সম্পাদকের কথা
প্রচ্ছদ ছবিটি এক পিতার। শেকলে আবদ্ধ তিনি। এই শেকল শুধু সংসারের নয়। জীবনের। সমাজের। সব দিক থেকেই বাঁধন তার।
তবু চেষ্টা অপরিসীম। আকাশ ছোঁওয়ার।
কার জন্য? পরিবারের সবার জন্যই হয়ত।
নিজের স্বপ্ন ওই ব্যাগে বন্দি। মুখ খোলা থাকলেও বেরিয়ে আসতে পারছে না। শুধু হাতের ওই খেলনা এরোপ্লেন উড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি । তার ইচ্ছেও হয়ত উড়বে খেলনাটি উড়লে।
সেই ইচ্ছে, সেই স্বপ্ন, সেই দায়িত্ব, সেই কর্তব্য পালনে পথের ধুলোয় পর্যন্ত বসতে হয়েছে তাঁকে। তবু মুখ বিরক্তিহীন, অবিচল।
কতদিন বাবাকে জিজ্ঞাসা করিনি আমরা, `তুমি খেয়েছ বাবা?` কতদিন বাবাকে বলিনি, `একটা গল্প বলবে বাবা?` আমরা সত্যিই বড্ড বড় হয়ে গেছি....এতটাই যে বাবার হাত ধরে বেড়াতে যেতে পারি না, এক মশারির তলায় বাবার সঙ্গে ঘুমোতে পারি না। বাবার সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে শুধু আমাদের। বড় হওয়ার এটাই অভিশাপ।
অভিশপ্ত সেই জীবনেই বাবাকে স্পর্শ করবার একটু প্রচেষ্টা মুজনাইয়ের এই সংখ্যায়।
যদিও জানি বাবাকে ধরা যায় না। বাবাদের ধরা যায় না।
তারা এমন পাহাড় যা ডিঙোনো যায় না সাত জন্মেও।
মুজনাই অনলাইন জ্যৈষ্ঠ সংখ্যা ১৪৩১
রেজিস্ট্রেশন নম্বর- S0008775 OF 2019-2020
হসপিটাল রোড
কোচবিহার
৭৩৬১০১
ইমেল- mujnaisahityopotrika@gmail.com (মাসিক অনলাইন)
ক্রোড়পত্রে ব্যবহৃত সংগৃহিত ছবি- যামিনী রায়
প্রকাশক- রীনা সাহা
সম্পাদনা, প্রচ্ছদ, অলংকরণ ও বিন্যাস- শৌভিক রায়
মুজনাই জ্যৈষ্ঠ সংখ্যা ১৪৩১
এই সংখ্যায় আছেন যাঁরা
নারায়ণ দত্ত, বেলা দে, ত্রিদিবেশ রায়,
ডঃ কৃষ্ণ দেব, গৌতমেন্দু নন্দী, মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস,
সুতপা রায়, অমলকৃষ্ণ রায়, পার্থ বন্দোপাধ্যায়, অলোক কুমার গুহ,
অনিতা নাগ, সুদীপ দত্ত, সুবীর সরকার,জয়তী ব্যানার্জি,
কবিতা বণিক, শ্যামলেন্দ্র চক্রবর্তী, উদয় সাহা,
আকাশলীনা ঢোল, ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য, অলকানন্দা দে,
রক্তিম লস্কর, মনোমিতা চক্রবর্তী, প্রীতিলতা চাকি নন্দী,
রথীন পার্থ মণ্ডল, মৌসুমী চৌধুরী, সুজাতা কর,
সম্রাজ্ঞী, পাঞ্চালি চক্রবর্তী, প্রতিভা পাল,
মিষ্টু সরকার, রীতা দত্ত ভদ্র, দেবযানী ভট্টাচার্য,
ভূমিকা ঘোষ, তপন মাইতি, দেবাশিস সাহা, শ্রাবণী সেনগুপ্ত,
লীনা রায়, বিপ্লব গোস্বামী, সম্মিলিত দত্ত
No comments:
Post a Comment