Monday, January 27, 2020



















তাঁতশিল্পে মণিপুরি নারীদের অবদান

শেখ একেএম জাকারিয়া


মণিপুরি জাতি ভারত ও বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা জনসমাজের নাম। এদের আদি বসতি ভারতের মণিপুর রাজ্যে। মণিপুরিদের স্বকীয় ভাষা,বর্ণমালা,সাহিত্য ও সমাজনীতিসহ সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে। বর্তমানে ভারতের মণিপুর রাজ্যে ও বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে মণিপুরি গোষ্ঠীর মানুষ বাস করে। বইপত্রাদি ঘেঁটে জানা যায়,বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে অষ্টাদশ শতক থেকে় মণিপুরিদের বসবাস। বর্তমানে এ দেশে প্রায়  দেড় লক্ষ মণিপুরি বাস করে। মণিপুরি নারীদের সুনাম আছে তাঁতে তৈরি কাপড়ের জন্য। তাঁতে কাপড় বুননের জন্য তাদের নিজস্ব তাঁত রয়েছে। মণিপুরি নারী তাঁতিরা জন্মসূত্রে মায়ের কাছ থেকেই তাঁতের কাজ শেখেন। এ সম্প্রদায়ের শতকরা ৯৫ ভাগ নারী তাঁতশিল্পের সাথে জড়িত। সিলেটের  শ্রীমঙ্গল, বিশেষ করে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে প্রায় ৬০টি গ্রাম মণিপুরি তাঁতশিল্পের জন্য বিশেষভাবে খ্যাত। কমলগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে মণিপুরি সম্প্রদায়ের মুসলিম নারীরা তাঁতের কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। জানা যায়,পুরো উপজেলায় প্রায় ২৫০ জন মুসলিম মণিপুরি নারী তাঁতের কাজ করছেন। আগে মণিপুরীদের মধ্যে বিষ্ণুপ্রিয়া ও মৈতৈরা এই কাজ করতেন। বর্তমানে নানা রঙের সুতো দিয়ে ফুল তুলা তাঁতের কাপড়ের দেশে-বিদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় মণিপুরি মুসলিম নারীরা এ কাজে উৎসুক হয়েছেন । বাংলাদেশের প্রাচীন হস্তশিল্পের মধ্যে মণিপুরি হস্তশিল্প সু-প্রসিদ্ধ। এ হস্তশিল্প অনেকটা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত।  মণিপুরি সমাজে মেয়েদের তাঁতশিল্পের অভিজ্ঞতাকে বিয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয়। মেয়েরা যখন জন্ম নেয়, একটু বড় হলেই মায়েরা মেয়েদেরকে তাঁতে বুনন কাজ শেখান এই উদ্দেশ্যে যে, এ কাজ শিখলে তাদের বিয়ের সময় এটা যৌতুকের একটা অংশ হিসেবে কাজ করবে। মনিপুরিদের বস্ত্র তৈরির তাঁতকল বা মেশিন প্রধানত তিন প্রকার। যেমন কোমরে বাঁধা তাঁত, হ্যান্ডলুম তাঁত ও থোয়াং। এই তাঁতগুলো দিয়ে সাধারণত টেবিল ক্লথ, স্কার্ফ, লেডিস চাদর, শাড়ি, তোয়ালে, মাফলার, গামছা, মশারি ইত্যাদি ছোট কাপড় তৈরি হয়। প্রধানত নিজেদের তৈরি পোশাক দ্বারা নিজেদের প্রয়োজন মেটাতেই সুদূর অতীতে মণিপুরি সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁত শিল্প গড়ে ওঠেছিল। পরবর্তীকালে তাঁত শিল্পে নির্মিত পণ্যসামগ্রী  বাঙালি সমাজে  প্রশংসিত ও ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে নকশাযুক্ত ১২ হাত মণিপুরি শাড়ি, নকশি ওড়না, চিত্তাকর্ষী শীতের চাদর বাঙালি মহিলাদের সৌখিন পরিধেয়। লোকপ্রিয়  মণিপুরি নকশা হচ্ছে ঝাউ গাছ, সেফালি ফুল এবং মন্দিরের চিত্র। নকশাগুলো মইরাং ফি নামে বিদিত। রাজকুমারী 'মইরাং থইবি' নামানুসারে এ নামপ্রদান হয়েছে। জামদানি তাঁতে কাপড়ের ক্ষেত্রে নকশা তোলার জন্য মণিপুরি নারীরা সুচের মতো এক ধরণের তীক্ষ্ণ যন্ত্র ব্যবহার করেন,যার ফলে এ কাপড় বাঙালি নারীদের নিকট অতি প্রিয় হয়ে ওঠেছে। মণিপুরি নারীদের মুখ থেকে জানা যায়, তাদের তাঁতে কী ধরণের কাপড় বুনা হবে সেটা বেশিরভাগ  সময় স্থানীয় আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে। অদূর অতীতে মনিপুরি নারীরা আরও অনেক ধরণের নকশাযুক্ত কাপড় তৈরি করতেন। যেমন