Monday, November 3, 2025


 

প্রবন্ধ 


উত্তরবঙ্গের নারী, নবজাগরণ ও রাজনীতি: কোচ রাজপরিবারের গোপন ইতিহাস

সোহম ভট্টাচার্য 



কোচ রাজবাড়ির নারী সদস্যাদের কথা বললেই, আম বাঙালির মনে প্রথমেই যাঁর ছবি ভেসে ওঠে তিনি কোচ রাজবাড়ির দীপ্তিময়ী রাজকন্যা গোয়ত্রীদেবী, যার নারীসুলভ সৌন্দর্যের সঙ্গে মিশেছে, চারিত্রিক অভিজাত্যের দ্যুতি।

আবার যে বাঙালিরা, একটু কোচবিহারের প্রাচীন, ইতিহাস তথা বাংলার উনিশ শতকের ইতিহাস নিয়ে ওয়াকিবহাল, তাঁদের কাছে এই ঐতিহ্যবাহী হিমালয়ের পাদদেশীয় জঙ্গলে ঘেরা ছোট্ট দেশীয় রাজ্যের রানী হিসেবে সেইসঙ্গেই মাথায় আসে, বিখ্যাত ব্রাহ্মসমাজসংস্কারক তথা নববিধান ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা, কেশব চন্দ্র সেনের জ্যেষ্ঠা কন্যা সুনীতি দেবীর কথা, রকমারি গাউনের সঙ্গে শাড়ির অত্যাধুনিক মেলবন্ধন হোক, কিংবা নারীদের জন্য কোচবিহারে স্কুল তৈরী, আবার পর্দাপ্রথা না মেনে ভোপালের রাজার সঙ্গে ডিনার পার্টি জয়েন করা হোক, কিংবা প্রথম ভারতীয় নারীর লেখা ইংরেজি আত্মজীবনি, সবেতেই এই কোচসম্রাজ্ঞীর নাম উজ্জ্বল।

আপনার হয়তো মনে হচ্ছে, এ আর এমন কী? এ তো যে কেও করতে পারে। আজ্ঞে না মশাই, সময়কালটা তো মনে রাখবেন, সেই ১৮৭৮ সাল, যেসময় বাঙালি মেয়েরা পড়াশুনো করার বিষয় তো দূর, পর্দাটুকু না নিয়ে কারোর সঙ্গে দেখা বারতেন না, মুখ ফুটে নিজের ইচ্ছে অনিচ্ছেও বলতেন না।
আবার এই সঙ্গেই, এই আমার মতো অল্প ইতিহাস জানা কিছু লোক হয়তো বলবেন, আরে সুনীতি দেবী তো ব্রাহ্ম ছিলেন, ব্রাহ্মসমাজের মেয়েরা এমনিতেই খুব অধুনিকা ছিলেন, গোঁড়া হিন্দু মেয়েদের তুলনায়।

কিন্তু এখানেই বাঁধবে গোল, কারণ প্রামান্য দলিল যা বলে, তা খানিকটা অন্যরকম, কোচরাজবাড়ির অন্তঃপুরচারীনিরা, সুনীতিদেবীর আগ পর্যন্ত প্রত্যেকেই ছিলেন গোঁড়া শৈব হিন্দু।

কিন্তু ভাবতেই অবাক লাগে, কোচরাজবংশের সেইসব অন্তঃপুরচারীনিরা কি ভীষন আধুনিকা ও রুচিশীলা ছিলেন। উত্তরবঙ্গের রাভা-মেচ-টোটো জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ছোট্ট কোচ রাজ্যের নারীরা, উনবিংশ শতাব্দীর নবজাগরণের আলোয় কিভাবে আলোকিত হয়েছিলেন সময়ের আগেই, তা আমার-আপনার ভাবনারও অতীত।

