পাশের বাড়ির পাঁচ কন্যার পাঁচ কাহন
বিনয় বর্মন
১৯৭৫ সালের রাষ্ট্রসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবসের লিঙ্গ সাম্য ( gender equality) প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য নিয়েই এর সূত্রপাত l ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে আজও যা অধরা l পুরুষতন্ত্রের অচলায়তন , রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নারী বিদ্বেষী মৌলবাদের উত্থান , গার্হস্থ্য হিংসা , বেকারত্ব -- সব মিলিয়ে লিঙ্গ সাম্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনেক বাধা l তবে এর মধ্যেও ভারতের মহিলাদের উত্থান চমকপ্রদ l সুযোগ পেলে ব্যবসা থেকে বিজ্ঞান সর্বত্র নিজেদের প্রমাণ করেছেন তারা। মহিলাদের জন্য আলাদা করে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই। তাদের প্রাপ্য অধিকারটুকু দিলেই gender equality আনা সম্ভব l
এরকম প্রেক্ষাপটেও আমাদের আশেপাশেই অনেক নারী, ' নারী-পুরুষ বাইনারি ' ভেঙে ছুঁয়ে চলেছেন সাফল্যের শিখর প্রতিনিয়ত l সাফল্য বলতে যে যার ক্ষেত্রে , পড়াশোনা থেকে ব্যবসা, নিজের স্থান করে নিয়েছেন l আজ International women's Day তে আমাদের girl next door পাঁচজন নারীর ভাবনার শরিক হলাম l শুনলাম কি ভাবছেন তারা International women's day তে :
প্রশ্ন করেছিলাম :
১/ সমাজে যে এখনও লিঙ্গ বৈষম্য (gender inequality) আছে বোধ করেন কি ?
২/ শুধু মেয়ে বলেই কি বিশেষ সুবিধা বা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় ?
৩/ Behind every successful man there is a woman এর মত behind every successful woman there is a man ... কি সত্যি বলে মনে করেন ? আপনার ক্ষেত্রে এরকম কেউ আছেন কি ?
৪/ আপনার নিজের ক্ষেত্রে সাফল্যের চাবিকাঠি কি ?
৫/ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সমাজের প্রতি কি বার্তা দেবেন ?
একে একে শুনে নিই তারা কি ভাবছেন l
প্রত্যুষা মহন্ত l ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে দশম স্থান পেয়েছে l আলিপুরদুয়ার ব্লক ২ এর প্রত্যন্ত যশোডাঙ্গা গ্রামে থেকেও নিরব সাধনায় অর্জন করেছে সাফল্যের শিখর l তার ভাবনায় :
১) নারী পুরুষ বৈষম্যের কোনও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমার নেই। কিন্ত মনে হয় না যে কোনও বৈষম্য নেই। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আচারে ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে। তাছাড়া ছোট থেকে বড় হওয়ার সময় ছেলে এবং মেয়েদের বার বার বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে তুমি ছেলে কিংবা তুমি মেয়ে। আরেকটা কথা মেয়েরা চাকরি করছে বা অন্য উপায়ে উপার্জনক্ষম হলেও পুরোপুরি স্বাধীন নয়। একটা মেয়ে তার নিজের চেয়ে উচ্চপদস্থ ছেলেকে বিয়ে করবে এটাই দস্তুর। পণপ্রথাও এখনও বহাল তবিয়তে আছে, তবে রূপ খানিকটা বদলেছে।
২) সুবিধা যেমন পাইনি তেমনি অসুবিধার সম্মুখীনও হই নি। কখনও কখনও শারীরিকভাবে অসুবিধা হলেও তার জন্য সমাজ বা পুরুষরা কখনও দায়ী নয়। তবে আমি মেয়ে হওয়ার জন্য খুব খুশি, ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ ।
৩) Particular ওই দুটো statement a বিশ্বাস করি না।
পুরুষ এবং নারী পরস্পরের পরিপূরক l
৪) পরিশ্রম বিশ্বাস আর consistency .