কানাপ, খাম্মেন, চাতপা, সাতকাপা ফি ইত্যাদি। এগুলো এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না। নকশা তৈরিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন মণিপুরি নারীরা। বর্তমানে মনিপুরিরা নিজেদের ব্যবহার ও বাজারে বিক্রয়ের জন্য তৈরি কাপড়ে কিছুটা সহজ প্রকৃতির নকশা তোলে আনেন। সিলেটের মণিপুরি তাঁতের সুনাম এখন দেশজুড়ে। দিন দিন বাড়ছে মণিপুরি তাঁতের তৈরি পোশাকের কদর ও চাহিদা। বাড়ছে মণিপুরি তাঁতের তৈরি পোশাক বিক্রির দোকান। সিলেট শহরের লামাবাজারেই রয়েছে একশ'র বেশি মণিপুরি পোশাকের দোকান। সিলেটে বেড়াতে এসে মণিপুরি তাঁতের তৈরি পোশাকের দোকানগুলোতে ঢুঁ মারেন না, এমন নারী পাওয়া যাবে না। প্রায় সময়ই পরিব্রাজকদের ভিড় লেগেই থাকে লামাবাজারের দোকানগুলোতে। বছরের এ সময়ে মণিপুরি পোশাকের চাহিদা খুব বেশি থাকে। শহরের প্রতিটি দোকানে চলে উদ্দীপনাপূর্ণ ক্রয়বিক্রয় । এখানকার উল্লেখযোগ্য শো-রুমগুলো হচ্ছে, জালালাবাদ মণিপুরি শাড়িঘর, তানজিনা মণিপুরি শাড়িঘর, নিউ শ্যামল মণিপুরি শাড়িঘর, শীতল মণিপুরি শাড়িঘর, রূপকথা মণিপুরি ঘর, ঐশী মণিপুরি শাড়িঘর প্রভৃতি। সিলেট শহরে মণিপুরি আবাস স্থাপন করা হয়েছে এমন পাড়া বা এলাকা  রয়েছে ১২টি। এলাকাগুলো হচ্ছে, খাদিমপাড়া, শিবগঞ্জ, কুশিঘাট (নয়াবাজার), লামাবাজার, মণিপুরি রাজবাড়ি, লালাদিঘীরপাড়, আম্বরখানা, বড়বাজার, সুবিদবাজার, সাগরদিঘীরপাড়,কেওয়াপাড়া ও নরসিংটিলা। প্রতিটি পাড়াতেই আছে তাঁত। এ তাঁতে শিল্পদক্ষতাসম্পন্ন নারীর স্পর্শে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে  নানারকমের পোশাক। শুধু সিলেট শহরেই নয়, বিভাগ জুড়েই আছে তাঁতের পোশাক তৈরির কারখানা। এ বিভাগের ৪ জেলায় মোট তাঁত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪০০৮টি। তাঁতের সংখ্যা ৬৫০৩টি। তারমধ্যে হবিগঞ্জ জেলায় তাঁত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯১ এবং তাঁতের সংখ্যা ৫৩২টি, মৌলভীবাজার জেলায় তাঁত প্রতিষ্ঠান ৩১৩৭টি এবং তাঁতের সংখ্য ৫০৩৫টি, সুনামগঞ্জে তাঁত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৬৮টি এবং তাঁতের সংখ্যা ২৫৫টি এবং সিলেট জেলায় তাঁত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪১২টি এবং তাঁতের সংখ্যা ৬৮১টি। মণিপুরি নারীরা তাঁত দিয়ে প্রায় সব ধরনের পোশাকই তৈরি করেন । এরমধ্যে বিভিন্ন জাতের শাড়ি, চাদর, ফতোয়া, থ্রিপিস, বেড কাভার, পাঞ্জাবি, ছোটদের পোশাক ও শার্টের বেশি চাহিদা রয়েছে। তাঁতবস্ত্রের  দরদাম সম্পর্কে মণিপুরি নারী তাঁতিরা  জানান, প্রকারভেদে তাঁতের শাড়ি ৬০০ থেকে ২৫০০ টাকা, বালুচরি জামদানি ২৭০০ থেকে ৩২০০ টাকা, মণিপুরি শাড়ি ৭০০ থেকে ১৮০০টাকা, মনপুরা শাড়ি ৬০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৩০০ থেকে ১৩০০ টাকা, ফতুয়া ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, নকশিকাঁথা ৭০০ থেকে ২০০০ টাকা, গামছা ২৫০ টাকা, শার্ট ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, শিশুদের পোশাক ৬০ থেকে ৫০০ টাকা,হাতব্যাগ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিলেটে উৎপাদিত তাঁতবস্ত্র শুধু স্থানীয়ভাবেই বিক্রি করা হয় না,পণ্য বিক্রেতারা দেশের বিভিন্নস্থানে তা সরবরাহ করে থাকেন। সিলেটের প্রবাসীরাও মণিপুরি তাঁতশিল্পের প্রতি ঝুঁকতে শুরু করেছেন। এ কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যাচ্ছে মণিপুরি পোশাক ও হস্তশিল্প। তাঁত ব্যবসায়ীগণ জানান, সরকারি পৃষ্টপোষকতা ও ঋণ সুবিধা পেলে এ শিল্প বিকশিত হবে। এতে শুধু সিলেটবাসী নয় পুরো দেশবাসী উপকৃত হবে।















