সুপ্রীতি বর্মনের দু'টি কবিতা
অলেখ্য জগত
চোখের ঘুম আঁখির কাজলের স্বপ্নের ছায়া।
ললাট চন্দনে চর্চিত সোহাগ কুমকুম।
স্তনযুগলশোভিত আলংকারিক আভূষণ।
পায়ের লাল আলতার ছাপ প্রিয়র মনে বাসা বাঁধে।
তোমার চুম্বনে পাই আমি খুঁজে নিজেকে।
এক অলেখ্য জগত।
ছুঁতে চাই তোমার আকাশ।
বুকে মাথা রেখে গভীর ঘুমে
আমার চন্দ্রমার একা জোৎস্নার রাত।
একচিলতে ছাদ আমার ক্ষুদ্র পৃথিবী।
ঝিঁ ঝিঁর উচ্চৈস্বরে।
খুঁজে নিতে চাই আরেকটিবার আমার ক্ষুদ্র সুখ।
আমি ভালোবাসা সদা অক্ষত আমার স্বামীর বুকে।
কামনা প্রিয়া তোমার চোখে।
আদরে দুষ্টুমিষ্টি তোমার ছলনাতে।
প্রেমিকা শৈশবের ছেলেখেলামি তোর সাথে।
বুকের কোনে নিখাদ প্রেম
আমার তোর সাথে সখ্যতার সূচনাতে।
জোরা পদ্ম তোর ভুরুযুগল
আমার ওষ্ঠের চুম্বনে শিশিরসিক্ত।
প্রেমে যৌনতায় অপ্রেমে শাসানি চোখরাঙানিতে।
তোর অঙ্গুলি চারনায় গড়িয়ে পড়ি আসমুদ্রহিমাচলে।
ভেসে তলিয়ে যাই অতল গভীরে।
একবার ঈষৎ হাস্যে তাকালেই তুমি
আমি পেয়ে যাবো অরূপ মনিকাঞ্চন।
খসে পড়ো
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরকালের তরে কেন পাইনা।
খসে পড়ো আমার অক্ষিসঞ্চালনে দিব্য জ্যোতি আমার হৃদকমলে।
সরসি নয়ন কেন কাজল ভ্রমরা।
. তোমার বিরহের দিন গুনে আর পথ চেয়ে।
বসে বসে ভাবি তোমার সংস্পর্শ মোর হৃদয়ে আঁকি।
যেথা একদা ফেলেছিলে ছাপ চুপিচুপি খেলেছিলে লুকোচুরি।
তারে ধরি ধরি করবো ভাবি।
ধরতে গেলে আর পারিনা।
রৌদ্রদগ্ধ উষ্ণ কানন নির্জন প্রান্তর কুঞ্জউপবনে শ্যামবিহারী।
বিহনে একেলা বেঁধেছে সুর সঙ্গপনে পূজিব তারে একাকী।
ছুটে আসি ঘরদোরের সকল কর্ম অবসাদ ও আলস্যের চাদরে মুড়ে।
লোকাচারে পরিত্যক্ত বক্র উঠান মোর পায়ে পায়ে ধরে।
বলতে চাই সখী আর যেও না গো শূন্য করে আমাকে একলা ফেলে
কিন্তু মোর কাছে তুমি সবথেকে দামী খসে পড়েছো আমার তরে
ঐ বৃহৎ বটবৃক্ষের তরুচ্ছায়াতলে।
স্বামী বক্ষে মাথা রেখে আলাপচারিতায় মগ্ন তোর প্রেয়সী
একটা শীতলতা ছুঁয়ে যায় সহসা আমার স্তনযুগলপ্রান্তে।
তোমার বক্ষের পর্বতমাঝে অখিল নিমগ্ন সরসি নাভিমূলে একরত্তি সহবাস।
খসে পড়ে আমাকে আরো বেশি আদ্র চায় করতে।
No comments:
Post a Comment