আমি পৃথিবীর মেয়ে
গৌতমী ভট্টাচার্য
আমি পৃথিবীর মেয়ে।
জন্মলগ্নে কে যেন ডাকল আমায়
মহালয়া নামে।
আমার ঠোঁটে ভেসে উঠেছিল অনাবিল হাসি।
মাটিকে স্পর্শ করে জেনেছি এ আমার মা।
উষ্ণ আলিঙ্গনে অনুভব করলেম মায়ের স্নেহ।
অন্ধকারের বুক চিরে সকালের আলো
চুম্বন লেপে দিল আমার সারাশরীরে।
বেতারে ভেসে আসছে সুরেলা কণ্ঠে --
য়া দেবী সর্বভূতেষু ........
মাটির বুকে আমি থাকলেম
নির্বাক শ্রোতা হয়ে।
তারপর একদিন
শৈশব কাটিয়ে পা রাখলেম
কৈশোরের সবুজ ঘাসে।
দু'চোখ ভরে উপভোগ করি সবুজের সমারোহ।
ছোট ছোট ঘাস ফুলগুলি লুটোপুটি খায়
আমার পায়ের পাতায়।
ওদের কোমল স্পর্শে
অনুভব করি এক অদ্ভুত শিহরণ।
নতুন এক আনন্দে জেগে ওঠে আমার সারা শরীর মন।
যৌবনের জোয়ার এল আমার শরীর জুড়ে
কুঁড়ি থেকে প্রস্ফুটিত ফুল
বাতাসকে সুবাসিত ক'রে
শুনতে চায় ভ্রমরের গুঞ্জন।
চারদিকে আবীর রাঙানো মেঘে
আমার পঞ্চ ইন্দ্রিয় উপলব্ধি করে
জীবনের এক পরম আস্বাদ।
সপ্তসুরে মাঝি নাও ভাসিয়ে
নিয়ে যায় মাঝ দরিয়ায়
দূর আকাশে চন্দ্র-সূর্যের আলো-ছায়ার খেলা --
জীবনে আনে নিত্য নতুন আশা।
স্বপ্ন দেখি দু'চোখ ভরে চেয়ে
আমি, এই পৃথিবীর মেয়ে।
No comments:
Post a Comment