সেদিন রাতে হঠাৎঃ
দেবব্রত তাঁতী
মুহূর্ত চুপ । কেন হটাত করেই সে এসে জড়িয়ে ধরে
কেন না বলা কথা বলতেই দ্বিধা
আসল সময় তো সেই অচেনা তবুও কুয়োর ব্যাঙ আমরা
এই জন্মের পৃথিবী এক আর আকাশ খুঁজে নেওয়ার আশায়
রাত জাগা তারারা ও আত্ম দহনে পুড়ছে
বড্ড অদ্ভুত । কবে ধুমকেতু নামবে দেখব তাকে
কবে হাসলে মনে নেই তো
অন্ধকারে কাঁচের আয়নায় মুখ ঝাপসা ; অথচ চশমা পড়া
বহুদূর কাছা কাছি কই ! শেষ রেলগাড়ি কেবল জংশন খোঁজে
যাত্রী সংখ্যা কম; জানলার ধারে ঠাণ্ডা বাতাস লাগছে
শিল্পী আর তার ধাঁচে নামে এড়িয়ে যাওয়ার আকাঙ্খা
কেউ কাউকে বিশ্বাস করেনা ; পারলে ঘুমিয়ে পড়ো
কিন্তু মনের খটকা তা জেগে থাকে
সেদিন না শুনতে চাইলেও শোনাবো একরকম জোর করেই
এই আড়ি এই ভাব খেলা বেশ ভালো তবে যেন
উদাসী বিকেলের পথ ধুলো মাখে
যাহ্ ! যখন বলে তখন কেউ শোনে না
আর শেষ দিকে আগ্রহী মন এলেও ওপার থেকে সাড়া পায় না
কেন যদি বল সে প্রশ্নের উত্তর নেই
সব কিছু বলে দিতে ইচ্ছে করে কিন্তু পারিনা
বাধা ; নিজেকে লুকিয়ে রাখার আনন্দ টাই রহস্য
পুরুষ প্রেম নারী ভালোবাসা তাহলে একে অপরের পরিপূরক
সময়েই বদলে যায় সবকিছু ভাললাগাও
কিছুই জানি না , বুঝিনা , পারিনা বলতে বলতে
কবে থেকে যে না এর সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেলো নিজেই বেমালুম ভুলে
এতো সহজেই বন্ধুত্ব ভাঙ্গি না । ঠুনকো নয় এ সম্পর্ক
অ আ ক খ পড়তে শিখলেই কি সব জেনে যাওয়া যায়
এবার তুমি বল
আমি শুনি
এবার তুমি বক্তা
আমি শ্রোতা
কখন কি ভেবে দেখেছো জল কেন বাষ্পীভূত হয়ে ওপরে ওঠে
আবার নেমে আসে ভিন্নরূপে
না বেশি ভেবনা কোনদিন আমার মতো পাগল হয়ে
ঘুরে বেড়াবে শ্মশানে ; অলিতে গলিতে ...
প্রথম থেকে সব কথোপকথন মনে কর একবার
বুঝে যাবে কত বিচিত্র রুপ আছে ভূমিকায়
শরীর টা খোলস আর মনটাই সব তবে মনের দাস হয়ে পড়বে
এ বিষ শরীর কে আগুনে পুড়িয়ে মারবে আর কিছুদিন বাদে ;
হেসো না দিদিমা , হেসো না
বড্ড তাড়াহুড়ো করে গোছাতে গিয়েই
দেরি হয়ে গেছে
বড্ড খামখেয়ালী ; চঞ্চল মন
তো
কতদিন জিভ , ঠোঁট লাল রঙ নেয়নি; একটা পান দিয়ো
চুন লাগাতে ভুলো না ; ওটাই তো সারাংশ
ঘুমহীন রাতে কি সব ভুল বকে যাচ্ছি দেখো
এখন ঘুমাবার সময় আসেনি ; ভাবি বাপের প্রতিকৃতি হয়েও
কত অসম্পূর্ণতা রয়েছে ; ফাঁপা গোলক আমি
কবিতা আর মনকে গলা টিপে মেরে ফেলেছি
বোবা কান্না কেঁদে কেঁদে
পিষে দিচ্ছিল
এভাবেই কি স্বপ্ন গুলোকে হাতছাড়া করে দিতে আছে
হতছাড়া ছন্নছাড়া – ওরা ঠিক টা বলেছে
ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা শিশুটা সুপ্ত আগ্নেয়গিরি
কি জ্বালা ! কিছুই চাইনা বলতে বলতে কত কি চেয়ে বসেছি
দূর ভাললেগেনা । দূর ছাই । এ কেমন কাঙালপনা
চুপ
যাও
এসো
বল
না থাক
লিখবনা ভেবেই আবার লিখে ফেললাম
এই রে
হয়ে গেলো
ওসব পেলে আটকে রাখতে নেই
সত্যি !
না মিথ্যে !
হেসো না
ভোর হয়ে এলো ঘুমিয়ে পড়ো নইলে জুজু বকবে ।
এখনও ঘুমের দেশের বেনামি চিঠি আসেনি
অমল হয়েই জানলার ধারে
বুঝল না সেও ; চাঁদ পরী কে দেখছি
প্রেম, পুরুষ, নারী আর ঈশ্বর এর সংলাপ আরম্ভ কবিতার জন্মের দিকে
আর শেষের দিকে বৈতরিনি পার হতে বেলা বয়ে আসে
কখন মিলবে আবার অন্য বসন্তে
নীরবতা থাক
শব্দের কাটাকুটি খেলা থাক
অভিমান থাক
খেলা চিরকাল ।।
রিপুর দোষ । চেপে যাওয়ায় শ্রেয় নইলে যে কি হবে
পাখিদের ডাক শুনিনি অনেকদিন কবেকার কথা গুলো ধুলোবালি
জমতে জমতে একটা জীবাশ্ম তে পরিণত
ইতি বলে চলে আসাটা যেতেই পারতো
মন বড়ো গোলমেলে বস্তু ;
হরি হরি
পাঁচিল ভাঙ্গার ইচ্ছে ছিল একদা ; এখন নেই বলতেই পারি
কিন্তু বলব কেন ? শুনবেই বা কেন ?
সত্যিই লোডশেডিং হয়ে গেলো ; যখন ঘুমাতে চাইব তখন জেগেই কেটে গেলো । আর এখন ...
উফফ কি গরম । হাত কাউকে খুঁজছে ... টর্চ টা কোথায় ? শুধু অন্ধকার দেখি কেন ? আলো
তো আমিও দেখতে চাইতাম । ওহ ... এই তো ... পেলাম । যাই একটু বাইরের দিকে ...
কিন্তু এখন কি আমার টর্চের দরকার আছে ? জোনাকি সেও পালিয়েছে ...।। সেদিন রাতে
কি সত্যিই উল্কাপাত পড়েছিল নাকি সব ভুল । আজ কি দিন যেন , এখন সময় কত হল ? একি
সবাই চুপ কেন ? কেউ কিছু বলছেনা কেন ? কতক্ষণ যে মুহূর্তটা ছুঁয়ে ছিল ...?
No comments:
Post a Comment