Thursday, September 28, 2017

    



















সাধন
সুকন্যা সামন্ত


জন্ম জন্মান্তরের সাধনে মাগো,
চিনিবো তোমায়,
প্রতি জনমে
নতুন করে
জয় পরাজয়,
সুখদুঃখের মাঝে ,
পাইবো তোমায়
আমার প্রতি জীবনে ,
আমার প্রতি কাজে
করিবো যত নিবেদন,
দেবো যত ভক্তির ডালি-
উজাড় করে,
পাইবো তত দ্বিগুণ করে-
তোমার পরশ তাতে
যে ছলেই ছলো মাগো,
পারিবে না তুমি
যাইতে দূরে আমার হতে
বিশ্বাসে মিলিবো তোমায় ,
আপন ভক্তিরসে পাইবো স্থান ,
জুড়াইবো প্রাণমন
তব রাঙা চরণতলে ।।

















 রক্তস্রোতে বহে সূচ
ফিরোজ আখতার

 
 এক 
 
রক্তস্রোতের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে সূচগুলি
একটি নিষ্পাপ শিশু,
এক গোছা রজনীগন্ধা 
ঠিক যেন শতসহস্র শয়তানের কামড়,
অসংখ্য নরকের সম্মুখে
দাঁড়িয়ে দেবকন্যাটি ।।  
 
 দুই 
 
স্বর্গ আজ লাঞ্ছিত হয় বারেবারে
সূচের তীক্ষ্ণ আগায়,
দশটি শয়তানের কামড়ে 
নরকের কীটগুলির নৃশংস দংশনে,
ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়
বছর তিনেকের শিরাগুলি ।।
 
 তিন 
 
স্বর্গের মৃত্যু হয়েছে বেশ কিছুক্ষণ আগে
শয়তানের করাল কামড়ে,
তীক্ষ্ণ সূচের গ্রাসে ।
আর, দেবী থেমিসের ন্যায়দন্ড অপেক্ষারত,
জিউসের কঠিন বজ্রের
আঘাতের জন্য ।।

Monday, September 25, 2017

মধ্যরাতের খন্ড কবিতা 
    পর্ব - ১৮
    লক্ষ্মী নন্দী                                      

অামার চোখে অনেক নদী
লুকিয়ে রাখি জল।
মৃত্যুগাছের ছায়ার নিচে
অামার চলাচল।
তোকেই সব বলব বলে
প্রহর গুণি রাত
নৈঃশব্দের ভীতর দিয়ে
বাড়িয়ে দেই হাত।
বিপুল রাতের উল্লাসেতে
থই থই অন্ধকার
অক্ষিগোলকে ভেসে ওঠে
তোর শরীরী অহঙ্কার।
একটা কেবল শর্ত অাছে
সাদাপৃষ্ঠা জুড়ে
অামার সঙ্গে জেগে থাকিস
শব্দ সমাহারে।
তোর চারণে জুড়াই অামি
সকল অতীন্দ্রিয় 
তুই অামার মধ্যরাত
তুই অামার প্রিয়।।

Saturday, September 23, 2017
















সবুজ বিলাপ
মুর্শিদ আলম


একটা সবুজপ্রাণ ছিল তোমার
প্রশমিত আদরে আজ করেছ
তাকে বেশ মরুচারী!

শিয়রে তাই তোমার এখন
ছোটোবড়ো নানান ক্যাকটাস ! 

একটা সবুজপ্রাণ ছিল তোমার
প্রশমিত আদরে আজ করেছ
তাকে বেশ মরুচারী!

শিয়রে তাই তোমার এখন

ছোটোবড়ো নানান ক্যাকটাস ! 


