সুনীতি দেবীর কথাই যদি প্রথমে ধরি, তবে রাজমাতা হিসেবে বেশ কিছু সময় কোচবিহার থেকে রাজ্য পরিচালনায় সাহায্য করেছিলেন তিনি, আধুনিক কোচবিহারের জনক মহারাজ নৃপেন্দ্রনারায়ণের যোগ্য স্ত্রী হিসেবে একাধিক প্রজাহিতকর কাজের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যুক্ত ছিলেন, শিক্ষা, সমাজনীতি, রাজনীতি, নারীশিক্ষা সর্বত্র ক্ষেত্রেই তাঁর ও তাঁর দাম্পত্যসঙ্গী কোচ মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ন ভূপ-বাহাদুরের অবদান, স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কোচ রাজার ভাই গজেন্দ্রনারায়ণের স্ত্রী ছিলেন সাবিত্রী দেবী, সুনীতি দেবীর বোন ও কেশবচন্দ্র সেনের দ্বিতীয় কন্যা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই কোচ রাজপরিবারের সদস্যা, সাবিত্রী দেবীর লেখা আত্মকথা থেকে জানা যায়, কোচবিহারের সেসময়, ব্রাহ্মপল্লি, ব্রাহ্মবোর্ডিং স্থাপনা কেশবচন্দ্রসেনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্থাপিত বিনামুল্যে দৈন্যন্দিন দুবেলা সাধারণ মানুষদের খাদ্য প্রদান এর মতো কাজ করা শুরু হয়।

তিনি আরও জানান সুনীতি দেবীর আর্থিক আনুকূল্যেই ছেলে-মেয়েদের জন্য একটি নীতি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে শিক্ষিত-অল্পশিক্ষিত সকল নারী পুরুষরাই আসতেন। সুনীতি দেবী ও তাঁর কন্যা রাজকুমারী সুধীরা দেবীর আগ্রহেই সেখানে মেয়েদের হাতের কাজ শেখানোর ব্যবস্থা করা হয়, জামা, কামিজ তৈরি করা শেখানো হয়, প্রসেসড ফুডের মধ্যে জেলি, আঁচার তৈরী ও তার টিনের কৌটায় বিপনন করার কৌশল শেখানো হতে থাকে। এসকল কর্ম শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল, মেয়েদের সবলম্বী করে তোলা।

সুনীতি দেবী ইংরেজি ভাষায় রচিত তাঁর আত্মচরিত ‘The Autobiography of an Indian Princess” শীর্ষক বইটিতে উল্লেখ করেছেন, কোচবিহারের নারীদের মানসিক ও আর্থিক দৈন্যতাই কোচবিহারের অন্যতম পিছিয়ে থাকার কারন। যার জন্য তিনি তৈরি করেছিলেন, তাঁর স্বামী নৃপেন্দ্রনারায়নের আর্থানুকূল্যে "আনন্দবাজার" যেখানে মেয়েরা সপ্তাহের একটি দিন নিজেদের হাতে তৈরী নকশী কাঁথা, আসন, খোল, ধুপদানী, বেতের নানা জিনিস কেনা বেঁচা করতে পারতো।

‘আনন্দবাজার বিষয়ক’ একটি সেই সময়ের বিজ্ঞপ্তি কোচবিহার গেজেটে ১৪ই এপ্রিল ১৯১৯ সালে প্রকাশিত হয়, সংবাদটি এরকম - 
"১৩২৬ সালের, ৬ই, ৭ই ও৮ ই বৈশাখ (১৯১৯ সালের ১৯-২০, ২১ এপ্রিল) শনিবার-রবিবার, সোমবারে, কোচবিহার স্থান ল্যান্সডাউন হলে অনন্দবাজার হইবে, পূর্ণবয়স্কদিগের প্রবেশমূল্য এক আনা বালক বালিকা দিগের দুই পয়সা, কোচবিহার নিবাসী যে কোন ব্যাক্তি ইচ্ছা করিলে উক্ত ঠিকানায় নিজস্ব দ্রব্য প্রেরন করতে পারিবেন। প্রতি দ্রব্যে মুল্যে ও প্রেরণকারীর নাম-ঠিকানাদেওয়া আবশ্যক নচেৎ বিক্রিত দ্রব্যের মূল্য বাড়ি পাঠাইতে কেহ দায়ী থাকিবেন না”
- বলাই বাহুল্য রাজকর্মচারী বহিরাগত কর্মচারীর পরিবারের মেয়েরা এতে যেমন অংশ নিতেন, সাধারণ প্রজারাও তাতে ধীরে ধীরে অংশ নিতে শুরু করে। যদিও স্থানীয় বহু মেয়েরাই রাজপরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্ভ্রমে ভক্তিভরে দূরত্ব বজায় রেখেও চলেছে।