এক  নদী   
ছবি ধর 

আমার বুকের গভীরে 
এক  বহতা  নদী  --
আত্মসংঘাতে  পূরিত   
তরঙ্গায়িত  তিরতিরে   
এক  জীবনধারা। 
ওপরে  আকাশ  নেই  কোনো 
এ  নদীর  শুধুই  খনন। 
একটা    উদাসনগর 
আর আছে  লালনের  গান। 

নীল  অন্তর জুড়ে  
না কোনো  অবগাহন
 না   বিমোচন। 
বিচলিত  হই   ছায়াহীন  
স্বচ্ছ  জলের  বিমোহনে।  


 আত্মীক  ভালোবাসায়  
এ  নদীতে  ভেসে  থাকে  
ছোট্ট ছোট্ট অভিযাত্রিক  ডিঙি ,
ঢেউয়ের  প্রহসনে 
ওদের  নির্বাক   বিচরণ। 

এষণাপ্রবণ হয়ে  
কখনও  কান্নার জলে 
ভরে ওঠে  নদী 
ছাপিয়ে যায়  দুই  তীর। 
কুলকুল শব্দে  
পাড়  দাঁপিয়ে  
আসে জোয়ার 
ভাঁটার  টানে হয়  মূর্ছিত। 
 কখনও আবার 
ঘন ঘন শ্বাস পড়ে 
এক গুচ্ছ অভিমানে। 
লুকোনো বাস্প  
বুদবুদ হয় 
গহীন  বুকের  পাঁজরে। 

এ নদী  বইতে জানে  উজান। 
মহীঢাল বেয়ে   যখন  
গনগনে  মফেতিস  নামে 
গহীন নাভিমূলে। 
তপ্ত  আগুন 
কী  ভীষণ  অগ্নিবন্যা  
নদীগর্ভে  নির্গত  হয়  
রক্তিম  সুপ্ত  লাভা। 

Wednesday, January 22, 2020




অন্তরা 
কানাই লাল পাল  

তুমি তো জানোনা, কত শিশির বিন্দুরা
একে একে বলে গেছে ভোরে। 
পাতাদের ঝরা নাকি শীতের অন্তরা,
আগামী বসন্ত বাহুডোরে।  

পাখিরাও বলে যাবে কোন এক প্রাতে,
সর্ষের ক্ষেতের ওই শেষে,  
বসেছে কোকিল সারে সারে মিঠে রোদে
কচি পাতাদের আশেপাশে।    

সেদিন তোমাকে ডেকে নেব ডিঙাটায়
দাঁড়হীন ভেসে যাব জোয়ার ভাঁটায়।  

(ছবি- শৌভিক রায়) 


















প্রবীণ  
ছবি ধর 

দিক নির্ণয়ের  অঙ্ক না শিখে  
বেপথু   আমি  আজও  -_ 
অবেলায়  পথভ্রষ্ট  পথিকের  মতো  দাঁড়িয়ে  আছি।  
ল্যাম্পপোস্ট  আর  আমার  
কথোপকথন  শুনতে পায়না  কেউ। 
নবীন  ওরা, সতেজ  প্রাণ,
হর্ন   আর   গতি  ওদের  তীব্র। 
হোঁচট  খেয়ে  পড়তে গিয়ে দেখলাম  প্রবীণ  ফেরিওয়ালার 
ময়লা হাতে  ধরা  আমার  হাত  --

হৃদয় নিংড়ে ধন্যবাদ  দিতে গিয়ে  দেখি,   ততক্ষনে 
প্রবীণ  অনেক   দূরে  --  হাঁকছে   ----- 
অন্ধকার  ঘন   হয়ে আসায়  
আমিও  ওঁর  পিছু  পিছু পুরোনো  টার্মিনাসের  দিকেই  এগিয়ে যাই। 
প্রবীণের  কাছে  আছে   দূর্বার   প্রত্যয়   
নবীনের  কাছে  যা  চির  বিস্ময় !

