বাজারের ব্যাগ
সুপ্রীতি বর্মন
সকাল সকাল পিষ্টকের থলিতে চুম্বকটান দুগ্ধস্রোত বৎসল
হাম্বা উচ্চৈস্বরে কোমল ঘাস অনীহা উদাসীন
জিহ্বা লকলকে লালা নিঃসরন চর্ব্য মাতৃত্বের টান
হেঁচকা মেরে গুঁতিয়ে স্নেহের ধারালো মাঞ্জা
অদ্য প্রভাতে নীল আকাশ মুষ্টিমেয়
অর্জনের লড়াই কানাঘুষো আজ আরো আরো পেতে হবে।
বাজারের ব্যাগ হাতে সব্জী বাজারে
ক্রমবর্ধমান গতি।
ভিড়ের সমুদ্রে গুনেছি অজানা ঢেউ
আপন বেঁচে থাকার লড়াই।
বেঁচে আছি কি?
নীরব শূন্যতায় ফাঁদ অবশেষকে ভূগোলের সীমানায়
নতুন করে পূর্ণতার চন্দ্রের আলিঙ্গন।
প্রয়োজন অন্তঃসারশূন্য অনন্ত অশ্বগতিতে জীবাশ্ম।
হিসেবী তোলা খাতা মলাট বিহীন দীর্ঘশ্বাসে নিজেকে লুকায়।
ঘ্যাঁন ঘ্যাঁনে এক কর্ম ঘুমের ঘোরে
কুকুর ক্রন্দনে অশুভ কুসংস্কারের পচন
সাবানের সুগন্ধী ফেনায় ভেসে যায় প্রৌঢ়।
সন্তরপর্ণে মৌমাছিরা সঞ্চিত মধুমাসে
আপন হেলায় আত্মমিলনের সন্ধিক্ষনে
দিয়েছে দংশন গা কাঁপানো জ্বর।
অসুখ ইত্যবসরে বেমানান।
চাদরের comfort zone e আদরের প্রলেপ।
ভেলভেট পশম দ্রব্যমূল্যের বাজারে হাতটান।
তবুও মুখভার সাইকেলের গুঁতো
অনিচ্ছার অনেক চেন
একসাথে যেন কোন গোছা রসা নারকেল দড়ি
অহংকারী উচ্চনিনাদী বিজয়ের বীনা
ঝংকার শ্বাসে সপ্তম সুরে চুম্বন
এক পরম আলোকিত দেবালয়।
সেথা দেবাদেবী পরষ্পর আলোকপাতে
দৈহিক সর্পিল চন্দনে জড়ায়।
আর নাভিমূলে অঙ্গুলীচারনায়
উল্কা আঁকিবুকি এক ভব্য জগৎ।
সকল কোলাহলের অন্তিম শ্বাস।
তবুও বাজারের ব্যাগ হাতে সাবধানী সত্ত্বা
এক হিসেবীর কাঠপিঁপড়ে হিজিবিজি অন্তরের সাদাকাগজ
সব হিসেবের মিল অমীমাংসিত শূন্যতে ঠেকায়।
চতুর্দিকে ভোঁ ভোঁ মাছির কোলাহলে অবিমিশ্রিত
মাছের আঁশের ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত পথের ধূলায় গড়াগড়ি।
কিন্তু পেট চিঁড়ে সকল উত্তরাধিকারীরা দলাপিন্ড
মৈথুন শেষে হতবাক।
নগন্য কড়ির দামে হাটে বাজারে
অপাংক্তেয় কিন্তু চাহিদার
সংখ্যাগুলি তিরতির করে
পিঁপড়ের মতন সারি করে ঠিক পার হয়ে যায়।
পড়ন্ত বেলা ঠিকো গনগনে রৌদ্রস্নান
রকমারি উদরপুর্তির আয়োজন।
চলছি নেই যতি সদ্য আড়ম্বর।
ফ্ল্যাশব্যাক মৃদু গুঞ্জনে রেডিও F.M
আর সঙ্গপানে অলেখ্য মাধুরী।
তার নিঃশ্বাসে শুঁকেছি আমার ঘ্রান।
হিড়বিড়িয়ে দুশ্চিন্তার অজানা পাড়ভাঙা
নদীসৈকতের অনাবিল স্রোতের গহ্বরে
আমার নিশ্চিত রাত্রির সহবাস।
No comments:
Post a Comment