Tuesday, January 31, 2017
Monday, January 30, 2017
--উদয় সাহা
স্বাগত জানালাম কালো বিষাদ
এক অন্য বিষাদ--
তুমি আঁকা আছ আমার হাতির ছবি দেওয়া টিকিটে
তুমি আঁকা আছ নরম আবেগের বিন্দুতে
তোমাকে দুঃখের আর এক নাম বলব না
এক গাল খোঁচা খোঁচা দাড়িতেও
এক টুকরো হাসি এখনও বর্তমান।
বছর শেষের সান্টা বুড়ো বলগা নিয়ে চলে গেছে
হাজিরা খাতায় অনবদ্য পারফরমেন্স
অঙ্কের খাতায় প্রমাণিত বলে কিছুই নেই
রাতদুপুরে চশমা পরে বড় বড় চোখে
মস্তিষ্ক জুড়ে বিষাদিয়া মুখ।
Sunday, January 29, 2017
Saturday, January 28, 2017
রাতপরীদের গুমড়ে ওঠা কান্না,
বুভুক্ষ আধপেটা অর্ধনগ্ন দেহ
রূপোজীবিনীর।
কত বসন্ত ওদের অজানা!!
দেখেনি বিগত বসন্তের বাহারি
মরশুমি ফুলফোঁটা।
আজও শহর তাদের দেখে,
এখনো বাঁকা চোখে,
গণরাজ্যের তিনপয়সার পালায়
তাঁরা নটীবিনোদীনি।
হাজার পুরূষের চোখে
ভোগবিলাসীনি!!!!!
রাত্রির ঘন উতপ্ত নিঃশ্বাস
জানায় নুতন বাঁচার প্রত্যয়,
নটীর ইতিহাসে তাঁরা জীবন্ত
দলীল লেখে!!!!!
--উদয় সাহা
ডিস্কো , ট্যাঙ্গো , সালসা আর বাংলা
আকাশে তখন সূর্য তার চেনা পথে হাঁটে
আমরা ইচ্ছে করেই রংরুটে।
সাইডের বডিতে ভর দিয়ে থাকে অনামিকা
তাকিয়ে থাকে সবুজের সারির দিকে
স্বপ্ন দেখে পরের জন্মে গাছ হবার
স্বপ্ন দেখে উজ্জ্বল মিটমিট আলো হবার
সন্ধ্যে নেমে আসে গাড়িতে
মনে পরে সামার অব নাইন্টি নাইন
অনামিকা স্বপ্ন দেখে জীবনের গ্রীষ্মে ফিরে যাবার
আমার ভাবনার কালি ওকে জাগিয়ে রাখে
আমার প্রতিবাক্যের শেষে ছেদ যতির মত ও
আমার শীর্ণকায় অস্ত্র আমায় স্বপ্ন দেখায় না
না দক্ষিণের না পশ্চিমের
আমি অনুসরণ করে চলি দিগন্তরেখা।
Wednesday, January 25, 2017
আবিরকান্তি পালের কবিতা
আবীর কান্তি পাল
ঘুরতে চাই জানতে চাই নিজের ভেতর !অন্য কোন শহর ,চাই অন্য কোন গ্রাম ,,!
হল পিতা !পিতা মানে হারাতে
ভয় পাই ,আর গ্রামের কাছে
মায়ের আঁচল পাতা !
শর্ত !
ঘুময় নাকি !
হাটতে হাটতে চলে যাই অন্য কোন পান্ডুলিপিতে !
আমি তবুও চরি গাভীর মতো
পিঠে বক নিয়ে !পায়ের নীচে জন্ম ভূমির মাটি !হ্যা গো মায়ায় ভরা মাটি !যার কোলেতে এই কঙ্কাল শুইয়ে রাখি ॥
Sunday, January 22, 2017
বলাই দাসের কবিতা
ধর্মাবতার
বলাই দাস
উত্তরাধিকারে পেয়েছি যৌনতা
পুরুষত্ব নাকি খুবই পোক্ত।
কোমল নাদুসনুদুস চেহারা দেখলেই মাংস খেকো জানোয়ার
কেমন ফনা তুলে দাঁড়ায় কেউটে!
আদিম যুগ গ্রাস করে অন্ধকার।
চার দেয়ালে আলো আসে যখন
কি লজ্জা কি লজ্জা!
মোমবাতি যে এত উজ্জ্বল!
পুরে যাওয়া সলতের শেষ ধোঁয়া
কখন যে দড়ি হয়ে ঝুলছে!
ধর্মাবতার আমি নিরপরাধ।
উত্তরাধিকারের দায়ে আমায়
ফাঁসাবেন না।
Friday, January 20, 2017
মৌসুমী চৌধুরীর কবিতা
সম্পর্ক
মৌসুমী চৌধুরী
গনগনে শরীরী তাপমাত্রায়
উষ্ণায়ন শিমূল তুলোর বালিশে ।
ঘোর লাগা তপ্ত ঘোলাটে চোখে
তোমায় খুঁজি চার দেওয়ালে ।
তোমার চোখের আলো গ্রাস করে রাহু
সূর্য গ্রহণে !
অন্ধ করে রাখে আমায় ।
শুধু মনের অলিন্দে জ্বলে
একটি গভীর বিশ্বাসের আলো ।
তোমার কাছে দাবী ছিলো ----
এক মুঠো রোদেলা দুপুর ,
মৃত্যু থেকে চুরি করা এক মুঠো জীবন ,
একটুখানি সুগন্ধ
যেখানে আমার 'আমিত্ব' বিলীন হয় !
আমার শেষ নিঃশ্বাসেও
তোমার শব্দেরা
ফুল হয়ে ঝরুক ।
একটি কথাই তোমায় বলে যেতে চাই ,
হৃদয় ঘটিত এই হিমোগ্লোবিনই
সম্পর্কের অন্য নাম ।
Thursday, January 19, 2017
কৌশিক চক্রবর্ত্তী
টেলিফোনটা সারাদিন ব্যস্ত কেন? তুমি ছুঁয়ে রেখেছো তাকে? তোমার ছোঁয়া নিয়ে সে কি মিলিয়ে গেছে দিগন্তের কোলে? আমি তবে সেই ছোঁয়াটুকু নিতে পাখি হয়ে নীল চরাচরে ধাই... চলার মুহূর্তে যদি আকাশেও তোমার ডাক আসে উপেক্ষা করবো না, সারা শরীর জুড়ে শুধু সমস্ত আলোছায়া মেখে তোমার বার্তা করে নিই খোদাই! টেলিফোনটা নিরবেই ব্যস্ত বলে... তুমি কি আশ্রয় চেয়েছো তার কাছে? তোমাকে আশ্রয় দিতে কি সে হারিয়েছে সাগরের নীলে? আমি জীবন সেজে অস্তাচলে ঢেকে তলিয়ে যাবো চোখের আড়াল থেকে যখন তোমার বার্তা আসবে, আমায় চাইবে ক্ষণে... আমি বলবো বিষাদ আমি লুকিয়ে আছি গভীর ক্ষতে বাঁচার অন্ত্যমিলে! তাও তো ব্যস্ত তোমার টেলিফোন বাজছে.... বাজছে.... বাজছে.... কে যেন ধরেছে টুঁটি চিপে চিৎকার করে বলছে বেজোনা নিরব থাকো, লুকিয়ে থাকো... যে আকাঙ্ক্ষার বার্তা তুমি যে আতিথ্যের তৃপ্তি তুমি বিলীন হয়েছে সে অনেক দুরে অণুবৃত্তের শেষে! আমি তখনো ডায়াল করি... ফোন তো ঠিক বেজেই চলেছে... বেজেই চলেছে... আমার অব্যক্ত আড়ষ্টতা আমি বলেই চলেছি... বলেই চলেছি... বলেই চলেছি... তুমি কি শুনতে পাচ্ছো?
রাহুল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক
----------------------------------------
রাস্তার বুকে মিটমিটে কেরোসিন যারা কুড়াতে আসে.........তাদের কেন ফুচকার লাইনে দেখি না।
ওখানে কি এয়ারটেলের টাওয়ার নেই.......
থাকলেও বা কি - ফুচকায় প্রশাসনিক পেনশন্ বেশি।বেশ বেশ - গুলতানি পায়রার গপ্পো হোক!!!
শব্দরূপ : রাহুল
Wednesday, January 18, 2017
Tuesday, January 17, 2017
শৌভিক রায়
মৃত্তিকারা জন্ম নিয়েছে...
মৃত্তিকাদের প্রভেদ ছিল না কোন,
এমনটাই জানতাম আমি,
আমার নিজের কাছে নামগোত্রহীন
এই সকল মৃত্তিকারা
জন্ম দিয়েছিল দৈত্যকুলে প্রহ্লাদকে,
আবার কখনো রক্তবীজকে...
জন্ম দেওয়াটাই ছিল তাদের কাজ,
লালন নয়
বোধহয় কিছু অসুবিধে ছিল না,
মৃত্তিকার প্রকারভেদকে দূরে সরিয়ে
লালনের ওপর দায় চাপাতে পারতাম
পৃথক আদুরে নামের মতো
প্রকারভেদে বিশ্বাসী
চাইছে কোন নব্য ইতিহাস....