ভূমিকা
দেবব্রত তঁাতী
কেউ গল্পে আসতে চাইনা । সবাই কবিতায় বেঁচে থাকতে চাই । তাই কাব্যিক উপন্যাসের নায়িকাও নিজের নামের আক্ষরিক অর্থ নেই । তাই বোধ হয় রূপক নামে পরিচিত হতে চাই কবির কাছে । পাঠকের কাছে । মেয়েটি বন্য হরিণী হতে পারতো কিংবা পেখম তুলে নাচতে পারতো ময়ূরীর মতো । কে জানতো সে সূর্যের তেজ বুকে নিয়ে সূর্যানি নামে কাছে এসে পুড়িয়ে ফেলতে চাইবে যত ঋণাত্মক চিন্তা ভাবনার সেই ছেলেকে । কিন্তু তাও না হয়ে শেষে সৌর্হাযা নামে এসে আড়ালে সহ্য করবে সবকিছু । সে কি আদৌ সহ্য করার জন্য জন্মেছে ? না এই সমাজের অন্য আর এক দিক সে দেখাতে চাই ? পৃথিবীও তো নীরবে সব কিছু সহ্য করছে । মুখ ফুটে কিছুই বলেনা । এটা আমরা ভাবি বাইরের টা । আসলে পৃথিবীও প্রতিবাদ জানায় । তার শক্তি অসীম । তাই ঝড়-বৃষ্টি , সুনামি ভুমিকম্প এমন প্রাকিতিক নিয়মে ভেঙ্গে দেয় জীবকুলের অহংকার । এদিকে উপন্যাসের মেয়েটিও কি পারবে সমস্থ কিছু বেড়াজাল টপকে সমাজকে মানুষ করতে ? দেখা যাক পা বাড়িয়ে এগিয়ে এগিয়ে যায় নাকি দু পা পিছিয়ে রেখে কবিতা অসম্পূর্ণ রাখতে চাই । কারন আমরা তো এখন ধংসের মুখোমুখি । কাউকে জানতে চেয়ে বসলে সে খুব বিপদে পড়ে । দু দণ্ড কি শান্তি মিলবে কথায় কথায় ? ঝরনা কি জন্ম নেবে ? – এই বসন্তের শেষে , কারন আগামিদিনে প্রখর উত্তাপ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য ।
No comments:
Post a Comment