Tuesday, January 21, 2020




















আত্মহননের পথে
   স্বাগতম দে



আত্মহনন ইচ্ছায় শিল্পী চেয়ে আছে -
মৃত অবয়ব পানে ।
মেঘের উড়ো চিঠি ,
দীঘির জলে উঁকি দেয় ।
অভিমানী মেঘদূত কবিও চেয়েছিল মৃত্যু মাধুকরী ,
কোনো এক সরোবর ঘাটে ।
শ্যাওলা নুপুর পায়ে পরে 
দীঘির সিঁড়ি ।
শিল্পী দেখে অনুভূতিহীন অবয়ব ,
  কঙ্কাল কাঠামো ।

একদিন প্রতিমা ছিল ।
পৃথিবীর কাদা হাতে ,
কত কল্পনায় স্বপ্ন তুলিতে আঁকা ,
মনসিজ প্রেম বুকে ।
কপালে কুমকুম ,
এঁকেছিল চোখ ,
দৃষ্টি দানে অকৃপণ হাতে মোহিনীর রূপ ।
বুকের ভাঁজে ফুলদানিতে প্রাণদান ।
নাভি কুন্ডে তুলির ছোঁয়ায় ,
  বিশুদ্ধ গভীরে, সৃজনী আবর্ত ।

পানমুখ দীঘির পাশে ,
বিসর্জিত নারী তার ।
শুকনো খড়ের বিনুনি বোনা ,
তীক্ষ্ণ বাশেঁর শলাকায় 
বিঁধে আছে ,
দেবী তার মানুষী কঙ্কাল ।
কবন্ধ সৃষ্টি এক ।

এভাবেই যুগে যুগে -
স্বপ্নেরা মরে গেলে ,
সৃষ্টির স্থলিত মৃত্যু দেখে ,
স্রষ্টা করে মাধুকরী -
উলঙ্গ অধিকারে ,
আত্মহননের পথে ।



বলি বলি করে
বাণী প্রসাদ নাগ

তোমায় বলি বলি করে পারিনি বলতে
আজ সে কথাটাই কেন ভাবি বারবার
মনের গভীরে কতকিছু আসে ধেয়ে 
যেমন আসে মেঘ উদার গগনে। 
                        
প্রথম দেখার দিনক্ষণ আর নেই মনে
তবে আছে শুধু মনে, তোমার চাহনিটুকু
তখন ছিল না ফোন, ছিল না সেলফোন
থাকলে আজ হাহুতাস হতো না অকারণে।
                         
এতদিন পরেও চাহনির স্মৃতিটুকু ধরে 
কেন অাক্ষেপ বুঝি না এখনও আমার
পলকেই পেয়েছি যে অফুরান ভালোবাসা
সেই সম্বলটুকু সম্পদ হয়ে থাক জীবনে। 



আলোর পাপড়ি
              মৌসুমী চৌধুরী 

এই সেই অন্ধকার 
"অন্ধকার-মুখোমুখি-বসিবার"।
ভয়ংকর সুন্দর এই 
অন্ধকারের বুকে শুয়ে পড়ে
ভালোবেসে মরে যেতে ইচ্ছে জাগে।
সহসা অতল অন্ধকার থেকে
শরীর জেগে ওঠে ভোরের মতো।
হলুদ নরম আলোয় পাখী ডাকে...

বুকের ভেতর থেকেও অনেক ভেতরে
গহন অন্ধকার চিরে ফুটে ওঠে
এক টুকরো আলোর পাপড়ি। 

Sunday, January 19, 2020



















চৌম্বকীয় শূন্যতা
------------------------------------------------------------
বসে থাকার অর্থ ~ নিষ্ক্রিয়তা
অতএব _____
চিন্তার প্রয়োজনীয়তা কোথায়
অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ-সমুদ্রটান-উচ্চতা-???

আপেল তো সেদিনও খসে পড়েছিলো ______
:
:
:
Magnetic Vacuum
------------------------------------------------------------------
Inaction 
     towards the meaning of stay seated
Therefore ______
Where is the necessity of thinking
Latitude. Longitude. Sea tension. Height???

