আজকের নারী--
সম্রাজ্ঞী রায়
সৃষ্টির ভরকেন্দ্রে থাকেন নারী। জননী রূপে তিনি পরিচিতি পান নবজাতকের মাধ্যমে। তাই নারীর প্রধান পরিচয় মাতৃত্বেই। নারীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে সংসার; পরিবারের চালিকাশক্তিও হন তিনি। সন্তান তাঁর কাঋ থেকে প্রাথমিক শিক্ষাও পায়।
বতর্মানে ভারতের শাসন ব্যবস্থার সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠান করছেন একজন নারীই। সমান্তরাল ভাবে প্রশাসনিক ক্ষেত্র ছাড়াও অন্যান্য দায়িত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বও সামলান বেশ কিছু ভারতীয় নারী। আধুনিক যুগের নারীদের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সারদা দেবী, ভগিনী নিবেদিতা, মাদার টেরিজা প্রমুখ।
তবে নবজাগরণের আগে পযর্ন্ত নারী স্বাধীনতা ব্যপক ভাবে ছিল না। মধ্য যুগে নারীরা থাকতেন অন্তরালে; পর্দার আড়ালে। সতীদাহের মতো বর্বরতার বলি হয়েছেন বহু অসহায় নারী। রাজা রামমোহন রায়ের হাত ধরে নারীরা বাঁচার অধিকার পান। পরবর্তীতে বিদ্যাসাগরের সংগ্রামের ফল হিসেবে বিধবা বিবাহের মতো প্রগতি সম্ভবপর হয়েছিল। তিনিই প্রথম নারী শিক্ষার প্রচলন করেন।
বতর্মানে নারীদের কাছে পৌঁছেছে শিক্ষার আলো; তাঁরা পেয়েছেন গণতান্ত্রিক নাগরিক হিসাবে ভোটাধিকার ; আছে বাক্ স্বাধীনতা, এসেছে চাকরি আর ব্যবসার মাধ্যমে স্বনির্ভরতা ও আর্থিক স্বাধীনতাও।
তবে ফুলে যেমন কীট থাকে তেমনই স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে কিছু নারী স্বেচ্ছাচারি, উশৃঙ্খল ও কর্তব্য কর্ম বিমুখ হয়ে উঠেছেন। তবুও নারী প্রগতি অব্যহত থাকুক, সুস্থ সমাজের জন্যে এটিই বিশেষভাবে কাম্য।
No comments:
Post a Comment