গুচ্ছকবিতা
শিশির আজম
স্পুটনিক সুইটহার্ট
আমার স্পুটনিক সুইটহার্ট আমি খুঁইজা পাইতেছি না
অবশ্য
আমার সম্মতি নিয়াই ও হারায়ে গেছে
আর ওর যে হারায়ে যাওয়া দরকার
এইটা তো আমি জানি
একমাত্র আমিই জানি
মানে ওর নাই হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে
না অদ্ভুত না বিস্ময়কর
না কি বহুবীজপত্রী উদ্ভিদের পরিবারে ও খুঁজতেছে আমারে
আমারেই
নভচারীদের দ্রাঘিমাচ্যূত টুথপেষ্টে
কার্পাশবনের আগুনলাগা বিমানে
ঘড়িটা আমায় উপহার দিয়েছিল বন্ধু সালভাদর দালি
ঘড়িটা আমার টেবিলেই ছিল এখন দেখছি তেলাপোকা
দেখছি
চায়ের লিকারের মতো ওটা গলে পড়ছে গলে গলে পড়ছে
আগামীকাল যখন তাকাবো ঐ নিষ্কলঙ্ক সংবেদনশীল ঘড়িটার দিকে
দেখবো টেবিলটায় পড়ে আছে টিকটিকির জ্যান্ত লেজ
টিকটিকিটা নেই
আচ্ছা টেবিলটার কোন দোষ নেই তো কোন দুরভিসন্ধি
বিস্ময়ের ব্যাপার হলো
এতো এতো বিখ্যাত সব ঘড়ি কোম্পানি ক্লাসিকাল আর এ্যালকোহলিক
এদের অফিস কোথায় কেউ তো বলতে পারে না
দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না
কফিশপ থেকে বেরিয়ে একান্ত একাগ্রতায় লোকটা
বামে মোড় নিলো
তারপর আনুমানিক বিশ পা হাঁটলো
তারপর একবার ডানে একবার বামে তাকালো
তারপর রাস্তা পার হলো
ফলে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি
রাস্তায় গাড়িঘোড়া চলেছে
মানুষের ভীড়
যদিও কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি আমরা দেখেছি
আমরা কি নিশ্চিত যে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি
ঐ লোকটার ভেতর
তোমার আমার ভেতর
কোন দুর্ঘটনা কি নেই
অথবা
দুর্ঘটনা কেবল রাস্তায়ই ঘটে
এমন গপ্পগাথা
কেন আমাদের বিশ্বাস করতে হবে
যখন
হেমন্ত যাবো যাবো করছে
আর দু'টো দোয়েল একই ডালে বসে আছে
মুখ দু'দিকে
যে পাখি ওড়ে না
এবার একটা পাখি আঁকবো আমি
যার চোখ না কালো না নীল
'তাহলে ওর চোখজোড়া কী রঙের?'
হ্যা এই প্রশ্ন তোমরা করতে পারো
পাখিটার কোন ডানা আমি আঁকবো না
ধরে নাও
ওর কোন ডানা নেই
'কিন্তু পাখিটা তো ওড়ে'
তুমি কি নিশ্চিত যে পাখিটা ওড়ে
তুমি কি দেখেছ
তোমার চোখ কী রঙের
আমি চাইতেছি আরও বড় বেকুব হয়া উঠবার
আমি যে আস্ত এক বেকুব
এইটা
বারবার বারবার আমারে মনে করায়া দেওয়া হয়
হ আমি তো জানিই যে আমি বেকুব
আর
সেগুলাই আমি করতেছি
বা করবার লাইগা মনপ্রাণ ঢাইলা দিতেছি
যেগুলাতে প্রমাণ হয়
প্রজ্ঞায় ও প্রপাতরেখায়
আমি আরও বড় বেকুব হয়া উঠবার
চাইতেছি
যেমনটা অরা ভাবতিছে
তার চায়া বেশি
No comments:
Post a Comment