Friday, November 29, 2019

























আমার প্রেমের পদাবলী
     শান্তনু দাস


শিশির মাখা সকালের
শীতল হাওয়া যখন 
ছুঁয়ে যায় আমার গাল
অনুভব করি তোমায়।

ছাতিমের গন্ধ যখন 
মাতাল করে
জ্যোৎস্না রাত্রিকে
মনে পড়ে তোমায়।

বিনিদ্র রজনী যখন
মধ্যপ্রহরের দিকে আগুয়ান
জানো, ঠিক তখনই 
কবিতা আসে মনে।

রজকিনী রামী হয়ে
পাশে এসে বসো তুমি
আমার হাতটি ধরে
তোমার নরম হাতে।

আমি লিখে চলি....
প্রেমের পদাবলী।

নামহীন, ছন্দহীন, দীন-হীন
কয়েকখানি লাইন
কবিতার মতো,
কবিতা হয় না জানি, 

তবুও .....




Wednesday, November 27, 2019























গার্হস্থ্য

মনিমা মজুমদার 



আমাদের মাটির ঘরে রোজ শ্যাওলা পড়ে যেত।

যেমন করে তোমার আঁচলের হলুদ,


আর আঁশটে আঙুলের ডগা,


প্রতিদিন একটু একটু করে গাঢ় আরো গাঢ়


হতে হতে, মাঝরাতের ঘড়ির কাঁটায় মিশে যেত।


আমরা কোনদিন সময়গুলিকে ভাগ করে নিতে পারিনি।


কোনদিন ভবিষ্যৎ আসেনি আমাদের ঘরে।


শুধু এসেছে বাদামের খোসায় উজ্জ্বল সুখ


তালপাতায় স্নিগ্ধ শরীরে।



















পোড়োবাড়ি 
      রীনা মজুমদার 

 নীলদিগন্ত আকাশ 
      মাথার উপরে
 কী জানি কেন-- কোন বাঁধায় 
 সে পাখি আজো ডানা ঝাপটায় 
 তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে !
 কুয়াশায় ঢাকে চারিধার 
 বটের ঝুরিগুলো নুয়ে 
    পৃথিবীর মাটিতে ..

কী জানি কেন-- কোন মায়ায় 
  তোমায় উড়তে দেখার 
 প্রত্যাশাটুকু ফিরে আসে 
       পোড়োবাড়িটায়... 