An Apple too, fell that day _______


শব্দরূপ : রাহুল (Rahul)

Saturday, January 18, 2020
























গ্রন্থ আলোচনা

গ্রন্থ- ছোটদের ছোটগল্প ২
লেখক- সুদীপ দত্ত 
প্রকাশক- দোয়েল পত্রিকা 
দাম- ১২৫ টাকা 

আলোচক- শৌভিক রায় 

ছয়টি গল্প নিয়ে সুদীপ দত্তের 'ছোটদের ছোটগল্প ২` প্রকাশ করেছেন দোয়েল পত্রিকা।আলোচনার শুরুতেই বলা দরকার যে, সুদীপ দত্তের লেখার সঙ্গে যারা কমবেশি পরিচিত, তারা এই বইটি পড়ে হতাশ হবেন না।
 
এই সময় চারদিকে কবি-লেখকদের ভীড় হলেও ছোটদেরকে নিয়ে ভাববার বা লিখবার মানুষ কম। সেদিক থেকে দেখতে গেলে দোয়েল পত্রিকা ও লেখক সুদীপ দত্তের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার। আধুনিক জীবনে টিভি, মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ছোটদের জন্য যেখানে হাজারও হাতছানি অপেক্ষা করে রয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে ছোটদেরকে বইয়ের দিকে নিয়ে আসবার দুরূহ কাজটি করবার সাহস দেখিয়েছেন প্রকাশক ও লেখক দুজনেই। ছোটদের উপযোগী অলংকরণ ও ঝকঝকে প্রচ্ছদ অবশ্যই ছোটদের আকর্ষণ করবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। রক্তিমা বিশ্বাসের আঁকা ছবিকে এর জন্য অবশ্যই সাধুবাদ দিতে হয়। বইটির মুদ্রণ ও কাগজও অত্যন্ত সুন্দর। 

বইয়ের ছয়টি গল্প যেন রামধনুর ছয়টি রং। প্লট, উপস্থাপনা, শব্দপ্রয়োগ, চরিত্রায়ণ ইত্যাদি সবকিছুই ছোটদের উপযোগী করে বড় যত্নের সঙ্গে তুলে ধরেছেন লেখক। আর সবচেয়ে মূল্যবান ব্যাপারটি হল যে, প্রতিটি গল্পেই এমন একটি সুন্দর বার্তা রয়েছে যা সত্যিই শিক্ষণীয়।

বইটির স্বার্থেই গল্পগুলির বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলছি না। কেননা তাতে বইটি পাঠ করবার আগ্রহ কমবে। যা বলা যায় তা হল যে, গল্পগুলি পাঠ শেষে পাঠকের চোখে জীবনের নানা রঙের জলছবি ফুটে ওঠে। টুকরো ঘটনা থেকে শুরু হয়ে যে জীবনবোধ গল্পগুলিতে ফুটে উঠেছে তার জন্য লেখককে কুর্নিশ জানাতেই হয়। গল্পগুলি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে আর একটি কারণে। কোনও গল্পের সঙ্গে কোনও গল্পের মিল নেই, অথচ সব গল্পগুলিই কিছু না কিছু বক্তব্য নিয়ে হাজির এবং সে বক্তব্যে জীবনেরই জয়গান গাওয়া হয়েছে- অনেকটি যেন একটি রঙিন ছাতার মতো ব্যাপার; নানা রঙের কাপড় দিয়ে মোড়া হলেও কিন্তু আসলে সেটি একটি ছাতাই। গল্পগুলিও ঠিক তেমনই, যেখানে জীবনের নানা দিক, রঙিনে ও সাদাকালোয়, অনায়াসে ফুটে উঠেছে। মনে রাখতে হবে যে, ছোটদের জন্য গল্প লিখতে হলে লেখককে অতিমাত্রায় সজাগ থাকতে হয়, কেননা ছোটদের গল্পে আবিষ্ট করে রাখা সহজ নয়। পাশাপাশি, শব্দচয়ন  থেকে শুরু করে নির্মাণ অবধি সবটাই অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে করতে হয় যাতে তা সত্যিই ছোটদের উপযোগী হয়। এক্ষেত্রেও 'মন্ত্র`, 'ভুতু`, 'কুম্ভকর্ণ স্যারের দুপুরবেলা`, 'পাগলি', 'চপলবাবুর চশমা` ও 'নিশিগঞ্জের যদু ডাক্তার`- এই ছয়টি গল্পে লেখক সসম্মানে উত্তীর্ন হয়েছেন। 'চপলবাবুর চশমা`গল্পটিতে যে  পরাবাস্তবতা ব্যবহৃত হয়েছে তা ছোটদের উপযোগী হলেও, আদতে গল্পটির ব্যঞ্জনা বড়দেরকেও ভাবিয়ে তুলবে। একই কথা বলা যেতে পারে 'নিশিগঞ্জের যদু ডাক্তার` সম্পর্কে। 'মন্ত্র` গল্পের প্লট খুব সাদামাটা হলেও এ যেন আমাদের অনেকের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা। অন্য জগতের ইশারায় জমে উঠেছে 'ভুতু` গল্পটি। গল্পটির নামও সেই ইঙ্গিত বহন করছে। 'কুম্ভকর্ণ স্যারের দুপুরবেলা` পড়লে নির্মল আনন্দের সঙ্গে মন উদাস হয়ে ওঠে। ব্যক্তিগতভাবে এই সংকলনের শ্রেষ্ঠ মনে হয়েছে 'পাগলি` গল্পটিকে। অনবদ্য নির্মাণ করেছেন লেখক। 

