আগমনী
রকি মিত্র
একটা প্রশান্ত আকাশ
শিউলির বাতাস বয়ে যাওয়া
একটা ফুড়ফুড়ে দিন।
সবুজ শাড়ি পড়া পাড়াগায়ের,
সদ্য যৌবনা একটা মেয়ে,
প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে জানালায়।
রোদ এসে ছুঁয়ে যায় মুখ,
কিছু ভাবার আগেই..
হঠাৎ কারা যেন ডাকছে!!
কে ওখানে?...........
কেউ নয়। মেঠো আলপথ।
মেয়েটা শাড়ির আঁচল দেখে নেয়,
ডানদিকে কতটা,বাঁদিকে কতদূর..
এরপর পা বাড়ায়...।
তখনও পশ্চিম দিগন্ত -
রাঙা হয়ে ওঠেনি ততটা।
পরিচিত বটগাছগুলি পেরিয়ে
সেই গ্রাম্য মেয়েটা পা ফেলছে আপনমনে।
দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা কাশবনগুলো,
কি যেন বলতে চাইছে বারবার
নড়ছে,শুধুই নড়ছে,তবুও পাড়ছে না।
শেষে মাথা নত করে
আবার চেয়ে আছে এদিকেই।
মাথার উপর তখন ডানা মেলেছে
নাম না জানা কোনো এক,
ভিনদেশীয় পাখি।
সবকিছু ছাপিয়ে--
মেয়েটাও ততক্ষণে সুর মিলিয়েছে,
উন্মাদ বাতাসের সাথে।
হঠাৎ আবার কারোর ডাক এলো,
দুপাশের কাশবনের ভেতর থেকে
হঠাৎ কারা যেন বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের হাত।
কে ওদিকে?....
কেউ নেই। শুধু কয়েকটা চিৎকার।
মাথার উপর তখনও উড়ে বেড়াচ্ছে
সেই অজানা পাখিগুলি।
এক,দুই,তিন আরও কয়েকটা মিনিট,
তারপর সব শান্ত!!
আকাশে তখন পূর্ণিমার চাঁদ
রূপোলী কাশবন।
বাতাসটা তখনও বইছে ঠিক আগের মতোই
শুধু শরতের শিশির ভেজা ঘাসে
পড়ে থাকা একটা সবুজ নগ্ন আঁচল,
লাল কালি দিয়ে যার গায়ে লেখা কয়েকটা অক্ষর,
"ওরে আমার ব্যর্থ আগমনী।"
No comments:
Post a Comment