স্মরণ
 
মৌসুমী চৌধুরী 

        ওরা থাকে এই মহা নগরে। ঐশী, শিঞ্জিনী, সৌপ্তিক, ঋতম, এষা,  সাগ্নিক ,লাবণ্য, ঋজু। এ নগরের সবচেয়ে নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে সবাই। অন্যায়ের প্রতিবাদে "হোক কলরব" জিগির তোলে।  সবাই ওরা উচ্চশিক্ষিত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের একমাত্র সন্তান। ওদের কথায় "ওনলি চাইল্ড"। ওরা বাংলা বলে বটে, তবে অবলীলায় তাতে মিশে যায় ইংরাজি। এ নগরের নামকরা ইংরাজি মাধ্যম বিদ্যালয়- গুলিতে ওদের প্রাথমিক পড়াশোনা। রবীন্দ্র কবিতা ওরা শুধু মাত্র জানে সিলেবাসে আছে বলেই। কেউ কেউ বেশ কায়দা করে উচ্চারণ করে, "আই লাইক টেগোর'স পোয়েমস্।"
           এ নগরের সংস্কৃতির পীঠস্থান "নন্দন" চত্তরে ওদের ঠেক। ওরা সবাই ইংলিশ রক ব্যান্ড "বিটলস্" এর ভক্ত। প্রায়ই গিটার হাতে ওদের গুনগুনাতে দেখা যায় জন লেনন বা জর্জ হ্যারিসন। তবে ওরা লালনগীতি, ফোক, ভাটিয়ালি, কীর্তন সবই প্রাণ খুলে গায়। স্মার্ট ফোনে চোখ রেখে স্মার্ট ঝকঝকে এই প্রজন্ম  জাতীয় ও বিশ্ব রাজনীতির উত্থান-পতনে ভাবিত হয়। সত্যজিৎ, ঋতুপর্ণ, শ্যাম বেনেগাল, মনি রত্নম, স্পিলবার্গ নিয়ে ওরা চায়ের কাপে তোলে তুফান। ওদের আড্ডায় স্থান পায় ক্রিকেট-ফুটবল থেকে সিনেমা, ফ্যাসান, কেরিয়ার থেকে শেয়ার মার্কেট, রাজনীতি মায়  জি.এস.টি, 2G স্ক্যাম, কালা-ধনের চর্বিত চর্বণ সবকিছুই।
           কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্যি, ওদের জীবনেও আসে ২৫ শে বৈশাখ-২২শে শ্রাবণ। এক ২৫ শে বৈশাখের বিকেলে ওদের সাথে দেখা হয়েছিল আমার। "অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস"-এর সামনে একটা ফ্লেক্স টানিয়ে বিটলস্-ভক্তরা রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করছে। গিটার হাতে নিয়ে ওদের একজন কপি-রাইট- উঠে-যাওয়া স্টাইলে গাইছে,
----"আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে...।"
               কৌতুহল ভরে ওদের একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, 
------"আচ্ছা সাগ্নিক, তোমাদের জীবনে গুরুদেব সারা বছরে কখনও কি উঁকি দেন? নাকি শুধুই এই জন্মদিনে?" 
    খানিক উদাস স্বরে সাগ্নিক উত্তর দিয়েছিল, 
----------"বাবা যেদিন মাকে ছেড়ে পামেলা আন্টির সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন, সেদিন বাড়ি ফিরে খুব কষ্ট হয়েছিল আমার। সেদিন একা একা ছাদে উঠে গিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত ইউ-টিউবে শুনেছিলাম, 'জীবন-মরণের সীমানা ছাড়ায়ে /বন্ধু হে আমার, রয়েছ দাঁড়ায়ে'।"
      গিটার হতে তখন সাগ্নিকের বন্ধু গেয়ে চলেছে--- "জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণাধারায় এসো/ সকল মাধুরী লুকায়ে যায়, গীত সুধা রসে এসো।"

Tuesday, November 26, 2019



অসম্ভব কথামালা...১৫
ভয়
শৈবাল মজুমদার

শ্মশানেও কেউ কেউ হেসে ওঠে নিদারুন ভয়ে
লেলিহান চিতার সামনে বোঝা যায় জীবনের সামান্যতা
ক্ষমাহীন অনিত্য সময়কাল ছুঁয়ে ভয়ে হেসে ওঠে কারা
জীবনকে খুব ভালবাসে যারা...ইঁট কাঠ ধাতু ও রমণী
ভালবাসে.কুকুর আর প্লাষ্টিক ফুল 
তারা খুব ভয়ে হো হো হা হা হাসে আর কাঁদে অবশেষে
শ্মশান প্রবেশপথে উবু হয়ে বসে থাকে মা মরা কমলীর বাপ
পাগলা নগেন একা বসে কী যেন বিড়বিড় করে আর
চিতার আগুনে ভাত সেদ্ধ করে খায় নির্ব্বিকার

