আমার চোখে আজকের নারী
সীমা সাহা
পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের যুগের পর যুগ অসহ অত্যাচার সহ্য করেই চলছে ।রামায়ন মহাভারতের যুগেও নারীদের উপর অবিচার অত্যাচারের বিষয় জানা যায়।সভ্যতার শুরুতে নারী ছিল অবহেলিত ।আজ যুগের অনেক উন্নতি হয়েছে ।জাতিগত উন্নতির জন্য নারীরা অগ্রনী ভুমিকা পালন করে থাকে।
মেয়েরা আর ছেলেরা বাস করেন একই সমাজের ঘনিষ্ট অংশ হয়ে ।পাশাপাশি দাড়ালেই দুর্দশা অনিশ্চয়তার আর বিপদের লড়াইয়ের সাথী। মেয়েদের নিজেদের আন্দোলন থাকে সেগুলো একেবারে মেয়েদের নিজেদের সমস্যার বিরুদ্ধে ।কিন্তু সেখানেও প্রায়ই দেখা মেয়েদের সমস্যা বলে চিহ্নিত ।অনেকগুলো বিষয় আসলে সমাজের বৃহত্তর সমস্যা ।মেয়েদের প্রতি সহানুভূতি শূন্য দৃষ্টিভঙ্গি অসহিষ্ণুতা মেয়েদের সম্পর্কে আগ্রাসী মনোভাব ।এসব থেকেই মেয়েরা পরিবারের ভেতরে ও বাইরে নানাভাবে লাঞ্ছিত হয়।বহুদশক আগেও মেয়েদের শশুরবাড়িতে অনেক লাঞ্ছনা গঞ্জনা সইতে হতো।বিভূতিভূষণের গল্পে "পুঁইমাচা" রবীন্দ্রনাথের নিরুপমা চলে গেছেন পিতার না মেটাতে পারা পণের দায় মাথায় নিয়ে ।বর্তমান সমাজেও মেয়েদের পণের জন্য শশুরবাড়িতে প্রাণ বলি দিতে হয় ।
বিশ্বজুড়ে মেয়েদের মাথায় উঠেছে অনেক উজ্জ্বল শিরোপা ।পুরুষের সাথে কাঁধ মিলিয়ে অনেক দুঃসাহসিক কাজ করে থাকে মেয়েরা ।আবার নির্ভয়া ,মনীষা বাল্মিকী, কামদুনির মতো নৃশংস হত্যা কান্ড ঘটেই চলেছে ।
প়ৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় নারীরা বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত হচ্ছে । আমাদের দেশেও "মিটু" আন্দোলন করতে দেখা গেছে ।মহিলা শ্রমিকরা আজও বিভিন্ন কলকারখানা গুলিতে পুরষের সমবেতনের জন্য লড়াই করে যেতে হচ্ছে । যে লড়াইয়ের জন্য ১৮৫৭সালে নারীদের প্রাণ দিতে হয়েছে, সেটা তো আমরা সবাই জানি।পিতৃতন্ত্র সমাজে পিতৃতন্ত্রের হাতই শক্ত করে মেয়েদের আন্দোলনকে দুর্বল করে দেয়।
No comments:
Post a Comment