ঘুণ ধরছে প্রতিবাদে
রাণা চট্টোপাধ্যায়
মনে আছে তো ...!
কি কথা দিয়েছিলাম আমরা !
এই তো প্রায় প্রতিনিয়ত মহান বিপ্লবীদের
শ্রদ্ধা জানাতে কিংবা দেশের স্বাধীনতা দিবস,
প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকওয়াজে গর্বিত বক্ষে
দৃঢ়তার সঙ্গে গর্জে উঠে শপথ করে বলি,
যতই বাধার পাহাড় পেরুনোর পরিস্থিতি আসুক
পিছুপা হব না আমরা ভারত মাতার সন্তান দল।
একসাথে গর্জে উঠবো অন্যায়ের প্রতিবাদে,
ঝাঁপিয়ে রক্ষা করবো মা,বোনেদের সম্ভ্রম
অথচ দেখো প্রতিনিয়ত চারদিকে অসহায়তা!
প্রকাশ্যে হুমকি ,চোখ রাঙিয়ে লুঠতরাজ!
গৃহস্থের কচি মেয়েটা হোক,মধ্যবয়সী
তোমার,আমার বাড়ির বউ, কচি শিশু কন্যা
এমনকি বৃদ্ধা মানুষটিও নিরাপদ নয়!
ভাবতে অবাক লাগে,চোখের জল কখন যে
রক্ত হয়ে ওঠে প্রতিবাদে অথচ ভয়ে
নিজেদের লুকিয়ে রাখি,এই আমরা
সাহসিকতার পরিচয় বহন করা নাগরিক!
অথচ দেখো সমাজকে বিচার পাইয়ে দিতে,
স্বপ্ন দেখা আইনের ছাত্রীটি ও অসুস্থ সমাজকে
সুস্থ রাখবো মন্ত্রে উজ্জীবিত ডাক্তার কন্যাটি,
নিজেই কেমন দৃষ্টান্ত রেখে যাওয়া শিকার!
এখনো আমরা খুঁটে খুঁটে খাচ্ছি বীর গাঁথা,
মোমবাতি মিছিলে ঝড় তুলে দায় সারছি,
দেখছি রাষ্ট্র কারিগড়দের ফটো সেশন।
সব অন্যায় দেখেও চোখ আড়াল করে বলছি,
কই কিছু হয় নি তো,ঘটে নি কিছু,
হেঁকে ডেকে বলছি ওরে তোরা জয়ধ্বনি দে,
উল্লাসে বল "এই বেশ ভালো আছি, খাসা বাঁচছি"!
No comments:
Post a Comment