শিশু-কিশোর সাহিত্য যেখানে দিনদিন কমে আসছে সেখানে সুদীপ দত্তের  ও দোয়েল পত্রিকার যৌথ প্রয়াস স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভাল লাগছে জেনে যে, তাঁরা ছোটদের জন্য ভাবছেন যার আজ একান্ত অভাব অথচ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।     




























ফিরে পাব বলে 
বাণী প্রসাদ নাগ

অবচেতন মনের গভীরে লুকিয়ে কত ব্যথা
হারাতে চাইনা তাই এসেছি অতি গোপনে
তুমি যে আমার কত আপনার বিধাতাই জানে
ব্যথা পেয়ে চলে গেলে মননে তাই কষ্ট মনে। 
                            
মনে পড়ে ফেলে আসা হারানো নানা ব্যথা 
জানি না কিসের টানে গিয়েছি এখানে ওখানে
চাওয়া না পাওয়ার মাঝে চোখের আড়ালে
ছুটতাম কিছু না ভেবে অতি সঙ্গোপনে। 
                           
দু তিনটি পাশ করে কর্মাভাবে ভুগছিলে তুমি
তোমাকে কাছে, আরও কাছে পেতে ব্যস্ত যখন
মনের আবেগে বলেছিলাম “অকর্মণ্য” তোমায়
পুরনো দিন ভুলে সরে গেলে বহুদূরে গোপনে।  
                      
মান অভিমান  আর রেখো না ধরে মনে
এসেছি আমি লজ্জা ভুলে প্রায়শ্চিত্তের আশে
শিক্ষিত হয়ে শিক্ষার মান যাবে না’ক বৃথা
“অচ্ছে দিনের” অপেক্ষায় থাকব দুজনে। 

Thursday, January 16, 2020


























গ্রন্থ আলোচনা 

কাব্যগ্রন্থ- দাম্পত্যের রাত্রিজল 
কবি- মৌমিতা পাল 
প্রকাশক- ধানসিড়ি
মূল্য- ৯৫ টাকা 