অন্ধকার নেমে এলো পৃথিবীর আকাশে বাতাসে
এবার সময় হলো
এখন খোলস বদল করে সুসভ্য হও...রং আর অভিনয়ে
ঢেকে দাও বুকের ভেতরে সিফিলিস স্মৃতিচিহ্ন যতো
সারাদিন নতজানু অবসন্ন কেটে গেছে দহনে অপমানে
ক্রুর ও কুটিল যতো জীবনের অদ্ভুত নিয়মকানুন ঘিরে
শিকল শিকল শুধু শিকলের সাইরেন গান
অতএব অন্ধকার নেমে এলে আত্মায় চোখের পাতায়
আর রক্তহীন শিরা উপশিরাজুড়ে নোংরা অন্ধকারে
বোতলের মুখ খুলে ফেনা উপচায় অনর্গল বমির মতন
দমিত খিস্তির ফোয়ারায় ডুবে ভেসে বিষণ্ণ মানুষগুলো
পৃথিবীর বুকে সরল দুই পা পুঁতে টানটান দাঁড়াতেই চায়
নিজস্ব ঈশ্বরের মুখোমুখী...টলে যায় শালা পা টলে যায়
ছিঁড়ে যায় শীর্ণ রমণীর ক্ষুধাতুর ছিন্ন আঁচল ছিঁড়ে যায়
উলঙ্গ শুয়ে থাকে অবোধ শিশুর দল জল কাদা মাটিতে

শ্মশানেও অন্ধকার
এখানে শোক নেই লোভ নেই নেই রমণীয় নেশা
অন্ধকারে জ্বলে ওঠে চিতার আগুন
চোখের সামনে পুড়ে যায় আত্মা,চোখের পাতা
যতো পাপ যতো পুণ্য অনাচার আর না পাওয়ার
সুদীর্ঘ তালিকা মহোল্লাসে পুড়ে পুড়ে যায়
ভয় হয় ভয় হয়...কি ভীষন ভয় করে ওঠে
নিভে আসা চিতার সম্মুখে হাঁটু ভেঙে আসে
অসম্ভব ভয়ে
হা হা করে হেসে ওঠে এমহান এসামান্য মানবজনম




ভ্রম

নির্মাল্য ঘোষ 


অভিশাপগুলো মুঠো ভর্ত্তি করেছি 
একটু একটু করে...
রক্তের দাগ ঢেকে গিয়েছে...
যে আঘাতের কথা নিয়ে আলোচনা 
চলছে দিনরাত...
সে তো আগুণ খায় অহর্নিশ 
হাপুস হুপুস করে..
আঙ্গুল টিপে টিপে রোদ বের করি 
আর একটা একটা করে সূর্য আঁকি...
ডেটলের গন্ধে ফেন্সিডিল ভেসে বেড়ায়...
তারপরে ধীরে ধীরে কর্পূর হয়..
হেমন্তের রোমকূপে ঘাসের গন্ধ সিঁদুর 
মাখে...
শীত তখনও নিদ্রা থেকে ওঠেনি
একটা খয়িষ্ণু লক্ষ্যকে উত্তরণ ভাবার 
ভ্রম হয় বারেবারে


আলবিদা 
রুনা দত্ত


সম্পর্কের অবয়বে যখন 
বরফ শীতলতা নেমে আসে ..
তখন হাজার ছুঁয়ে দিলেও 
উষ্ণায়নে ভেসে যাওয়া যায়না । 

বরং সীমারেখা বরাবর
একটা দূরত্বের সেতু 
ক্রমশ মনের মধ্যে দাগ কেটে যায় । 

তারপর কখন যেন 
শেষ সীমানাটুকুও মুছে দিয়ে
একটাই সুর ভেসে আসে  
আলবিদা আলবিদা আলবিদা  ......

@

Monday, November 25, 2019

মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা: ডুয়ার্সের নোটবুক: পরবর্তী পর্যায়(একটি সিরিজ)...

মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা:




ডুয়ার্সের নোটবুক: পরবর্তী পর্যায়(একটি সিরিজ)
...
: ডুয়ার্সের নোটবুক: পরবর্তী পর্যায় (একটি সিরিজ) শৌভিক রায় নিজস্ব রিংটোনে বসন্তবৌরি ডেকে নেয় উষ্ণ গ্রীষ্ম, হিমভোর...