৫) শুধু একটাই কথা- নারী এবং পুরুষ ঈশ্বরের অনন্য সৃষ্টি। পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। নারী পুরুষ সমান, প্রকৃতিতে দুজনের ভূমিকা নির্দিষ্ট ও স্বতন্ত্র। নারী পুরুষ নয়,বরং রক্তমাংসের মানুষ হিসেবে মানুষকে সম্মান করুন। আর "নারীরা পুরুষদের চেয়ে ছোট"- এই ধারণাটা ঝেড়ে ফেলুন। তাহলে মনে হয়না আলাদা করে নারী দিবস পালন করার প্রয়োজন থাকবে।
আরেক কন্যা আলিপুরদুয়ার ভোলারডাবরির নীলাঞ্জনা রায় l ২০১৭ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে, ভয়েস অফ ইন্ডিয়া গানের প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে সঙ্গীতপ্রেমীদের নজরে পড়েন l এরপর ২০২২ সালে জি টিভির সারেগামাপায় চ্যাম্পিয়ন হন l পাশাপাশি স্টার মার্কস নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে এখন সংগীত নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
বিনয়ী আর লাজুক মেয়েটির সাফল্যে মাথা ঘুরে যায়নি l এখনো নিজেকে ছাত্রী ভাবতেই ভালোবাসে l নারী দিবসে তার ভাবনা এরকম :
১) আমি মনে করি লিঙ্গ বৈষম্যের একটা ব্যাপার থাকবেই l সমাজে দুটো লিঙ্গ আছে বলেই পৃথিবীতে নতুন প্রানের জন্ম হয় l তাই নারী-পুরুষ উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ তাদের মত করে l কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে , যেমন নেতৃত্ব সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ছেলেদের আগ্রহ বেশি l ম্যানেজমেন্ট বা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মেয়েরা ...
২) না l আমি দেখি প্রতিভা আর পরিশ্রম অনুযায়ী যে কোন ব্যক্তি জীবনে গুরুত্বহীন বা গুরুত্বপূর্ণ হয়।
৩) দেখুন অবশ্যই প্রত্যেকের সাফল্যের পেছনে তার পরিবার তার প্রিয়জনদের ভূমিকা থাকে। সে তো পুরুষ বা নারী যে কেউ হতে পারে l আপনজনদের সমর্থন ছাড়া কেউ সফল হতে পারেনা l যেমন আমার সাথে সব সময় আমার বাবা-মা আছে l আমার জীবনে আমার বাবার অনেক ভূমিকা l যার জন্য আমি এখনো চেষ্টা করে যেতে পারছি l
৪) আমার গুরুজিরা সব সময় বলেন , নিরলস পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায় , তার সঙ্গে ১০০ শতাংশ ফোকাস আর শুদ্ধতা l
৫) আমি মনে করি আন্তর্জাতিক নারী দিবসের কোন প্রয়োজনই নেই l কারণ বাস্তবিক পক্ষে আমরা নারীরা নিজের মহিমায় স্বতন্ত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ। সেটা ভালো করে আন্তরিকভাবে ভাবলে সবাই বুঝতে পারবে l বুঝতে পারবে যে , এই সমাজে নারী-পুরুষ তাদের নিজস্ব মহিমায় সুপ্রতিষ্ঠিত l আমার মনে হয় এটা অনুভব করলে নারী দিবসের আর কোন দরকারই নেই।
পেশায় সরকারি আধিকারিক কনীনিকা চক্রবর্তী l আলিপুরদুয়ার নিউটাউনের মেয়ে l স্কুল শিক্ষিকা হিসাবে কর্মজীবনের শুরু। ২০১০ সালে প্রথমবার WBCS অফিসার হিসেবে যোগদান I ২০১১ সালে WBCS , 'A' গ্রুপে তালিকাভুক্ত l বর্তমানে বাণিজ্যকর দপ্তরের ডেপুটি কমিশনার হিসেবে কোচবিহারে কর্মরত l
নারী দিবস নিয়ে তার বক্তব্য বেশ স্পষ্ট :
১) সমাজ আগের থেকে অনেক এগোলেও কিংবা বৈষম্য অবশ্যই আছে l প্রচ্ছন্নভাবে বা প্রকট ভাবে চিন্তাধারার পরতে পরতে মিশে আছে। মুখে সাম্যের কথা বললেও মনে অনেকেই অন্য ধারণা পোষণ করেন l বাইরে বা কর্মক্ষেত্রে যতই সাফল্যের পরিচয় দিক বাড়িতে মেয়েরা মাথা কিছুটা নিচু করেই রাখবে l এটাই কাম্য l না হলেই নারীবাদীর তকমা জোটে l সবাই এক নয় l তবে যৌথ পরিবার ভেঙে গেলও যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষেরা মেয়েদের দমিয়ে রাখার ঐতিহ্যকেই মনে মনে বহন করে নিয়ে চলে l এটা আমার মনে হয়।