আলোচক- শৌভিক রায়  

উদীয়মান কবি হিসেবে যিনি ইতিমধ্যেই 'নার্গিস পুরস্কার`-সহ একাধিক পুরস্কারে ভূষিত তাঁর কাব্যগ্রন্থ নিয়ে নতুন করে কিছু বলবার থাকে না। ঊনপঞ্চাশটি কবিতা মলাটবন্দি হয়েছে কবি মৌমিতা পালের 'দাম্পত্যের রাত্রিজল' কাব্যগ্রন্থে আর প্রতিটি কবিতাই নিজের মতো কবিতা হয়ে উঠেছে। এখানেই কাব্যগ্রন্থটির সার্থকতা। কবিতাগুলি পড়তে গিয়ে কখনই একঘেয়েমি লাগে না। বরং পাঠ যত এগোয় তত যেন পাঠকের সামনে ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হতে থাকে কবির নিজস্ব অনুভূতি যাতে মাখামাখি হয়ে যায় ''চু কিত্ কিত্ খেলতে গিয়ে মধ্যপদের 'যা ভাগ!'' আর ''...প্রিয় শরীরের কবলে/ ক্ষমাহীন স্বকাল''। 
অসম্ভব সব শব্দ সাজিয়েছেন কবি মৌমিতা পাল তাঁর কবিতাগুলিতে। কবিতা যদি হয় শব্দচয়ন, তবে তাতে সার্থক কবি মৌমিতা পাল। পড়তে পড়তে মনে হবে যে, শব্দ নিয়ে তাঁর এই অনায়াস খেলা সহজাত। এখানে বোধহয় প্রেসিডেন্সি কলেজে তাঁর বাংলা বিষয় নিয়ে পড়া ভীষণভাবে সাহায্য করেছে, যদিও এটি একেবারেই ব্যক্তিগত অনুমান। আসলে 'বিম্ববতী পদ্মকাঁথায় সময় মুড়ে ঘুমায়।/ জ্ঞানশক্তিকে শূন্যে চুমু খায়' জাতীয় বাক্যে কবির বিষয়ের ওপর গভীর পড়াশোনাই প্রকাশ করে। পাশাপাশি 'ন্যাকামোর ভাবভঙ্গি বড়ো সৃজনশীল/ (মনে মনে যদিও বজ্জাত)/ প্রেমতত্বে পিদিম জ্বালিয়ে নাও/ লাগলে তুক না লাগলে থাক!' প্রমান করে যে, জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা তাঁকে কম শেখায় নি! 'সোঁতকাল', 'কবন্ধ্যাসীমা', 'ডারউইনের ডাকবাক্স`, 'যৌথ খামার', 'নিখোঁজ চিবুক` ইত্যাদি প্রতিটি কবিতার নামকরণে যে চমক, পংক্তিতে পংক্তিতেও সেই চমক। প্রতিটি পাঠ পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে। আধুনিক কবিতা যে রহস্যময় বৌদ্ধিক প্রয়োগ ও আবেগের সংমিশ্রনে এক নতুন ভুবনে পাঠককে উন্নীত করে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই কবিতাগুলি। পিছিয়ে নেই অন্যান্য কবিতাগুলিও। দুর্নিবার আকর্ষণ তৈরী করে সেগুলিও যখন পড়া যায়- ''ফিরতি পথে লুকিয়ে রেখেছি সমুদ্র-উন্মাদকে।/ বুকের ভেতর মাটি মাটি ঢেউ তুলে/ সে জানান দেয় 'আমি আছি`` অথবা 'রাগি পুরুষকে কাছে টেনে চুমু খেলে/ তার ঘেন্না ছুড়ে দেওয়া হয় ফুৎকারে/ এসব ছলনা আসলে সৃজন/ কুম্ভকার মেয়ে তার সৃজন ভোলে না কখনও'। যে কবিতার নামে কাব্যগ্রন্থের নাম সেই 'দাম্পত্যের রাত্রিজল` পড়তে পড়তে মনে হয়েছে ব্যক্তিগত কথন কবির নিজের অজান্তেই সার্বজনীনতা ও বহুমাত্রিকতা স্পর্শ করেছে। এই উচ্চারণ জীবন সম্পর্কে প্রগাঢ় বোধ না থাকলে আসবার কথা নয়। খুব কম বয়সে কবি তা অর্জন করেছেন বুঝে ভাল লাগল। আসলে যিনি 'সুফি প্রেমে নিজেকেই খুন` করেছেন তাঁর কাছে এটাই প্রত্যাশিত। ভণ্ডামিহীন টানটান শাণিত বাক্যবন্ধ আর ঋজু চলন...কবি মৌমিতা পালের কবিতা-যাপন। 
কাব্যগ্রন্থের মুদ্রণ, কাগজ ও প্রচ্ছদ মনোগ্রাহী। কবিতাগুলির মতোই ঝকঝকে স্মার্ট প্রচ্ছদ এঁকেছেন সেঁজুতি বন্দোপাধ্যায়। কবি মৌমিতা পালের কিছু কবিতায় যেভাবে যৌনতা খেলা করেছে তার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে প্রচ্ছদ ছবি। মলাটে বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়ের ছোট্ট ও শক্তিশালী ভূমিকা কাব্যগ্রন্থটিকে নিঃসন্দেহে অন্য মাত্রা দিয়েছে। কবি মৌমিতা পালের কাব্যগ্রন্থ আসলে সময়ের সঙ্গে কবির নিজস্ব আলাপচারিতা আর তা এমন একটি স্তর অতিক্রম করেছে যেখানে পাঠক নিজেকে খুঁজে পেতে পারেন কবিতার বাক্যের মধ্যে। তবে শেষ কথা কবি ও পাঠকের একান্ত নিজস্বই থাকবে কেননা 'সব সত্যি বলতে নেই/ স্বীকারোক্তি দিলে কবিতার স্বাধীনতা নষ্ট হয়'।            


