মশারির বিনিদ্র রজনী একলা চাঁদ।
সুপ্রীতি বর্মন


মশারি টানটান অবসাদে রিক্ত হৃদয়।অব্যক্ত যন্ত্রনা বুকের বাঁদিক ধকধক। অভিমানে ছলছল চোখ শূলব্যথা কোমর থেকে তলপেটে চেপে ধরে।অস্থিরমতি উচাটন ছটফট বিনিদ্র রজনী যাপনচিত্র।অভুক্ত ঘুম রেখাচিত্র অঙ্কনে প্রেয়সীর মুখ আর আলিঙ্গনে চোরাসুখ।তোমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গে জড়ায়ে গতিশীলতায় প্রানস্পন্দন আলোর ঝিকমিক উজান গাঙে।এই একটু আগেও পড়েছিল নদীর বুকে আদিগন্ত চরা এখন স্রোতপ্রবাহে খোলা নদীমুখ অবাধ্য আস্কারা এলোপাথারি ছোঁয়া। আস্কারায় বুনতে লেগেছে তোমার ছেঁড়া কাঁথা নকসী কাঁথার মাঠ।আমার সাতরঙা প্রজাপতি স্বপ্নিল রামধনুর রঙে নিজেকে চুবিয়ে ছত্রে ছত্রে এঁটো মৌখিক প্রনয়ালাপে দিয়েছে প্রেমের প্রতিশ্রুতি।খোলা চোখে তুমি রাতজাগা পাখি।মাঝরাতে নিশুতি পাড়া আর ঘরদোর আমাদের আলাপচারিতায় কাকজ্যোৎস্না ভ্রমে ভোরের ডাক।ফোনে জাগে নতুন হৃদস্পন্দন আমি এসেছি তোলো আমায় লাগাও পাল আমার খোলা হাওয়া।বিনিদ্র রজনী কোলবালিশে ঠেসে আধশোওয়া কনুইয়ে ভর স্বপ্নভ্রমে দ্বিচারিতা তুমি পাশে শুয়ে।রাশভারী হাত মারে বর্শার ছিপ এলায়িত নদীবক্ষে এলোপাথারি সান্নিধ্য সুখ মুখপানে চেয়ে বলি ওগো শুনছো কি যে কর তুমি।ধামসা মাদলে বুকে আনচান সানাইয়ের সুরে আগমনী নববধূ কুঁচবরন কন্যে ঘর করবে আলো। আধডোবা মন তোমার অধরা ওষ্ঠের স্পর্শে চালচুলোহীন ভাঙা একতলা হুড়মুড়িয়ে সাতমহলা গগনচুম্বী। হাত ধরে ঠিক পৌঁছে যাবো।তোমাকে মানানো অভিমান, ক্লান্তি মেখে একেবারে নিঃশ্চুপ বলো বলো কি হয়েছে।সাতসকালে শত কষ্ট মুখ বুজে রাজকার্য্যে ছোটো নেই কোন আসার প্রতিশ্রুতি শুধু ফোনেই হবে আমাদের।গোপনতার আরেক ছায়া আলাপন সোহাগের সান্নিধ্য সুখ।সামনা সামনি ঝপাৎ শব্দে ছায়াপথে সুখ মড়ক লাগা গাছগাছালির ফাঁকে চল না পার্কে কিংবা কোন প্রমোদ ভ্রমনে নাগরদোলায়।ঘুরবো শক্ত করে তোমার হাত ধরে হাজার দুর্বিপাকের ঘোরপথে সোহাগের সুখ।মশারীর ভেতরে অভীপ্সা তোমার সাথে নিদ্রা তুমি এখন অলীক সুখ চেনা শব্দ শূন্যতায় ভর।

আমি এখন একলা জীবন।নিঃসঙ্গ শূন্যতায় জ্যোৎস্নায় মাখামাখি মধুচন্দ্রিমা কেমন করে কাটে বলো একলা বিরহের বেলা।তবুও এমন বেহায়া প্রতীক্ষায় বসে প্রহর গোনে কখন শুনবো তোমার পদধ্বনি।ঝলসে উঠে সহবাসে আলো আঁধারের খেলা ধরাছোঁয়ার বাইরে। জীবনবৃত্ত জটিল উপপাদ্য তোমা ভোগ্য সুখে।আমিও কান্না হাসি মান অভিমান টুকে রাখি ফোনের খাতায়।আগামী দিনের উজ্জ্বল স্মৃতি কেটেছে কত বিনিদ্র রজনী চাদরের আবদারে।মশারির বাহুডোরের ফাঁদে কুমুদিনী তুমি দিয়েছো ধরা।তোমার উষ্ণ প্রসবনে দুগ্ধফেনিল সমুদ্রের আদিগন্ত প্রশয় আর ঠোঁটের আগুনকে বুকে ধরে পলকে ছারখার আমার আধডোবা মন।রাশ ছেড়ে নিজেকে ভাসায় প্রেমে তোমাকে নিয়ে করে যায় প্রতি রাতে ছেলেখেলা।তোমার সান্নিধ্যে নজর যেন না লাগে তাই সাঁঝের কাজল একটু নিয়ে সহাস্য রূপসী তোমার ঠোঁটে বসাই তিল যদিও আমার আবদার নিতান্তই আটপৌরে।কখন পাশ ফিরে শুয়ে তোমাকে অনর্গল শুনতে থেকে আলিঙ্গন সোহাগ ভ্রমে কেটে গেছে রাত টের আমি পাইনি।আধডোবা মনে ফোন খোলা শরীরে আস্কারায় তোমার সান্নিধ্য সুখে মুখচোরা। চুপটি করে পড়ে আছে কোলবালিশে প্রতীক্ষার পলাশরাঙার ভোরে।তুমি ঘুম ভাঙতে নারাজ পেয়েছিলে চাঁদ তোমার ভাঙা ঘরের উঠানে।তাই পাশ ফিরে আবার শোও তুমি আমাকে আপন করে....













