তুমিই সেই
গৌতম সমাজদার
তুমি আমার দীর্ঘ কবিতা
বেঁচে থাকার মতোই দীর্ঘ সুন্দর।
তুমি আমার খুব ভোরের শিশির ভেজা পথ,
সকালের তৃপ্তিকর উপোস ভঙ্গ ,
গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরের আলোচনা ।
সতর্ক থেকে তর্কের মালা গাঁথা ,
মারিজুয়ানা থেকে মরিচঝাঁপি!
সমস্ত অস্বচ্ছতা থেকে স্বচ্ছ ভারত।
কখনো বা রূপান্তরকামী দের বক্তব্য,
গোধূলির ভাঁজ ফেলা কপালে
ধর্ষণ বিরোধী মিছিলে , পাশাপাশি দুজনায়!
ঘাসে ভেজা চুড়িদার প্রতিবাদে মুখর
কখনো বা হৃৎপিণ্ড উপরে ফেলা মুষ্ঠিবদ্ধ হাতের শাসানি!
কখনো কাশফুলের আগমনে
উৎসবমুখর তুমি, প্রসন্নতা আনে!
কখনো বা আকাশে ডানামেলা
পাখীর দিকে তাকিয়ে থেকে হারিয়ে যাও!
বিষন্ন লগ্নে আমার হাতে তোমার হাত।
বার্তা দাও, জাগো, ওঠো কিছু একটা করো-
এই পচা গলা সমাজ টার হৃৎপিণ্ড উপরাও!
বেঁচে থাকা কে আরো সুন্দর করো
দুচোখে তোমার জলের ধারা
আমার এই কবিতার শুরু আছে
কিন্তু অন্তহীনতার খোঁজে, আজ ও।
No comments:
Post a Comment