আত্মহননের পথে
  স্বাগতম দে

আত্মহনন ইচ্ছায় শিল্পী চেয়ে আছে -
মৃত অবয়ব পানে ।
মেঘের উড়ো চিঠি ,
দীঘির জলে উঁকি দেয় ।
অভিমানী মেঘদূত কবিও চেয়েছিল মৃত্যু মাধুকরী ,
কোনো এক সরোবর ঘাটে ।
শ্যাওলা নুপুর পায়ে পরে
দীঘির সিঁড়ি ।
শিল্পী দেখে অনুভূতিহীন অবয়ব ,
  কঙ্কাল কাঠামো ।
একদিন প্রতিমা ছিল ।
পৃথিবীর কাদা হাতে ,
কত কল্পনায় স্বপ্ন তুলিতে আঁকা ,
মনসিজ প্রেম বুকে ।
কপালে কুমকুম ,
এঁকেছিল চোখ ,
দৃষ্টি দানে অকৃপণ হাতে মোহিনীর রূপ ।
বুকের ভাঁজে ফুলদানিতে প্রাণদান ।
নাভি কুন্ডে তুলির ছোঁয়ায় ,
  বিশুদ্ধ গভীরে, সৃজনী আবর্ত ।
পানমুখ দীঘির পাশে ,
বিসর্জিত নারী তার ।
শুকনো খড়ের বিনুনি বোনা ,
তীক্ষ্ণ বাশেঁর শলাকায়
বিঁধে আছে ,
দেবী তার মানুষী কঙ্কাল ।
কবন্ধ সৃষ্টি এক ।
এভাবেই যুগে যুগে -
স্বপ্নেরা মরে গেলে ,
সৃষ্টির স্থলিত মৃত্যু দেখে ,
স্রষ্টা করে মাধুকরী -
উলঙ্গ অধিকারে ,
আত্মহননের পথে ।
নবনীতা সরকারের কবিতা
























উপহাস
মান্তু দেব রায় 

অন্ধকারকে পেছনে ফেলে  আমি হাঁটছি,
উদিয়মান  সূর্যের দিকে , 
 নিস্তব্ধ  পৃথিবী!

উপহাস গুলো আমার পেছন পেছন হাঁটছে,
উপহাস গুলো আবারও  ছুঁয়ে দিয়ে আমার শব্দ গুলো তে ধূলো ছিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা 'য়! 

আমার কলম কে টেনেহিঁচড়ে কালিমালিপ্ত করার   উদ্দেশ্যে! 
উপহাসের সৈন্য বাহিনী চলছে আমার পায়ের ওপর পা ফেলে! 

আলো  কে আঁকড়ে ধরে আত্মবিশ্বাসের ওপর ভর করে আমি চলছি!
গভীর অন্ধকার কে উপেক্ষা করে! 

চলতে চলতে শব্দ বুনছি! 
 শব্দের প্রান প্রতিষ্ঠা করবো 
প্রদীপ শিখা  জ্বলবে, বর্ণ মালার শরীর জুড়ে আলো ঝলমল করবে!

আলোর রোশনাই দেখে মুখথুবড়ে পড়বে উপহাসের দল!

ছন্দ -শব্দ- বাক্য গুলো উল্লাসে  সাদা পাতায় আঁকিবুঁকি কাটবে কবির কবিতায়!

Tuesday, January 14, 2020





















কিছুটা অ্যান্টিদৃশ্যের মুখোমুখি

শব্দরূপ : রাহুল গাঙ্গুলী


ওরা চাইলো বিস্ফোরণ
আমার চাই ~ শান্তি।কিছুটা মাটি

এখন _______
                         গতির বিরুদ্ধে গতি
                     পৃথিবীর বিরুদ্ধে পৃথিবী 
                 অবস্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান 

আসলে ________

সবটাই ~ ওই কাগজ দিয়ে বানানো 
                                         এরোপ্লেনটার মতো























নিস্তেজ শিখা
বাণী প্রসাদ নাগ

শিয়রের পাশে প্রদীপের শিখা
নিভে যাবে জ্বলে রাত্রিদিন
মনের মুকুরে ভাসে কালো মেঘ
আজ আমি হয়েছি দিশাহীন। 
                   ♣
ঘুচে যাবে মোর স্বপন জড়িমা 
যবে হব চিরতরে বিলীন
তোমার বিরহে ব্যথায় কাতর
শুধু ভাবি বসে নিশিদিন। 
                   ♣
গঙ্গার জলে ভেসে যাব ভেবে
সবকিছু ভুলে হয়েছি শঙ্কাহীন
অনুতাপের আর নেই তাপ 
আমার আজ এসেছে শুভদিন।