সুনীতিদেবীকে, এসব থেকে সরিয়ে এনেও যদি বিশ্লেষন করা যায় তবে, প্রথমেই আসবে তার কৃতিত্বের যে দিকটি, তা হল সুলেখিকা ও আধুনিক কবি রূপে সুনীতি দেবী।
যার কলমে ফুটে উঠেচ্ছে, নিম্নোক্ত পঙতিটি -
“আমাদের কোনও ভৌগলিক সীমানা নেই,
কোন নদী নেই
নেই কোন মানুষ
নিজস্ব কিছুই ছিল না কখনো।” – (সুনীতি দেবী বইকথকতার গান, প্রকাশিত ১৯০০ সাল)
এই যে নিঃসঙ্গতা, নারীর কিছুই নিজস্ব না, এই বোধ থেকেই সুনীতিদেবীর বহু আগেই উত্তরণের পথ দেখিয়েছিলেন, কোচ-রাজ গৃহের অন্তঃপুরের নারীরা, দুর্বিষহ একাকীত্ব, সপত্নী যন্ত্রণা সব কিছু থেকে সরে এসে, কোচবিহারের মহারাজা নর-নারায়ণের (১৫৫৪-১৫৮৮ সাল) মহিষী ভানুমতী দেবী, অহম নৌ বহরের সঙ্গে কোচরাজাদের যুদ্ধে, নিজে তির ধনুক নিয়ে অংশগ্রহন করেছিলেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গেই পর্দাপ্রথা না মেনে অংশ নিতেন রাজকাজে। তাঁর দূরদর্শিতা, প্রজা হিতের পরিকল্পনা, শিক্ষানুরাগের কথা, আজও কোচবিহার ইতিহাসে আছে। নিজ পুত্রসহ বাকিদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষা দেবেন বলে, সংস্কৃত পণ্ডিত পুরুষোত্তম বিদ্যাবাগীশকে নিয়ে ‘প্রয়োগরত্নাবলী’ ব্যাকরন রচনা করেছিলেন, আজও যা পণ্ডিত মহলে আদৃত, গ্রন্থটির রচনাকাল ১৫৬৮ সাল, এ তথ্য আছে গন্ধর্ব নারায়নের বংশাবলীতে।
“নৃপতির প্রিয়তমা ভানু পাটেশ্বরী
ভট্টাচার্য আগে কথা কহিলা সাদরি,
পানিনির বর্ণক্রম গ্রন্থনে লিখিবা
মহেশের কৃত কলাপের ক্রমদিবা।”
এরপর, দীর্ঘ পথ পেরিয়ে ১৫৫৮ সালে, 'বেহারোদন্ত' নামে কবিতার ছন্দে একটি আত্মজীবনি মূলক ইতিহাস রচনা হতে দেখি, রচানাকার মহারানী বৃন্দেশ্বরী দেবী, কোচবিহার মহারাজ শিবেন্দ্র নারায়নের পত্নী তিনি (১৮৩৯-১৮৪৭ খ্রীঃ)।
গ্রন্থটিতে, নারীদের মানসিকতা, অনলঙ্কার প্রিয়তা, নানা ধরণের নারীশরীরের গোলযোগ, রূপচর্চার নিখুঁত বর্ণনা রয়েছে, এ বইটি বাংলা সাহিত্য চর্চায় আত্মজীবনীমূলক রচনার একটি বিশেষ স্থান পেয়েছে, এদিক থেকে তাকে প্রথম বাঙ্গালীনি মহিলা কবি ও আত্মজিবনীকার বললে অত্যুক্তি হয় না। 
আবার, এই এক রাজপরিবারেরই অন্য এক রাজবধু মহারানী উৎপলবর্না দেবী, মহারাজা মহিন্দ্রনারায়নের স্ত্রী, প্রবল শিবভক্ত হওয়ায় শিবপুরানকে (১৬৮০ সাল) রাজবংশী ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন, প্রবল বন্যাকালে, সাধারন মানুষদের জন্য তৈরি করেছিলেন “শিবনিবাস” নামক এক শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্র।
মহারাজ শিবেন্দ্রনারায়নেরই অন্য এক মহির্ষী কামেশ্বরী দেবীর নির্দেশে মহারাজা নরেন্দ্রনারায়নের রাজত্বকালে "মহারাজ বংশাবলী" নামে একটি ইতিহাস লেখা হয়। প্রথমে এটি পুঁথি আকারে থাকলেও পরে তা মুদ্রিত হয়, গদ্যে লেখা এ ইতিকথার সে সময়ের বহুগুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। 

