।।পুস্তক পর্যালোচনা।।
কাব্যগ্রন্থ- আমার রূপনগরের লাল ওড়না
কবি- সঞ্জয় সোম
প্রকাশক- কর্ণিয়া প্রকাশন
মূল্য- চল্লিশ টাকা
আলোচক- স্বরূপ গুপ্ত
কাব্যগ্রন্থ- আমার রূপনগরের লাল ওড়না
কবি- সঞ্জয় সোম
প্রকাশক- কর্ণিয়া প্রকাশন
মূল্য- চল্লিশ টাকা
আলোচক- স্বরূপ গুপ্ত
কোচবিহার বইমেলা উপলক্ষে "কর্ণিয়া প্রকাশন" প্রকাশ করেছেন সঞ্জয় সোমের "আমার রূপনগরে লাল ওড়না"।
বহুদিন ধরেই কবিতার জগতে বিচরন কবি সঞ্জয় সোমের। তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে ও হচ্ছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। পেপারব্যাক সংস্করণ এই কাব্যগ্রন্থে স্থান পেয়েছে শিরোনামহীন চব্বিশটি কবিতা। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে বইটি কবিতার একটি সিরিজ আর সেই সিরিজের নাম "আমার রূপনগরে লাল ওড়না"। সিরিজের নামই প্রমাণ করে কবির মানস জগতে বিচরণকারী কোন এক নারীর জন্যই কবির নিবেদন এই কবিতাগুলি।
সিরিজের শুরুতেই কবি "কিছু কথা"য় অকপট স্বীকারও করেন তা। কবির নিজের ভাষায় "গৃহস্থ কবির বিরহ, বিদ্রোহ ও বসন্ত পায়" আর তাঁর "বিভাবের" উৎসে থাকে নারীর মুখ যে মুখ দেখে তাঁর প্রেম আসে। এই সহজ কিন্তু অত্যন্ত কঠিন উচ্চারণকে অকপটে স্বীকার করার দুঃসাহস দেখিয়েই কবিতার সিরিজে তাঁর মুনসীয়ানা দেখান, খেলা করেন শব্দের সাথে এবং ছেঁকে আনেন তাঁর মানসজগতে থেকে যাওয়া প্রেমসঞ্জাত শব্দসমূহ এবং কল্পনার মিশেলে প্রেমের এক অদ্ভুত স্বীকারোক্তি। এই সাহস দেখানোটাই কবিকে নতুনভাবে তুলে ধরে পাঠককূলের কাছে।
প্রেমের কবিতা লেখা, ব্যক্তিগত ভাবে, অত্যন্ত কঠিন বলেই মনে করি। কবিতার বিষয় হিসেবে "প্রেম" সবচেয়ে পুরোন বিষয়। প্রেম নিয়ে লেখার সংখ্যাও অনেক। আর সবচেয়ে বিস্ময়কর হ'ল, এই বিষয়ে লেখেন নি এরকম কবি খুঁজে পাওয়াও যাবে না হয়তো। তাই এই বহুল লিখিত একটি বিষয়কে নিয়ে লেখাটা নিঃসন্দেহে একটা চ্যালেঞ্জের মতোই। কেননা কবিতা এক অর্থে coinage বা শব্দচয়ন। একটু তলিয়ে ভাবলে নিজেরাই বুঝতে পারবো যে বিষয় হিসেবে নতুন কিছু আর লেখার জন্য বাকী নেই। সব বিষয়েই লেখা হয়ে গেছে। বিষয় বলতে অবশ্যই মানবজীবনের চিরন্তন শ্বাশত ব্যাপারগুলিকেই বোঝাতে চাইছি। কেননা মহৎ সৃষ্টি সবসময় শ্বাশত বিষয়কে নিয়েই হয়। তাই প্রেমের মতো একটি অত্যন্ত প্রাচীন একটি বিষয়কে নিয়ে লিখতে গেলে সাবধান থাকতেই হয়। শব্দচয়ন এক্ষেত্রে এমনভাবেই করা দরকার যাতে অনুসরণ বা অনুকরণের তকমা না