Sunday, December 6, 2020


 






নবান্ন

      টিটু সরকার


তোমায় হেমন্তের মেঘে ভেজাবো বলে; প্রখর তাপে নিংড়ে দিয়েছি জলীয় বাষ্প।

পেজা তুলোর মতো মেঘকে, করতে চেয়েছি ঘন কালো;

তোমায় একটু ভেজাবো বলে।


ধানের রোয়া লাগানোর সময়, যেভাবে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়েছিল; সে কি আনন্দ আমার! খুব ভিজেছিলাম আমি।

এক নিমেষে শেষ করে দিয়েছি সব কাজ; পরম আনন্দে। 

তোমায় চিৎকার করে বলেছিলাম, চলো দুজনে একসাথে ভিজবো। 

তুমি " যা! পরে ভিজবো " বলে ছুট্টে পালিয়ে গিয়েছিলে। কতদিন বৃষ্টি হলো, বন্যা হলো, তুমি ভিজলে না। ধান নষ্ট হলো।


তারপর প্রখর রোদ।


সেই থেকে আমি আকাশ দেখছি; 

আর মেঘ নেই, ধান নেই।


তোমায় হেমন্তের মেঘে ভেজাবো বলে; প্রখর তাপে নিংড়ে দিয়েছি জলীয় বাষ্প।

কাঠ ফাটা রোদ্দুরে, গায়ের ঘাম দান করেছি, হেমন্তের মেঘকে। 

সেই যে বড়ো বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের কাজে গিয়েছিলাম; সেখানে সূর্যকে শুষে নিতে দিয়েছি কতো জল। জল খাইনি আমি একটুও।


তোমায় হেমন্তের মেঘে ভেজাবো বলে।


No comments:

Post a Comment