গুজুরে ট্যাংরাঃ একটি সাদাসিধে জীবন
দয়াময় পোদ্দার
প্রথমেই বলে রাখি- যাদের পিসির বাড়ি নেই
এই কবিতাটি তাঁরা পড়বেন না।
কেননা, একেতো চৈত্রমাস, জলস্তর কম
দুপুরে ভাটার শুরু হলে- সর পড়া কাদা জাগে।
কাঁকড়ার গর্তে গুজুরে ট্যাংরার কলোনি,
দুটি কাঁটা উত্তরে দক্ষিণে, বিষ সর্বস্ব পুঁচকে দেহ।
উগ্র হামলায় ওস্তাদ;
কাঁটা আর লেজ ছেঁটে পেট চিরে ধুয়ে নিতে হবে।
মশলা, শুকনো লঙ্কায় গাঁ-মাখা ঝোল, অথবা
উচ্ছে-আলুতে ভেজে খাওয়া যায়।
তবে ধরার আগে মনে হতে পারে- শরীরে, পাছায় মাংস নেই,
দল বেঁধে থাকে, বুক ভরা বিষ... ভয় পেলে চলবেনা।
হাতের পাঞ্জায় ভালো করে গামছা পেঁচিয়ে নিয়ে
গর্তের ভিতরে ঢুকিয়ে দিলেই হবে,
দেখবেন- গামছায় কাঁটা আটকে ফাজিলের জারিজুরি শেষ!
আমার বিধবা পিসি আবার মাছ খায়না। তাই টিনের হাঁড়িতে
অল্প জল দিয়ে তাদেরকে দূরে রাখি।
রোদে জল খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়। তারপরে
গুজুরে ট্যাংরা মরে গেলে তাদের নদীতে ফেলে দিই!
No comments:
Post a Comment