ডুয়ার্সের নোটবুক: পরবর্তী পর্যায়
(একটি সিরিজ)

শৌভিক রায়


নিজস্ব রিংটোনে বসন্তবৌরি
ডেকে নেয় উষ্ণ গ্রীষ্ম,
হিমভোর মুছে গিয়ে
দাউ দাউ দাবানল দুপুরে
স্ক্রীনে ভেসে ওঠে
ছারখার বৈশাখী

ঝড় উত্তরার বুকে...

***********************

তোর্ষায় ভেসে যায়
সেগুনের লাশ,
অন্ধকারে ডুবে থাকো তুমি
নামহীন মৃত্যুর
স্তব্ধতা নিয়ে

তবুও জোনাকি চিলাপাতার গভীরে

*************************


রঙবদল তুমি চলে যাও
বর্ষা থেকে কখনো শরতে

দুর্নিবার সন্ধ্যেরা,
সাইলেন্ট মোডে,
দেখে নেয়
দাঁড়িয়ে তুমি আমাদেরই সাথে...

রক্তচোখ?
আকাশ তো তা জানে না!

***********************


তোমার বাড়ানো হাতে 
হাত ছোঁয়ালেই
টুংটাং পিয়ানো...

জানো ব'লেই,
অবিশ্বাস্য,
ছুঁয়ে দিচ্ছ হাত

আর কুয়াশায় মেলাতে মেলাতে
শুনতে পাচ্ছি বাখ্ আর মোৎজার্ট.....

***********************

তুমি রঙ খেলেছিলে
রুদ্রপলাশের সাথে
শিমুলকে নিয়ে

মাদারের অভিমান
জল জ্যোৎস্নায় 
সেই কাকভোরে
ভেসে গিয়েছিল

হলুদ সরষের দেশে...

***********************

লং শটে মজে যাওয়া নদী
তবু তোমার জলটিপ সাজ,
হাতে হাত ধরার আগে
পেছন ফিরে দেখো

উঠে আসছে এক মৎস্যকণ্যা
ঘোলা তোর্ষার গভীর থেকে...

Sunday, November 3, 2019






সম্পাদকের কথা


দীর্ঘ উৎসব শেষে আবার ফেরা নিত্য জীবনে। আসলে স্থায়ী নয় কিছুই জীবন প্রবাহ ছাড়া। তাই আবারও শুরু দৈনন্দিনতা। 
উৎসবের আবহে যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য দেখেছি তা যদি সারা বছর ধরে পারি, তবে নিজেরাই লাভবান হব। 
খারাপ লাগে এই আনন্দঘন মুহূর্তেও পরিবেশ নিয়ে আমাদের উদাসীনতা। দেশের রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত দূষণের সম্মুখীন। জানিনা কবে আমাদের বোধ জাগবে, কবে আমরা বুঝতে শিখব। 
তবু হেমন্তের এই সময়ে, নবান্নের এই দেশে একটিই আশা যে, একদিন সুদিন আসবে।     


 মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা অনলাইন কার্তিক সংখ্যা ১৪২৬


মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা 
হসপিটাল রোড 
কোচবিহার 
ইমেল  ঠিকানা- mujnaisahityopotrika@gmail.com
প্রকাশক- রীনা সাহা 


সম্পাদনা, অলংকরণ ও বিন্যাস- শৌভিক রায় 



ছড়া


নবান্ন দ্বারে

মজনু মিয়া 


আবার জমবে মেলা হাঁটে ঘাটে কলরবে 
বসবে গানের আসর উঠোন জুরে তার স্বরবে,
কৃষকের মনে খুশির বান পেকেছে খেতের ধান 
দল বেঁধে ছুটছে খেতে গাইছে তারা প্রাণের গান।