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য এরও বহুকাল আগে দেখা যায় কোচ মহারাজ মোদনারায়ন (১৬৫৫-১৬৮০ খ্রীঃ) এর স্ত্রী মহারানী মানময়ী দেবী প্রথম কোচবিহারের নারীদের বিবাহের জন্য ভাতা ও রাজ্যের গর্ভবতী মেয়েদের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে নিয়মিত হারে, একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করেছিলেন, সম্ভবত, তিনিই প্রথম কোচ সম্রাজ্ঞী যিনি তৎকালীন রাজ কাজে প্রয়োজনীয় দুটি ভাষা আরবি ও ফার্সিতে (মুঘল আমলে) সমানভাবে পারদর্শী ছিলেন।

মহারানী মানময়ী দেবীরই পুত্রবধূ মহারাজ বাসুদেব নারায়ন (১৬৮০ খ্রীঃ-১৬৮২ খ্রীঃ) এর স্ত্রী, মহারানী বিদ্যুৎপ্রভা দেবী, মুঘল সৈন্যগণ কীভাবে, কোচবিহার আক্রমন করছেন, মুঘলদের উদ্দেশ্য ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেন তার লেখা “কোচেশ্বরী কথন” বইটিতে। পয়ার ছন্দে রচিত এ বইটি ছিল, প্রাচীন কোচরাজ্যের ইতিহাস জানতে প্রযোজনীয় এক বই।

এই ঐতিহ্যবাহী ধারাবাহিকতাকেই সম্ভবত টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন মহারানী সুনীতি দেবী, বলা যায় কোলকাতা কেন্দ্রিক নবজাগরনের মুক্ত পরিবেশকে সুদুর উত্তরবঙ্গে এনে, সমস্ত অধুনিকতার পালে হাওয়া লাগিয়েছিলেন তিনি, কবিগুরু রবি ঠাকুরের স্নেহধন্যা, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ও সংস্কার মুক্ত সুনীতি দেবী পর্দাপ্রথা ভেঙেছিলেন সম্পূর্ণরূপে, সকলের জন্যে। ইংরেজি ও ফরাসি শিখিয়েছিলেন, বাকি সমস্ত কোচ রাজকুমারীদেরকে তাঁর স্বামী নৃপেন্দ্রনারায়নের বোন, কোচ রাজকুমারী অনন্দময়ী দেবী খুব অল্প বয়সে বিধবা হয়ে, পুনরায় পিতৃগৃহে চলে এলে, তাঁর অবসর সময় অতিবাহিত করতে থাকেন, সুনীতিদেবীর তত্ত্বাবধানে, ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য শিখতে। তাঁর উল্লেখ, আনন্দময়ী দেবী করেছেন, তার নিজ আত্মকথা “দুঃখবতীর গীত” বইটিতে।

