নবান্ন
টিটু সরকার
তোমায় হেমন্তের মেঘে ভেজাবো বলে; প্রখর তাপে নিংড়ে দিয়েছি জলীয় বাষ্প।
পেজা তুলোর মতো মেঘকে, করতে চেয়েছি ঘন কালো;
তোমায় একটু ভেজাবো বলে।
ধানের রোয়া লাগানোর সময়, যেভাবে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়েছিল; সে কি আনন্দ আমার! খুব ভিজেছিলাম আমি।
এক নিমেষে শেষ করে দিয়েছি সব কাজ; পরম আনন্দে।
তোমায় চিৎকার করে বলেছিলাম, চলো দুজনে একসাথে ভিজবো।
তুমি " যা! পরে ভিজবো " বলে ছুট্টে পালিয়ে গিয়েছিলে। কতদিন বৃষ্টি হলো, বন্যা হলো, তুমি ভিজলে না। ধান নষ্ট হলো।
তারপর প্রখর রোদ।
সেই থেকে আমি আকাশ দেখছি;
আর মেঘ নেই, ধান নেই।
তোমায় হেমন্তের মেঘে ভেজাবো বলে; প্রখর তাপে নিংড়ে দিয়েছি জলীয় বাষ্প।
কাঠ ফাটা রোদ্দুরে, গায়ের ঘাম দান করেছি, হেমন্তের মেঘকে।
সেই যে বড়ো বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের কাজে গিয়েছিলাম; সেখানে সূর্যকে শুষে নিতে দিয়েছি কতো জল। জল খাইনি আমি একটুও।
তোমায় হেমন্তের মেঘে ভেজাবো বলে।
No comments:
Post a Comment