Saturday, June 24, 2017














শিকড়

সুপ্রীতি বর্মন।



হঠাৎ নাভিমূলের নিঃশ্বাসে ক্ষনজন্মা হল প্রনয়বৃক্ষ।
দুগ্ধসরোবরের পুষ্টিতে তার সমৃদ্ধি।
অল্প অগ্নি সৈকতের স্পর্শে দোলা লেগে উচাটন পাগলপারা।
তর তর করে শাখা প্রশাখা আদিগন্ত প্রসারিত।
জড়িয়ে ধরে নিগড়ে নিতে চায় ভাড়ারে সঞ্চিত রসটুকু।
আরোহনে পাগল হচ্ছে কখন শেষ সীমানায় পৌছাবে বলে।
অস্থিরতায় ব্যগ্র তেজ চাহিদায় অতৃপ্তি এক অনন্ত সমুদ্র।
শেকড়ের ভিত্তিমূল কবে থেকে নরম মাটির বুকের গভীরে প্রোথিত।
ঝড়ের উদ্দাম চ্ছন্নছাড়া খোলাচুলের ব্যখ্যা কারোর জানা নেই।
ধীরে ধীরে মাটির গর্ভে তার গোপন অন্দরমহল।
সেখানে শারীরিক চঞ্চল গতি।
সবটুকু জমি করতলগত করে নিতে চায় নিজের অধিকারে।
কোটরে লুকিয়ে আছে কত শত অজানা উপাখ্যান।
দুগ্ধসরোবরে রাজহংসযুগল প্রনয়ালাপে মত্ত।
চঞ্চুবিনিময়ে দুজনেই ওষ্ঠাগত।
জ্যোৎস্নার অঝোর বৃষ্টি ঐ দীঘিকে করতে লেগেছে উচ্ছ্বলিত।
ভেবেছি অব্যক্ত বেদানার পরিচয়ে গভীর
অমাবস্যায় যেন চন্দ্রমায় লেগে়ছে গ্রহন।
পাতাগুলো আমার মুখচোরা।
কখন থেকে নুইয়ে গেছে লজ্জা সংক্রমনের স্পর্শে।
আজ আমি কত অসহায় মাথা তুলে শুধু বেড়েই
চলেছি অসীম আগ্রহে উর্দ্ধপানে।
অনন্ত সমুদ্র আদিগন্ত তোমা আমা মধ্যিখানে।
দিবারাত্র কি দূর্বিষহ জ্বালা শরীর জুড়ে।
কখন ডুব দিতে পারবো ঐ দুগ্ধ ফেনিলে।
শিকড়ের গাঁটে গাঁটে যন্ত্রনা প্রচন্ড টানাপোড়েন।
অল্পস্বল্প মাটি চুঁইয়ে রন্ধ্রে দিয়েছি ক্ষনিকের যতি।।
যদি খোদিত করতে পারতাম গুড়িতে প্রেয়সীর নাম।
আর যেমন ছেলে ছোকড়া প্রায় লিখে বসে আনমনে উড়ো উড়ো প্রেম।
কিন্ত সেসব তো যত্ন নিয়ে লুকিয়ে রেখেছি কোটরে।
তারপর ভোরের উদিত রবি লাল টুকটুকে
যেন সোহাগ শেষে উঠলো সমুদ্রে স্নান সেরে।
কি অপরূপ সুন্দর তার আলতা চরন।
সমগ্র শরীর আমার আর্দ্র হল
ঝুপ ঝুপ নিঃশব্দ চরনে কুয়াশার কোলে মাথা রেখে।
অবশেষে পেলাম গাঢ় মাখামাখি ঘুম।
এইসময়ে সবকিছু ধোঁয়াশায় যাক অস্তাচলে।
এই নিরিবিলি নিভৃত কুঞ্জউপবনে
তোমাকে নিয়ে আমার স্বপ্ন।

No comments:

Post a Comment