মহামতি চানক্য
চন্দন কুমার দাস
ভারতের
ইতিহাসে ক্ষুরধার বুদ্ধি ও নীতি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যাক্তি ছিলেন মহামতি
চানক্য। তাঁর হাত ধরেই মধ্য যুগের অর্থনীতি গভীর সংকট অতিক্রম করেছে।
তিনি উত্তর ভারতের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।গুন দিলেও ভগবান
তাকে রুপ দেন নি। তাঁর কূটনৈতিক পারদর্শিতা যেকোন পন্ডিত ব্যাক্তির কাছে
ছিল হিংসার কারন। পিতা চনকের নাম অনুসারে তাঁর নাম হয়েছিল চানক্য। তবে
পিতৃপ্রদত্ত নাম ছিল বিষ্ণু গুপ্ত। তাঁর অসামান্য কূটনৈতিক জ্ঞান থাকায়
তাঁর নাম লোকমুখে হয়েছিল কৌটিল্য। তখন উত্তর ভারতের উল্লেখযোগ্য
শিক্ষাকেন্দ্র ছিল তক্ষশীলা বিশ্ব বিদ্যালয়। এই শিক্ষা কেন্দ্র থেকে তিনি
শিক্ষা পর্ব শেষ করেন। এখানে তিনি গুরুর পদলাভ করেছিলেন। তাঁর অর্থনৈতিক
কলাকৌশল,চিন্তা চেতনা রাজনৈতিক ভাবনা ভারতের রাজনীতিকে ভীষণ ভাবে আন্দোলিত
করেছিল। তাই তাঁর অর্থনৈতিক কলাকৌশল কে সামনে রেখে এগিয়ে চলা আমাদের চলার
পথকে সহজতর করবে। এই নীতি সমূহ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ অর্থশাস্ত্রে
শ্লোককারে গ্রথিত রয়েছে।
এখানে সেরকম কিছু শ্লোক উল্লেখ করা হল।
পৃথিবীর রত্ন কী কী?
শ্লোক
১.পৃথিব্যাং স্ত্রীনি রত্নানি অন্নমাপঃ সুভাষিণী। / মুঢ়ৈ পাষাণ খন্ডেষু
রত্ন স্ংজ্ঞা বিধায়তে । " অর্থাৎ অন্ন পৃথিবীর একটি স্বরূপ। কারণ খাদ্য
দ্বারা প্রানী জীবন রক্ষা করে, ক্ষুধা নিবৃত্তি করে। এই রকম জল পৃথিবীর
একটি রত্ন। কারণ জল ছাড়া কোনো প্রাণী বাঁচে না। সুভাষ বা মিষ্ট কথা, সদ
আচরণ মানুষের জীবনের একটি রত্ন। কারণ সদ ব্যবহারে মানুষ শোক ও ভুলে যায়।
কিন্তু পাথর খন্ডকে রত্ন বলা যায় না।
আজ অতিমারির দিনে বলতে হয় জল সংরক্ষণ সবচেয়ে জরুরি। নয়তো সেদিন আর বেশি
বাকি নেই যেদিন অতিমারির চেয়েও ভয়ঙ্কর দিন এসে উপস্থিত হবে।
শ্লোক:-২ - " ত্যজদ্বর্ম দয়াহীনং বিদ্যাহীনং গুরুং ত্যজেৎ।
ত্যজেৎ ক্রোধমুখী র্ভার্য্যা নি:স্নেহবান্দবাংত্যজেৎ। "
অর্থাৎ দয়াহীন ধর্ম , বিদ্যাহীন গুরু, ক্রোধীস্বভাব পত্নী এবং
স্নেহহীন ভাই, বন্ধু ত্যাগ করা উচিত। ধর্ম কথার অর্থ হল ধারণ করা। সুশৃঙ্খল
জীবনে ধর্ম হওয়া উচিত মানুষের হিতার্থে। যা কখোনই হিংসাস্রয়ী হবে না বরং
দয়া পরবশ হবে।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার :-
১.বৃহৎ চানক্য শ্লোক (মন্টু চক্রবর্তী)
২.আনন্দ বাজার পএিকা। (২.০৭.২০১৬)
৩.ইতিহাস বই থেকে সংগৃহীত কিছু কিছু সুএ।
No comments:
Post a Comment