Sunday, June 2, 2024


 

ব্যক্তিগত গদ্য


বাবার জন্মদিনে  

সুতপা রায়


বাবা শব্দটা মনে হয় সব মেয়েদের কাছেই যেন একটু বিশেষ অর্থ বয়ে আনে। আমারও জ্ঞান হওয়া থেকেই বাবার শান্ত,  সৌম্য, বিশেষ করে ধৈর্যের যে রূপ দেখেছি তাতে মুগ্ধ হয়েছি আর কেবলই  ভেবেছি আমিও এমনই হব। কিন্তু মনে হয় কিছুই হতে পারিনি। তবে চেষ্টা করি বাবা আদর্শ অনুসরণ করতে।  

ছোটোবেলা বাবার হাত ধরে বাজারে যাওয়া, নতুন ক্লাসে উঠলেই বইয়ে মলাট দেওয়া, খাতা সেলাই করে তৈরী করা সবই অতি যত্ন করে  দিতেন।  সবচেয়ে অবাক হতাম বাবার ধুতি পরা দেখে। রোজ সকাল দশটায় সাদা ধবধবে ধুতি পাঞ্জাবি পরে অফিস যাওয়া দেখে মনে হতো  যেন  কোনো বিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন।    

বেড়ানো, ছবি তোলা এই দুটো নেশা একটু হলেও আমি বাবার থেকে পেয়েছি। বাবার দুটো প্রিয় জিনিস ( ঘড়ি ও ক্যামেরা) আজও অতি সযত্নে আগলে রেখেছি।  আরও অনেক কিছু পাওয়া বাকী রয়ে গেলো। তাঁর মতো সৎ ও পরোপকারী মানুষ শেষ সময় এত কষ্ট কেন পেলে ভেবে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে যায়।  ভগবানে কী বিচার তা আমাদের মতো অতি নগণ্য মানুষের বোধের অতীত। 

প্রতিদিন তোমার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে তোমার আশীর্বাদ প্রার্থনা করি। যেখানেই থাকো আমাদের মাথায় তোমার আশীর্বাদী  হাত রেখো।  আজ ২২শে বৈশাখ তোমার জন্মদিনে আমার শ্রদ্ধার্ঘ।

No comments:

Post a Comment