২) মেয়ে বলে বিশেষ সুবিধা কোন দিন পাইনি l চাইওনি কোনদিন l কারণ কোন কিছুতে মেয়েদের মধ্যে প্রথম এই কথাটাই আমার ঘোরতর আপত্তি আছে l নিজেকে সবার মধ্যেই বিচার করেছি l তবু এত পথ পেরিয়ে আসার পরেও যখন মেয়েরা মা হন , তাদের সন্তানের খেয়াল রাখতে হয় , সাংসারিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। তারপরেও কখনও কর্মক্ষেত্রে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার পরেও সন্তানের অসুস্থতায় নিজের অর্জিত ছুটি চাইতে গিয়েও যখন অপমানিত হতে হয় , অসুবিধা হয় বৈকি l ছেলেরা যখন কর্মক্ষেত্রে যান সংসারের দায়িত্ব সামলানোর জন্য আরেকজন থাকেন l কিন্তু মেয়েরা যতই উঁচু পদে থাক , সন্তান অসুস্থতায় মাকেই বেশি চায় l
৩) দুদিকের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করতে করতেই মেয়েরা হাঁপিয়ে ওঠে l তবে সংসারে উপযুক্ত জুড়িদার থাকলে মেয়েদের পক্ষে সেটা কিছুটা সহজ হয়ে ওঠে l
৪) আমার নিজের সাফল্যের পিছনে প্রথমেই বলব আমার মায়ের কথা l যিনি ছাড়া আমি কখনোই এই জায়গায় আসতে পারতাম না l মা বিভিন্ন অসুবিধের জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন l আমার ছোট থেকেই মনে হতো , চাকরি আমি পেলেই ছাড়বো না l তারপর স্নাতকোত্তর পড়তে পড়তে বাবা মারা গেলেন l কিছুটা সংসারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্যেও লড়াই l তারপর নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য কিছুটা জেদ l লেগে থাকা l এসব তো আছেই l
৫) আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এটাই বলতে চাই আমাদেরকে নারী নয় মানুষ হিসেবে ভাবুন l শুধু এটুকুইl দেবীও নয় দাসী ও নয় l শুধু কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে দিন l পরিশেষে বলি এজন্য শিশু পুত্রের জননীর দায়িত্বও অপরিসীম l কারণ এই শিশুই ভবিষ্যতের নাগরিক l কোন একটি কন্যাকে সমানভাবে দেখার চোখ তৈরি করে দেওয়ার কিছুটা দায়িত্ব মায়েরই l যাতে সমাজের বৈষম্যের মধ্যেও তারা মেয়েদের উপযুক্ত সম্মান দিতে পারে l
আলিপুরদুয়ারের বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী অঙ্কনা মালাকার l প্রায় এক যুগ ধরে তার " কথানীড় আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রে " গড়ে তুলছেন বাচিক শিল্পীদের l নিয়মিত বাচিক শিল্প চর্চার পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের শিল্প-সংস্কৃতির আঙিনায় তার নিত্য বিচরণ l
নারী দিবস উপলক্ষে তার জানালেন সমাজ নিয়ে তার ভাবনার কথা :
১) আমাদের রাজ্যে অতটা না হলেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষ করে হিন্দী বলয়ে আজও লিঙ্গ বৈষম্য প্রবলভাবে বিদ্যমান। গুজরাটের বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি এবং বিজয়মাল্যে বরণ করে নেওয়ার ঘটনা থেকেই এটা প্রমাণিত আমাদের দেশে লিঙ্গ বৈষম্য কত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত এছাড়াও শ্রমের বাজারে নারী-পুরুষ শ্রমিকের পারিশ্রমিকের বৈষম্য ও একটা নির্মম বাস্তব l
২) সমাজে যেসব পরিবারে নারীদের মধ্যে শিক্ষা , সংস্কৃতি , বৈজ্ঞানিক , মনন , ধর্মমোহমুক্ত চেতনার বিকাশ ঘটেছে , সেসব পরিবারের নারীরা অবশ্যই কিছু সুবিধা ভোগ করে থাকেন। প্রতিদিনের চলার পথে তাদের খুব বেশি বাধা বিঘ্নের সম্মুখীন হতে হয় না l যদিও প্রতি পদক্ষেপে ওদের সতর্ক থাকতে হয় l
