ভোর চারটেয় মন্দিরের দোর খুলবে। আজ ঠাকুরের রাজবেশ। ফুলে ফুলে আজ ভরে উঠবে গর্ভগৃহ। ধূপধুনো, ফুল বেলপাতা, শুদ্ধ সুললিত মন্ত্রোচ্চারণ আর পুণ্যার্থীদের সমবেত কোলাহলে চতুর্দিক আজ ভোর না হতেই জমজমাট। অনেকে আজ নিজেরাই ঝুড়িভর্তি করে বাগানের ফুল আর বড় বড় পিতলের ঘড়া ভরে দুধ নিয়ে এসেছে। তা সত্ত্বেও সকাল হওয়ার আগেই কাশীদেবীর দুই পাত্রভর্তি দুধ নিঃশেষ। খুশিমনে খালি পাত্রদুটি নিয়ে মোহনের হাত ধরে কোনমতে ঠেলেঠুলে মন্দিরের ভেতরে গিয়ে ঢুকলেন কাশীদেবী। আজকের দিনে বাবার দর্শন না করলেই নয়!
পুজো শুরু হয়ে গেছে। আহা, ঠাকুরের কি রূপ! ফুলে ফুলে চতুর্দিক সুরভিত, আর, ক্ষণে ক্ষণে একের পর এক পুণ্যার্থীর ক্ষুদ্র বৃহৎ পিতল মাটি আর রূপার ঘড়া থেকে বাবার ওপরে ঝরণার মতো সবেগে নেমে আসছে শুভ্র তরল অমৃতধারা। পবিত্র দুগ্দ্ধরাশির অনন্ত স্রোতধারায় বিরামহীন স্নান করেই যাচ্ছেন তিনি! আহা! কি বিরল এই স্বর্গীয় দৃশ্য! এ দৃশ্য দর্শনেও মহা পুণ্য! পরম আনন্দে বুক ভরে ওঠে তাঁর, তোবড়ানো গাল বেয়ে নোনাজলের স্রোত নামে নিঃশব্দে।
************
“নানি, একটা কথা জিজ্ঞেস করব?”, খানিকক্ষণ ইতস্তত করে অবশেষে প্রশ্নটা করেই ফেলে মোহন।
কাশীদেবী রান্নাঘরের এক কোণে বসে দ্রুত হাতে রুটি সেঁকছেন। প্রতি রাত্রে মোট চারখানা করে মোটা মোটা চাপাটি বানান তিনি। আড়াইখানা তাঁর জন্য, আর, বাকি দেড়খানা মোহনের। সঙ্গে কোনও একটা সবজি, যখন যেটা সস্তায় পাওয়া যায়।
চাটুর উপর থেকে চোখ না সরিয়েই কাশীদেবী জিজ্ঞেস করেন,” কী?”
কয়েক মুহূর্তের জন্য হঠাৎই থমকে যায় মোহন। প্রশ্নটি শেষ অবধি করবে কিনা চট করে বুঝে উঠতে পারে না। কেমন করে যেন তার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতেও সে অনুভব করে যে তার এই জিজ্ঞাসাটিতে যেন অনেকটা নিষেধ মিশে আছে! অথচ, সেই কাকভোরে যখন থেকে ব্যাপারটা মাথায় ঢুকেছে, মনের ভেতরটায় যে বড় আকুলিবিকুলি করছে! প্রশ্নের উত্তরটা যে তার না জানলেই নয়! আর, কাকেই বা এ কথা জিজ্ঞাসা করবে সে! আর তো কেউ নেইও তার!
“ আচ্ছা, নানি বল না, আমরা কেন একটু দুধ খেতে পারি না! প্রতিদিন তুই সব দুধ মন্দিরের জন্য নিয়ে চলে যাস! কেন, আমার কি একটুও দুধ খেতে ইচ্ছে করে না! ওই রাম, সূরয, রাধা সবাই তো সকাল বিকেল দুধ খায়, আর, আমাদের নিজেদের গাই থাকতেও আমরা একটুও দুধ পেতে পারি না?”
এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে ফেলেই দারুণ হাঁফাতে থাকে মোহন। সেই সকাল থেকেই এ নিয়ে এক বিষম বিড়ম্বনায় ভুগছে সে। ব্যাপারটা সে আগেও দেখেছে, কিন্তু আজ যেন বাবার দুধস্নানের জৌলুসে চোখ ধাঁধিয়ে গেছে তার! ঠাকুমার হাত ধরে অনেকটাই সামনে চলে গিয়েছিল মোহন আজ। উঃ, সে কি অলৌকিক স্বর্গীয় দৃশ্য! ঝর ঝর করে নিরন্তর স্রোতের মতো দুধের বর্ষণ হয়েই চলেছে বাবার মাথায়! বাবাকেও দেখা যাচ্ছে না, এতই নিশ্ছিদ্র সেই দুধের ধারাস্রোত! তাদের দুই পাত্র দুধও ওইখানেই কোথাও মিশে আছে, কিন্তু, কেমন যে ওই অমৃতধারার স্বাদ আজ অবধি জেনে উঠতে পারল না সে! ফেরার পথে সারা রাস্তা ঠাকুমার অলক্ষ্যে চোখের জল সামলাতে সামলাতে এসেছে সে! বেশি চাই না, কিন্তু, ওই অন্তহীন অমৃতের প্রাচুর্য থেকে এক বিন্দুও কি পাওয়ার ভাগ্য নেই তার! চোখ ফেটে আবারও জল আসে মোহনের। এ কেমন বিচার বাবার!
কাশীদেবীর বুকটা ধরাস করে ওঠে। হে বিশ্বনাথ, এ কি বিড়ম্বনায় ফেললে তুমি আমাকে! গরম চাটুটা কাঁপা হাতে মেঝেতে নামিয়ে রেখে ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে বসে থাকা নাতির দিকে তাকান তিনি। মোহনের দু’চোখ ছলছল করছে। নিদারুণ তীব্র কষ্টে বুক ফেটে যায় কাশীদেবীর। তাঁর গোবিন্দ বেঁচে থাকতে সকাল বিকেল দু’বেলা ছোট এক ঘটি দুধ মোহনের জন্য বরাদ্দ ছিল, কিন্তু, ওর চলে যাওয়ার পর থেকে এই কষ্টের সংসারে মা মরা নাতিটার মুখে আর দুধ তুলে দিতে পারেননি তিনি। সময়ের সাথে সাথে ওই স্বাদ তাই ভুলেই গেছে ছেলেটা! অভাবের তাড়নায় সেই থেকে আর রোহিণীরও বিশেষ যত্ন হয় না, ফলে, খুব বেশি দুধ ওও দিতে পারে না এখন। তাই দুধ যেটুকু পাওয়া যায় তার পুরোটাই বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন কাশীদেবী। তবু এই উপায়টুকু আছে বলে রক্ষা, নইলে, কাশীর ঘাটে বসে ভিক্ষাবৃত্তি করা ছাড়া তাঁর আর গত্যন্তর থাকত না।
কোনমতে ঢোক গিলে কম্পিত স্বরে কাশীদেবী বলেন,” বাবা মোহন, দুধ যে অমৃত! স্বর্গের জিনিস! সবাই কি তার ভাগ পায়!”
মোহন কান্না ভুলে নির্বাক হয়ে ঠাকুমার দিকে চেয়ে থাকে। তাঁর মুখনিঃসৃত শব্দগুলির ঠিক মর্মোদ্ধার করতে পারে না যেন!
কাশীদেবী বুকে খানিকটা বল পেয়ে এবার তাড়াতাড়ি বলে ওঠেন,” ও যে ভগবানের জিনিস সোনা! আমরা তাঁর পায়ের তলায় থাকি, ও অমৃত যে ছোঁয়ারও অধিকার নেই আমাদের! একমাত্র বাবা বিশ্বনাথ আর তাঁর অনুরাগী ক’জন মহা ভাগ্যশালী মানুষেরই যে কেবলমাত্র সে অমৃত মুখে দেওয়ার অধিকার আছে! এ যে ভগবানেরই বিধান বাবা আমার, না মেনে কি উপায় আছে! অন্যথায়, মহাপাপ হবে যে! তাও তো কত ভাগ্যি, আমাদের রোহিণী আছে! ওর দুধে প্রতিদিন বাবাকে সেবা করার সুযোগটুকু অন্তত পাই আমরা, এটাই কি কম! এতেই যে মহা পুণ্য!”