লেগে যায়। সচেতন পাঠক ধরে ফেলেন সহজেই সেই অনুকৃতি। আবার প্রেম আবেগ সৃষ্ট বলেই অনেক সময়েই কবির অচেতনেই এমন শব্দ ব্যবহার এসে যায় যা পূর্ববর্তী কেউ করে গেছেন। সচেতনভাবে আর যাই হ'ক আবেগ প্রকাশ করা যায় না। সচেতনভাবে লেখা মানেই মস্তিষ্কের প্রয়োগ। তাই বারবার বলছি প্রেম বিষয় হিসেবে অত্যন্ত কঠিন। আবার আধুনিক কবিতায় আবেগের সাথে বৌদ্ধিকতার মেলবন্ধন না ঘটলে পাঠকের কাছে কবিতা কবিতা হয়ে ওঠে না। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে কবি সঞ্জয় সোমের "কাল ছিল চুড়িদার আজ পড়েছিস শাড়ি"( কবিতা সংখ্যা-দুই), "কোমর পর্যন্ত এক বিনুনি দুলিয়ে তুই হাঁটিস/ পাগল হয়ে হাঁটি তোর পেছন পেছন" (কবিতা সংখ্যা- তিন), "তোর মুখ দেখে/ চাঁদ লুটিয়েছে তোর উপর" (কবিতা সংখ্যা- পাঁচ), "তুই শুধু আমাদের জন্য সাজবি/ স্নায়ুতন্ত্রে গেঁথে নেব তোর মুখ" (কবিতা সংখ্যা- নয়), "তোর ডাকনাম দিলাম অন্তঃস্বর" (কবিতা সংখ্যা- আঠারো) ইত্যাদি লাইনগুলি আধুনিকতার সাথে সাথে চিরন্তন বিষয়টিকে অনায়াসে তুলে ধরে।
"প্রত্নপ্রেম", "মুখ গুঁজে থাকি তোর বুকে", "নীল ওড়নার কুমন্ত্র", "ঋতুবাঁক", "গোপন আবির", "শরীর যেমন থাকে", "তোর উষ্ণ উপত্যকা" ইত্যাদি শব্দবন্ধ যথেষ্ট বলিষ্ঠ এবং sensuous এবং কবির মানসিক বলিষ্ঠতার পরিচয় বহন করছে। ভালো লাগে "শাড়ির খোলে সময়ের হাওয়া আঠা হয়ে বসে", "রোহিনী তারা হয়ে ওঠা তোর দুটো চোখ", "প্রণয়পাতায় ফুরিয়ে যায় এক ঋতু", "প্রেম আমাদের শুদ্ধ করে" ইত্যাদি প্রকাশভঙ্গিমা। "বিষ বাতাস লাগছে গায়ে, জল হারিয়েছি গতি", "ভাল কাজ আমাদের বিশেষ নেই", "আমাদের শব্দে রতির গন্ধ যেমন আছে" ইত্যাদি শাণিত প্রকাশে কবি প্রকাশ করেন তাঁর সমাজমনস্কতা। তবে পরের দিকের কবিতাগুলি আমার ধারনায় আগেরগুলির তুলনায় খানিকটা অনুজ্জ্বল। হতে পারে একই বিষয়ে পড়তে পড়তে এবং একই প্রকাশভঙ্গীর পরিচয় নিতে নিতে একটু একঘেয়েমি আসে! তবে এরকম কবিতার সংখ্যা একদমই নগন্য। অন্য কবিতাগুলির তুল্যমূল্য বিচারে অবহেলা করা যায় সহজেই। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু কবিতায় শব্দের আকার ছোট হয়ে যাওয়াটা প্রকাশককে লক্ষ্য রাখতে হবে (সাত, এগারো, কুড়ি, বাইশ)। কোন বইয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই ছোটখাটো বিষয়গুলি। প্রচ্ছদের ক্ষেত্রেও একই কথা বলবো। পুরো পাতা জুড়ে না হ'ক আরও খানিকটা জায়গা ব্যবহার করা যেতে পারতো বলে মনে হচ্ছে। যদিও প্রচ্ছদ ছবিতে অভিনবত্ব আছে খানিকটা। তবে প্রকাশনার জগতে কাজ করতে করতেই অভিজ্ঞতা বাড়ে আর ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে বলতে পারি এতো কমবয়সে প্রকাশনার গুরু দায়িত্ব তুলে নেওয়াটাও প্রকাশকের সাহসকেই প্রকাশ করছে। বই ছাপলে খরচা হয়। প্রকাশককেই সেটা দিতে হয়। কবে বই বিক্রী হয়ে টাকা উঠবে সেটা ভগবানও জানেন না। বিশেষ ক'রে কবিতার বই। মূল্য মাত্র চল্লিশ টাকা হলেও আমরা বেশীরভাগই বই কিনি না। এটা মাথায় রেখেই প্রকাশনার কাজটা করতে হয়।
সবশেষে, কবি সঞ্জয় সোম লিখে যান আরও। তাঁর লেখায় প্রাণিত হ'ক আগামী প্রজন্ম। তবে আবেদন কেবলমাত্র আত্মরতিতেই যেন আটকে না থাকে তাঁর সৃষ্টি। তিনি নিজেই বলেছেন "ভনিতা ভন্ডামির কোন লেখা লিখি না।" আমরাও তাই চাই। এই কাব্যগ্রন্থের সাহসিকতা তাঁর আগামী লেখাগুলিতে ছড়িয়ে পড়ুক। সমৃদ্ধ হ'ক সাহিত্য।
বহুদিন ধরেই কবিতার জগতে বিচরন কবি সঞ্জয় সোমের। তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে ও হচ্ছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। পেপারব্যাক সংস্করণ এই কাব্যগ্রন্থে স্থান পেয়েছে শিরোনামহীন চব্বিশটি কবিতা। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে বইটি কবিতার একটি সিরিজ আর সেই সিরিজের নাম "আমার রূপনগরে লাল ওড়না"। সিরিজের নামই প্রমাণ করে কবির মানস জগতে বিচরণকারী কোন এক নারীর জন্যই কবির নিবেদন এই কবিতাগুলি।
সিরিজের শুরুতেই কবি "কিছু কথা"য় অকপট স্বীকারও করেন তা। কবির নিজের ভাষায় "গৃহস্থ কবির বিরহ, বিদ্রোহ ও বসন্ত পায়" আর তাঁর "বিভাবের" উৎসে থাকে নারীর মুখ যে মুখ দেখে তাঁর প্রেম আসে। এই সহজ কিন্তু অত্যন্ত কঠিন উচ্চারণকে অকপটে স্বীকার করার দুঃসাহস দেখিয়েই কবিতার সিরিজে তাঁর মুনসীয়ানা দেখান, খেলা করেন শব্দের সাথে এবং ছেঁকে আনেন তাঁর মানসজগতে থেকে যাওয়া প্রেমসঞ্জাত শব্দসমূহ এবং কল্পনার মিশেলে প্রেমের এক অদ্ভুত স্বীকারোক্তি। এই সাহস দেখানোটাই কবিকে নতুনভাবে তুলে ধরে পাঠককূলের কাছে।
প্রেমের কবিতা লেখা, ব্যক্তিগত ভাবে, অত্যন্ত কঠিন বলেই মনে করি। কবিতার বিষয় হিসেবে "প্রেম" সবচেয়ে পুরোন বিষয়। প্রেম নিয়ে লেখার সংখ্যাও অনেক। আর সবচেয়ে বিস্ময়কর হ'ল, এই বিষয়ে লেখেন নি এরকম কবি খুঁজে পাওয়াও যাবে না হয়তো। তাই এই বহুল লিখিত একটি বিষয়কে নিয়ে লেখাটা নিঃসন্দেহে একটা চ্যালেঞ্জের মতোই। কেননা কবিতা এক অর্থে coinage বা শব্দচয়ন। একটু তলিয়ে