অপরদিকে যেসব পরিবারে নারীরা এখনো ধর্মান্ধতা , অলৌকিকতা , অন্ধ বিশ্বাস ইত্যাদিতে , মনুবাদী দর্শনে বিশ্বাসী , তাদের প্রতিপদে হোঁচট খেতে হয় , এবং অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়।
৩) এই প্রশ্নের উত্তরে কাজী নজরুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে বলবো বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চিরকল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর .... l
এর বাইরে আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না l
৪) নিজেকে এখনো সফল বলে মনে করি না l আমি মূলত একজন গৃহবধূ l কিছু সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সঙ্গে অন্যতম শখ হিসেবে বেছে নিয়েছি আবৃত্তি শিল্পকে l আবৃত্তি আমার একটা প্যাশন। আমার নিজস্ব আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র রয়েছে l কথানীড় আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র l তবে নির্দ্বিধায় একটা কথা বলতে পারি l আমার পরিবার এবং আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের ছেলেমেয়েদের নিয়ে আরও বৃহত্তর এক পরিবারের সঙ্গে আমার দিনগুলো খুব সুখে ও আনন্দে কেটে যাচ্ছে। সে দিক থেকে বিচার করলে আমি অবশ্যই একজন সফল নারী l এককথায় আমার সাফল্যের চাবিকাঠি আমার আবৃত্তি চর্চা।
৫) সব মেয়েরা যদি এরকম একটা দিনে নিজেরা একত্রিত হতে পারে তাহলে তাদের শক্তি বাড়ে মহিলারা পৃথিবীর অর্ধ জনশক্তি সমাজের অর্ধেকভাগ আজও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তাদের নানাভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে মেরে ফেলা হচ্ছে ধর্ষণ করা হচ্ছে সু চতুর ভাবে তাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে রাখা হয়েছে এর প্রতিবিধানের জন্য ৮ ই মার্চ দিনটিকে আমাদের আত্মসমীক্ষার আত্ম সমালোচনার আত্ম শপথের এবং প্রতিবাদের দিন হিসাবে গ্রহণ করতে হবে কবি জীবনানন্দের ভাষায় বুঝিয়ে দিতে হবে " মানবকে নয় নারী শুধু তোমাকে ভালোবেসে / বুঝেছি নিখিল বিশ্ব কিরকম মধুর হতে পারে l "
হ্যামিলটনগঞ্জের মেয়ে দিয়া দত্ত l স্নাতক হওয়ার পরে চাকরির ভরসায় না থেকে নিজেই গড়ে তুলেছেন নিজের ব্যবসা। নিজস্ব বস্ত্র বিপণি 'পোশাকি ' যেখানে অনলাইন এবং অফলাইন দুভাবেই কেনাকাটা করা যায় l "পোশাকি"র দিয়া বলতে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তাকে চেনেন l ফেসবুকে তার পেজ রয়েছে Posaki নামে l নিজের স্বনির্ভর হওয়ার পাশাপাশি আরো প্রায় ১৫-১৬ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সে আজ একজন সফল entrepreneur .
কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী সে l নারী দিবসে তার উপলব্ধি :
১) হ্যাঁ নিশ্চয়ই l এই শিক্ষিত সমাজ এখনও নারী ও পুরুষের মধ্যে ভেদাভেদ করে থাকে।
২) হ্যাঁ বহু ক্ষেত্রে.
৩) এই বিষয়টা সবার ক্ষেত্রে সমান নয়.....হ্যাঁ আমি খুব ভাগ্যবতী যে আমার সাথে আমার বাবা রয়েছে
৪) ইচ্ছা+ পরিশ্রম+ধৈর্য=সাফল্য
৫) এখন সেই নারীদের সম্মান করার সময় এসে গেছে যারা সমাজের উন্নতির জন্য সংগ্রাম করছেন , সামাজিক বাধা নিষেধ ভেঙে দিয়েছেন, এবং সমাজের মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন প্রতিটা সমস্যার মুখোমুখি মোকাবিলা করতে l
No comments:
Post a Comment