মহারানী সুনীতি দেবীর পরবর্তীতে, তাঁর পুত্রবধূ বরোদারাজা সায়োজিগাইকয়া এর কন্যা মহারানী ইন্দিরা দেবী, কোচবিহারের রাজকুমার জিতেন্দ্রনারায়ন ভূপ বাহাদুরকে বিয়ে করেন, পরবর্তীতে ১৯২১ সালে জিতেন্দ্রনারায়ন ভুপ বাহাদুরের মৃত্যুর পর, ইন্দিরা দেবীর ইচ্ছেয়, কোচবিহারে পানীয় জল সমস্যা মেটাতে জলাধার নির্মান ও শিশু উদ্যান নির্মানের মতো কাজ হয়।

তাঁরই শিক্ষায় শিক্ষিত তাঁর কন্যা বাজকুমারী গায়ত্রী দেবী (জয়পুররাজমাতা) জয়পুরের সাধারন মানুষের উন্নতিতে শিক্ষার প্রসারে প্রভুত সংস্কারমূলক কাজ করেন।

আবার সুনীতি দেবীর কনিষ্ঠ পুত্র কুমার নিতেন্দ্রনারায়ণের স্ত্রী রানী নিরুপমা দেবী (১৮৯৫–১৯৮৪) প্রথমে কোচবিহার রাজপরিবারে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হলেও পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজকর্মী শিশিরকুমার সেনকে বিবাহ করেন। তিনি ছিলেন এক প্রতিভাবান সাহিত্যিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও সমাজসেবী। ১৯২৩ থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত তিনি ‘পরিচারিকা’ নামে একটি সাহিত্যপত্রিকা সম্পাদনা করেন এবং কবিতা, গল্প, আত্মজীবনী ও অনুবাদের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেন পার্বত্য পাদদেশীয় কোচবিহারে। 

এই সুপ্রাচীন সাম্রাজ্যের, শেষ সম্রাজ্ঞী ছিলেন মহারাজ জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ন এর স্ত্রী, মার্কিন অভিনেত্রী জর্জিনা নারায়ন বা জিনা নারায়ন, যার আমলেই কোচবিহার রাজ্যটি স্বাধীন ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হয়।



তথ্যসুত্রঃ 
Suniti Devi. The Autobiography of an Indian Princess. London: John Murray, 1921.
→ মহারানী সুনীতি দেবীর আত্মজীবনী, যেখানে কোচবিহারের নারীশিক্ষা, সমাজনীতি ও তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বিবরণ আছে।
Sabitri Devi. Atmakatha (আত্মকথা). (Unpublished Memoir, cited in secondary sources).
→ মহারাজা গজেন্দ্রনারায়ণের পত্নী, কেশবচন্দ্র সেনের কন্যা সাবিত্রী দেবীর লেখা আত্মকথা, যেখানে ব্রাহ্মপল্লি, ব্রাহ্মবোর্ডিং স্থাপনা ও দুঃস্থদের খাদ্যদান সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়।
Brindeshwari Devi. Beharodonto (বেহারোদন্ত). Manuscript, 1558.
→ মহারানী বৃন্দেশ্বরী দেবীর রচিত কবিতার ছন্দে আত্মজীবনীমূলক ইতিহাস।
Gayatri Devi. A Princess Remembers: The Memoirs of the Maharani of Jaipur. New York: Rupa, 1976.
→ জয়পুরের রাজমাতা গায়ত্রী দেবীর স্মৃতিকথা, যেখানে তাঁর মা ইন্দিরা দেবীর শিক্ষা ও সুনীতি দেবীর প্রভাবের প্রসঙ্গ এসেছে।
Nirupama Devi. Editor, Paricharika (পরিচারিকা). 1923–1931.
→ কোচবিহারের পুত্রবধূ নিরুপমা দেবীর সম্পাদিত সাহিত্যপত্রিকা। তিনি কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও অনুবাদ রচনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে অবদান রাখেন।
কোচবিহারের পরিক্রমা, সম্পাদক, কৃষ্ণেন্দু দে, নীরজ বিশ্বাস ও দিগ্বিজয় দে সরকার।
‘মহারানী কথা’ – মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস।

No comments:

Post a Comment