দুয়ারে ধান ছড়াছড়ি খাইছে মুরগী কাকে
গৃহিণী ডাকছে কই তোরা তাড়া গিয়ে তাকে,
বস্তা ঢোল ব্যাড় ভরে রাখে খায় সারা বছরে
এরই মাঝে ভাগ বসায় ইঁদুর শালিক বান্দরে।

অনেক আশা কৃষক আর গৃহিণীর মনে মনে
বেচবে ধান গড়বে গয়না আর শাড়ি কিনবে পণে,
কাজের মাঝে যায় রাত্র দিন সুখের সীমা নেই তো
এমনি করেই নবান্ন যায় নবান্ন আসে সেই তো।


মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা অনলাইন কার্তিক সংখ্যা ১৪২৬



সম্পাদকের কথা

দীর্ঘ উৎসব শেষে আবার ফেরা নিত্য জীবনে। আসলে স্থায়ী নয় কিছুই জীবন প্রবাহ ছাড়া। তাই আবারও শুরু দৈনন্দিনতা। 
উৎসবের আবহে যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য দেখেছি তা যদি সারা বছর ধরে পারি, তবে নিজেরাই লাভবান হব। 
খারাপ লাগে এই আনন্দঘন মুহূর্তেও পরিবেশ নিয়ে আমাদের উদাসীনতা। দেশের রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত দূষণের সম্মুখীন। জানিনা কবে আমাদের বোধ জাগবে, কবে আমরা বুঝতে শিখব। 
তবু হেমন্তের এই সময়ে, নবান্নের এই দেশে একটিই আশা যে, একদিন সুদিন আসবে।     


 মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা অনলাইন কার্তিক সংখ্যা ১৪২৬


মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা 
হসপিটাল রোড 
কোচবিহার 
ইমেল  ঠিকানা- mujnaisahityopotrika@gmail.com
প্রকাশক- রীনা সাহা 


সম্পাদনা, অলংকরণ ও বিন্যাস- শৌভিক রায় 



কবিতা

 অভিমান
      
শ্যামল কুমার রায়



শিউলি, তুই কৃষ্ণকলি 
আর আমি? বেণীমাধব।
মালতীবালা স্কুল? থাক না হয়।
রাত ভোর ঝগড়া করে ক্লান্ত দু'জনেই  
অথচ,ভোরের শিউলির মতোই তাজা তুই
কখন যে অভিমান সরিয়ে,
আঘাতগুলোকে লুকিয়ে
কখন কাছে চলে এলি-
জানতেও পারলাম না। 
মুখ না দেখার- সেই রাতের প্রতিজ্ঞা? 
শিশিরের জলে ধুয়ে,মুছে গেছে 
শুধু থমথমে মুখ,আর জমা অভিমান।
সকালে অফিস, মনাই এর স্কুল, মায়ের ওষুধ 
তোর দিন কেটে যায়,ব্যস্ততা আর উৎকণ্ঠায় 
মনাই আর আমি ফিরে এলে,বড় নিশ্চিন্ত তুই 
চেনা ছন্দে, শুধু তোর গিন্নিপনা
কিন্তু, রাতে? তোকে ছুঁতে চাওয়ার সেই মুহূর্তে!
কোন সে আবেশে, কান্না নেমে আসে?
মলিনতার শেষ, ভালোবাসাবাসির শুরু।


মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা অনলাইন কার্তিক সংখ্যা ১৪২৬




সম্পাদকের কথা

দীর্ঘ উৎসব শেষে আবার ফেরা নিত্য জীবনে। আসলে স্থায়ী নয় কিছুই জীবন প্রবাহ ছাড়া। তাই আবারও শুরু দৈনন্দিনতা। 
উৎসবের আবহে যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য দেখেছি তা যদি সারা বছর ধরে পারি, তবে নিজেরাই লাভবান হব। 
খারাপ লাগে এই আনন্দঘন মুহূর্তেও পরিবেশ নিয়ে আমাদের উদাসীনতা। দেশের রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত দূষণের সম্মুখীন। জানিনা কবে আমাদের বোধ জাগবে, কবে আমরা বুঝতে শিখব। 
তবু হেমন্তের এই সময়ে, নবান্নের এই দেশে একটিই আশা যে, একদিন সুদিন আসবে।     


 মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা অনলাইন কার্তিক সংখ্যা ১৪২৬


মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা 
হসপিটাল রোড 
কোচবিহার 
ইমেল  ঠিকানা- mujnaisahityopotrika@gmail.com
প্রকাশক- রীনা সাহা 


সম্পাদনা, অলংকরণ ও বিন্যাস- শৌভিক রায় 



কবিতা

সর্বনাশী-মা-গো-তুমি

মাম্পি রায়


       শিশিরঝরা বাতাস যেন, 
            লাগায় শিহরণ,! 
         সর্বনাশীর উগ্রনাচে
            কাঁপে যে ভূবন।।

          মহামায়ার খোলা চুল
              হাতে মারণ খর্গ,
          গলায় দোলে মুন্ডমালা
        তাঁর পায়ের নীচে সর্গ।।
        
          
        চন্ডীকা তুমি ভীমা ভয়ংকরী 
            শিবাঙ্গীনি তুমি জাগো 
                    মা শংকরী।।

          আছে যত মর্ম, ব্যাথা, 
             সকল হৃদয় জুড়ে 
            হর তারে মা চামুন্ডা 
            স্নেহের পরস ভরে।।


মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা অনলাইন কার্তিক সংখ্যা ১৪২৬

 



সম্পাদকের কথা

দীর্ঘ উৎসব শেষে আবার ফেরা নিত্য জীবনে। আসলে স্থায়ী নয় কিছুই জীবন প্রবাহ ছাড়া। তাই আবারও শুরু দৈনন্দিনতা। 
উৎসবের আবহে যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য দেখেছি তা যদি সারা বছর ধরে পারি, তবে নিজেরাই লাভবান হব। 
খারাপ লাগে এই আনন্দঘন মুহূর্তেও পরিবেশ নিয়ে আমাদের উদাসীনতা। দেশের রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত দূষণের সম্মুখীন। জানিনা কবে আমাদের বোধ জাগবে, কবে আমরা বুঝতে শিখব। 
তবু হেমন্তের এই সময়ে, নবান্নের এই দেশে একটিই আশা যে, একদিন সুদিন আসবে।     


 মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা অনলাইন কার্তিক সংখ্যা ১৪২৬


মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা 
হসপিটাল রোড 
কোচবিহার 
ইমেল  ঠিকানা- mujnaisahityopotrika@gmail.com
প্রকাশক- রীনা সাহা 


সম্পাদনা, অলংকরণ ও বিন্যাস- শৌভিক রায় 



কবিতা

সংসার

লুবনা আখতার বানু


সং-সাজা সংসারে নারী চলে 
                          হেসে-খেলে।
জ্বালা বুকে হাসি মুখে চলে সে 
                      যে ডানা মেলে-
কষ্টেও হাসিমুখে ভালো আছি 
                                     বলে,
দায়িত্বের সাগরে তাঁর নৌকা 
                                যে চলে-
কর্তব‍্যের চাপে পড়ে করে সে
                         যে হাসফাস,
এভাবেই চলে সে যে 
                            বারোমাস।
নারীদের হস্তেই নাকি 
                 দশজনের জীবন-
আনন্দপূর্ন ও সুস্থ রাখতে সব
                                  জীবন,
ফাঁকিতে তাঁর নিজেকে সুখী 
                           রাখার পন।
এভাবেই সং-সাজা সংসারে 
                     মাতারূপী নারী,
ডানা মেলে উড়ে চলে সব 
                            বাড়ী বাড়ী।



মুজনাই সাহিত্য পত্রিকা অনলাইন কার্তিক সংখ্যা ১৪২৬