আগমনী
সুকন্যা সামন্ত


মা আসছেন,
বিশ্বমাতা সাজিছে আজ নবসাজে -
করিতে জগন্মাতার আহ্বান

কাশফুলের সৌরভে
সুবাসিত হয়েছে বাতাস ,
পাখিদের গুঞ্জনে
মুখরিত হয়েছে আকাশ ,
পদ্মফুল শোভিছে
পুস্করিণীর জলে ,
শিউলির সুবাসে
ভরিছে গৃহ প্রাঙ্গণ

প্রফুল্ল প্রাণ , চঞ্চল মন ,
করিছে মাতৃ গুণগান সর্বক্ষণ
তৃষিত নয়ন হয়েছে সজল ,
শুনিয়া মাতৃ আগমনবাণী ,
হেরিতে মায়ের মধুর হাসি

থাকবে না আর দুঃখের রেশ ,
ঘুচবে ধরার যত ক্লেশ ,
পুরিবে মোদের আশা ,
ভরিবে মোদের বাসনা ,
শূন্য ভাঁড়ার পূর্ণ হইবে
মাতৃ আশীর্বাদে ।।





















অচিন পাখি
দীপশিখা চক্রবর্তী 

মন যে আমার অচিন পাখি,জাগায় হৃদে দোলা,
এত করেও সেই পাখিরে যায় না কেন ভোলা?
মনের মাঝে আসা যাওয়া,রুপকথার এক ধাঁধা, 
খাঁচা ছেড়ে পালায় উড়ে,মানে না কোনো বাঁধা।
কোন আকাশে বাঁধবে বাসা,কোন সুখেরই খোঁজে,
ক্লান্তিভরা চোখদুটি আজ মিষ্টি সুরে বোজে।
চাঁদ যখন জোছনা রাতে রুপোলী আলোয় ভাসে,
চোখের পাতায় ঘুম জমেছে,অবুঝ মন হাসে।
মন যে আমার নিস্তব্ধে দিয়েছে তোকে ধরা,
ভালোবেসে অচিন পাখি আর পাবে না ছাড়া।


















অনভিপ্রেত
           স্বপন কুমার রায়
              

ইতিহাসের লাশগুলো আবার নড়েচড়ে উঠল
নিশথি রাতে একা একা হাঁটে গোরস্হান থেকে শশ্মানে
    আমাবস্যার রাত্রি     মাঝে মাঝে গোঙানি
আমি গতকাল সৌহার্দের আকাশে পাপি তারাদের দেখেছি
----- যেন সিগারেটের বিজ্ঞাপন মোড়কে বিচ্ছু বেড়িয়ে
----- যেন ব্লু হোয়েলে বলা যেতে পারে মৃত্যুকে বাজি ধরা
আবার মিছিল স্লোগান জাগ্রত খাগরাগড় ধর্মে শান দেওয়া তরবারি বসিরহাট
ফুটপাত ভর্তি রাজনৈতিক সিম্বলে রবীন্দ্রনাথের রাখি বন্ধন হাত
দূরদর্শনে ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে নজরুলের বিশের বাঁশি
         ফেসবুক তখন সাম্প্রদায়িক তর্জা
        ধর্ম নগ্নদেহ   সাম্প্রদায়িক পরিকল্পনা |
একটির বেশি দুটি সন্তান নয় সতর্ক বিজ্ঞানপন হোডিং অতিক্রম করে যাচ্ছিলাম
পেট বাঁচাতে ভিন রাজ্যের ট্রেন ধরবো রাত বারো টায়
-------- রাত দশটায় বুলেটিন
ধর্ষিত বিবস্ত্র মৃত মায়ের স্তনে শিশু পৃথিবীর উপরে
ছিন্নমুল অগণিত মানুষ সীমান্ত পারে
আবারও ইতিহাস ভুল করে, মানুষের রক্ত মানুষ মাখে
ধর্ম ভুল করে প্রমাণ দিতে ইতিহাস অস্বীকার করে
বলতেই যেন,ডিল ছোড়া মৌচাক হুল ফোটান বোলতা
কেউ ছিল মাতাল বেসমাল রাজার ভারাটে সৈনিক
আততায়ী ধর্ম বিক্রির ব্যাশার দালাল সম্পদশালি
গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই  কয়েকটি মৃত্যু
আবারও ধর্মের রঙ দেখে মানুষ মানুষকেই মারে
----------  এটা তো এখানে অনভিপ্রেত !
   















