অ-যোদ্ধা পর্ব
শ্যামলী সেনগুপ্ত
সেসব অনেক কালের কথা
বৃষ্টির পর ঝমঝমিয়ে রোদ উঠলে
লোকে বলতো ,শ্যাল-কুকুরের বে' হচ্ছে।
রামধনুর মতো দিনগুলি
ছিল বৃত্তাকার
যার অর্ধেক দেখা যেত
বাকি আধখানা বিপরীত মেরু
জবরদখল করতো।
পাঁচালি শুনতে শুনতে
আর প্যাচাল পাড়তে পাড়তে
হরিমতীর নথ ঠিকরানো আলো
দোদুল দুলতো,
একবার এ আড়ায়
তো দুই গুণতেই
কুটুম বাড়ির চালে
ততক্ষণে মহাজনের লোকজন
চাল মাপছে...রাম দুই তিন
রাম শব্দের এত অর্থ!
সেসব শিখতে শিখতে বড়ো বেলায় পৌঁছে গেলে
আরও অর্থহীন অর্থ
এবং অনর্থ জমাট বাঁধতে থাকে
মন্দিরের পেছনের চাতালে
অথবা ভূতগ্রস্ত ভিতে...
রামধনুর মাপ আরও বিস্তার
ছুঁড়ে দেয়
যেন তার চাওয়াটাই হকদার!
আমরা ,যারা রঙিন হয়ে ছিলাম
ক্রমশ সিঁটিয়ে যাচ্ছি
আর সেইসব পুরাতন আলো
সাদা ফোকাসের আড়ালে
আরও শাদা,
শ্বেতিছাপ
হয়ে উঠছে মুখ ও সর্বাঙ্গ
ধনুক থেকে আলাদা হয়েছে
রাম
টানটান জ্যা থেকে ছিটকে যাচ্ছে
নামমাত্র অস্তিত্ব
No comments:
Post a Comment