আলোকীয় লাজবন্তী
প্রদীপ কুমার দে
আকাশের রঙ আজ লাল!
গোধূলির বেলা।
তাই কি এই লাল রঙের মাখামাখি?
তবে শীতল বাতাস বয়ে চলেছে -একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে।
প্রকৃতিতে এক মধুর সংগীতের মূর্ছনা সুর তাল লয়ের মিলিত প্রয়াসে আবদ্ধ।
দুটি নক্ষত্র জেগে ওঠে।
খসে পড়তে থাকে ভূমিতে।
ভূমি ওদের স্বাগত জানায়।
নেমে আসে লাল পরী। লাল রঙ মাখানো তার শরীর। উজ্জ্বল বহির্লোক। নিরাভরণ দেহে এক জ্যোতির্ময়ী রূপসী! চোখ ধাঁধানো ঝিলিক -ঝিলিমিলি ডানাযুক্ত! তবুও যেন ডানাকাটা পরী!
শুভ্রবর্ণ অশ্বারোহী রাজকুমার লাগাম টানতে ব্যস্তবাগীশ! অশ্বযুগল উচ্চস্বরে লাফিয়ে ওঠে।
মোহগ্রস্থ রাজকুমার অপলক দৃষ্টি ঘুরপাক খায় পরীর শরীর জুড়ে। নীলাকাশের নীলাম্বরী যে আজ লালচে লাজবন্তী, উন্মোচিত দেহেও।
সরু কটিদেশ, উন্নত নিতম্বের ভারী স্তনদ্বয় আর মোটা ঠোঁটের অধিকারিণী, সুগঠিত এবং সুগভীর নাভিমূলের সুগন্ধি রাজকুমারের কামনায় আগুন জ্বালিয়ে দেয়। কামরূপ প্রেমের উদ্বেগে সে আত্মহারা উন্মাদপ্রায়!
পরী ডানা মেলে। বাহুবন্ধনীতে জড়িয়ে পড়ে অশ্বিনীকুমারের। আনন্দের অলিন্দে মাতোয়ারা হয়। মিলনের চুম্বন দীর্ঘায়িত হয়!
রাজকুমারের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। কটিদেশ থেকে নির্গত তরবারি উন্মোচিত হয়। রাজকুমার উন্মাদের ন্যায় আঘাতের নিমিত্তে এগিয়ে যায়!
ততোক্ষণে দুজনার প্রেম মিলিত কামনার উগ্রতায় এক আলোকীয় দুনিয়ায় পৌঁছে যায় যেথায় হিংস্রতা হার মানে।
আর তখনই এক উজ্জ্বল আলোকপাত ঘটে। পতিত দুই নক্ষত্ররাজি আলোকবর্ষে পুনরায় মিলিয়ে যায়! রয়ে যায় আলোকীয় অনুভূতি!
No comments:
Post a Comment