আগমনী
    রকি মিত্র


একটা প্রশান্ত আকাশ
শিউলির বাতাস বয়ে যাওয়া
একটা ফুড়ফুড়ে দিন।
সবুজ শাড়ি পড়া পাড়াগায়ের,
সদ্য যৌবনা একটা মেয়ে,
প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে জানালায়।
রোদ এসে ছুঁয়ে যায় মুখ,
কিছু ভাবার আগেই..
হঠাৎ কারা যেন ডাকছে!!
কে ওখানে?...........
কেউ নয়। মেঠো আলপথ।
মেয়েটা শাড়ির আঁচল দেখে নেয়,
ডানদিকে কতটা,বাঁদিকে কতদূর..
এরপর পা বাড়ায়...।
তখনও পশ্চিম দিগন্ত -
রাঙা হয়ে ওঠেনি ততটা।
পরিচিত বটগাছগুলি পেরিয়ে
সেই গ্রাম্য মেয়েটা পা ফেলছে আপনমনে।
দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা কাশবনগুলো,
কি যেন বলতে চাইছে বারবার
নড়ছে,শুধুই নড়ছে,তবুও পাড়ছে না।
শেষে মাথা নত করে
আবার চেয়ে আছে এদিকেই।
মাথার উপর তখন ডানা মেলেছে
নাম না জানা কোনো এক,
ভিনদেশীয় পাখি।
সবকিছু ছাপিয়ে--
মেয়েটাও ততক্ষণে সুর মিলিয়েছে,
উন্মাদ বাতাসের সাথে।
হঠাৎ আবার কারোর ডাক এলো,
দুপাশের কাশবনের ভেতর থেকে
হঠাৎ কারা যেন বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের হাত।
কে ওদিকে?....
কেউ নেই। শুধু কয়েকটা চিৎকার।
মাথার উপর তখনও উড়ে বেড়াচ্ছে
সেই অজানা পাখিগুলি।
এক,দুই,তিন আরও কয়েকটা মিনিট,
তারপর সব শান্ত!!
আকাশে তখন পূর্ণিমার চাঁদ
রূপোলী কাশবন।
বাতাসটা তখনও বইছে ঠিক আগের মতোই
শুধু শরতের শিশির ভেজা ঘাসে
পড়ে থাকা একটা সবুজ নগ্ন আঁচল,
লাল কালি দিয়ে যার গায়ে লেখা কয়েকটা অক্ষর,
"ওরে আমার ব্যর্থ আগমনী।"
                                        

Thursday, September 14, 2017















কবিতা লেখার আড়ালে
শিবু


কবিতা লেখার আড়ালে ‘কবি’ হয়ে ওঠার একটা বাসনা লুকিয়ে থাকে
যেমন গাছের পরিচর্যার উদ্দেশে ফুল-ফল পাওয়ার একটা বিধেয় থাকে ।
ভুলে যাই তখন যে সেই গাছ মিশে আছে আমার শ্বাস-প্রশ্বাসে ,
অবিকল আমি পাথর যেন ভুলে গেছি আমার মাটি-স্বরূপ । অজ্ঞান হয়ে
পড়ে আছি - কখন একদলা পৃথিবীর গন্ধ শুঁকে শুঁকে চোখ ফুটলে,
শুয়ো পোকার মত গিয়ে উঠব তিস্তার বাঁধেওপারের চর হতে
ভেসে আসা নদীয়ালি হাওয়ায় আমার গায়ের রোম গুলি খাড়া হয়ে ওঠে!
যদি জ্ঞান ফিরে আসে, আনকোরা কবিতার পান্ডুলিপি গুলি
তিস্তার জলে ভাসিয়ে দিব,উঠব গিয়ে চরের মন্ডল পাড়ায় – দশটাকায়
তিনটি তরমুজ কিনে পাঁচ বন্ধু মিলে কামড়ে খাব – যতক্ষণ পর্যন্ত না
সাদা মাংস বেরিয়ে আসে । স্মৃতি শুধু আর অতীতে থাকবে না
স্মৃতিরা শুধু আর কবিতায় ফুটে উঠবে না,একটা জ্বলন্ত বর্তমান হয়ে
 জড়িয়েথাকবে আমার চারপাশে ছিলিমের ধুম্রজালের মতন ।




















ব্রহ্মযোগ
মাধবী দাস

এবছর ভাদ্রে মত্ততা শুনিনি দাদুরির
তালপাকা গন্ধ নাকে এসে পৌঁছয়নি, 
পাড়ার কুকুরেরা মেকি সভ্যতাকে মানিয়ে অনেকটাই সভ্যভব্য 
নির্জন নদী প্রহর গোণেনি
বরফজমা চাঁদের
মহাজাগতিক ওমে ঘুমিয়ে আছে প্রকৃতিবাদ
আমার ব্রহ্মযোগে কেবল 
তুমি তুমি আর তুমি
অহং থেকে উত্তীর্ণ হলেও
তোমার থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার
সহজিয়া মন্ত্র আমার জানা নেই।