কয়েক মুহূর্ত মোহন কোনও কথা বলতে পারে না। পাথরের মতো স্থির হয়ে ফ্যাল ফ্যাল চোখে ঠাকুমার দিকে চেয়ে থাকে। খানিক পরে নিজেকে একটু সামলে নিয়ে কাতর কণ্ঠে বলে ওঠে,” তাহলে কি সত্যিই কোনদিনই দুধ খেতে পারব না আমি নানি! একটা ছোট্ট ফোঁটাও না!”
কাশীদেবীর বুকে যেন শেল বেঁধে। এত অসহায় এযাবৎ তিনি কদাপি বোধ করেননি। মাথার ভেতরটা উথালপাথাল করতে থাকে তাঁর। তারপর, হঠাৎই বিদ্যুতচমকের মতো একটা কথা মনে পড়ে যায়! ঠিক তো, এটা তো অ্যাদ্দিন মাথাতেই আসেনি তাঁর! উঃ, সত্যি, কি বোকা তিনি! অন্তরের প্রবল ধুকপুকানি অতি কষ্টে চেপে রেখে দুরু দুরু বক্ষে এবার কাশীদেবী বলে ওঠেন,” একটা উপায় অবশ্য আছে! জানকীকে দেখেছিস তো! ওই যে, আজকাল সারাদিন দশাশ্বমেধ ঘাটে ঘুরে বেড়ায়!”
মোহনের চোখ জ্বল জ্বল করে ওঠে,” রঘুদের আগেকার গাইটা!”
সবেগে মাথা নাড়েন কাশীদেবী,” হ্যাঁ! ওরা তো গত বছর নতুন গাই নিল, জানকীকে তাই ঘাটে ছেড়ে দিয়ে এসেছে। ও বুড়ো হয়ে গেছে, ফলে ওর দুধে এখন আর বাবার সেবা ভাল করে হয় না। তাই দেবসেবায় যেহেতু আর লাগে না, চাইলে ওর দুধটুকু তুই এবার পেতে পারিস! এখন আর ওতে পাপ লাগবে না!”
এতক্ষণে মোহনের মুখের সব মেঘ কেটে যায়। যাক, অবশেষে একটা উপায় বের হল তবে! সত্যিই তাহলে এবার থেকে দুধ খেতে পারবে সে! বাবার কাজে না লাগুক, দুধ তো! আর, যে যাই বলুক, গোমাতার সব দুধই অমৃত সমান!
************
পরদিন অন্ধকার থাকতেই বৃদ্ধা কাশীদেবী তাঁর নাতির হাত ধরে বড় বড় ভারী দুটো দুধভর্তি পাত্র নিয়ে রোজকার মতো মন্থর পায়ে মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আজ মোহনের ভারী আনন্দ। লাফাতে লাফাতে আগে আগে চলেছে সে। ঘাট থেকে রাস্তায় ওঠার আগেই সারা চত্বরে একবার ঝটিতি চোখ বুলিয়ে নেয় মোহন। জলের প্রায় কাছাকাছি একটা গোল উঁচু বেদীর গা ঘেঁষে আলস্যভরে বসে আছে জানকী। চোখদুটো চকচক করে ওঠে মোহনের। তাড়াতাড়ি করে কোনমতে ঠাকুমাকে মন্দিরের সামনে পৌঁছে দিয়েই এক ছুট লাগায় সে উল্টোপানে। আজ তার আর বাবার দুধস্নান দেখার ইচ্ছে নেই। আজ সে নিজেই এক ফোঁটা হলেও সেই অমৃতের ভাগ পাবে! অবশেষে, আজ তার নিজেরই স্বর্গ ছোঁয়ার দিন!
No comments:
Post a Comment