ভাবলে নিজেরাই বুঝতে পারবো যে বিষয় হিসেবে নতুন কিছু আর লেখার জন্য বাকী নেই। সব বিষয়েই লেখা হয়ে গেছে। বিষয় বলতে অবশ্যই মানবজীবনের চিরন্তন শ্বাশত ব্যাপারগুলিকেই বোঝাতে চাইছি। কেননা মহৎ সৃষ্টি সবসময় শ্বাশত বিষয়কে নিয়েই হয়। তাই প্রেমের মতো একটি অত্যন্ত প্রাচীন একটি বিষয়কে নিয়ে লিখতে গেলে সাবধান থাকতেই হয়। শব্দচয়ন এক্ষেত্রে এমনভাবেই করা দরকার যাতে অনুসরণ বা অনুকরণের তকমা না লেগে যায়। সচেতন পাঠক ধরে ফেলেন সহজেই সেই অনুকৃতি। আবার প্রেম আবেগ সৃষ্ট বলেই অনেক সময়েই কবির অচেতনেই এমন শব্দ ব্যবহার এসে যায় যা পূর্ববর্তী কেউ করে গেছেন। সচেতনভাবে আর যাই হ'ক আবেগ প্রকাশ করা যায় না। সচেতনভাবে লেখা মানেই মস্তিষ্কের প্রয়োগ। তাই বারবার বলছি প্রেম বিষয় হিসেবে অত্যন্ত কঠিন। আবার আধুনিক কবিতায় আবেগের সাথে বৌদ্ধিকতার মেলবন্ধন না ঘটলে পাঠকের কাছে কবিতা কবিতা হয়ে ওঠে না। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে কবি সঞ্জয় সোমের "কাল ছিল চুড়িদার আজ পড়েছিস শাড়ি"( কবিতা সংখ্যা-দুই), "কোমর পর্যন্ত এক বিনুনি দুলিয়ে তুই হাঁটিস/ পাগল হয়ে হাঁটি তোর পেছন পেছন" (কবিতা সংখ্যা- তিন), "তোর মুখ দেখে/ চাঁদ লুটিয়েছে তোর উপর" (কবিতা সংখ্যা- পাঁচ), "তুই শুধু আমাদের জন্য সাজবি/ স্নায়ুতন্ত্রে গেঁথে নেব তোর মুখ" (কবিতা সংখ্যা- নয়), "তোর ডাকনাম দিলাম অন্তঃস্বর" (কবিতা সংখ্যা- আঠারো) ইত্যাদি লাইনগুলি আধুনিকতার সাথে সাথে চিরন্তন বিষয়টিকে অনায়াসে তুলে ধরে।
"প্রত্নপ্রেম", "মুখ গুঁজে থাকি তোর বুকে", "নীল ওড়নার কুমন্ত্র", "ঋতুবাঁক", "গোপন আবির", "শরীর যেমন থাকে", "তোর উষ্ণ উপত্যকা" ইত্যাদি শব্দবন্ধ যথেষ্ট বলিষ্ঠ এবং sensuous এবং কবির মানসিক বলিষ্ঠতার পরিচয় বহন করছে। ভালো লাগে "শাড়ির খোলে সময়ের হাওয়া আঠা হয়ে বসে", "রোহিনী তারা হয়ে ওঠা তোর দুটো চোখ", "প্রণয়পাতায় ফুরিয়ে যায় এক ঋতু", "প্রেম আমাদের শুদ্ধ করে" ইত্যাদি প্রকাশভঙ্গিমা। "বিষ বাতাস লাগছে গায়ে, জল হারিয়েছি গতি", "ভাল কাজ আমাদের বিশেষ নেই", "আমাদের শব্দে রতির গন্ধ যেমন আছে" ইত্যাদি শাণিত প্রকাশে কবি প্রকাশ করেন তাঁর সমাজমনস্কতা। তবে পরের দিকের কবিতাগুলি আমার ধারনায় আগেরগুলির তুলনায় খানিকটা অনুজ্জ্বল। হতে পারে একই বিষয়ে পড়তে পড়তে এবং একই প্রকাশভঙ্গীর পরিচয় নিতে নিতে একটু একঘেয়েমি আসে! তবে এরকম কবিতার সংখ্যা একদমই নগন্য। অন্য কবিতাগুলির তুল্যমূল্য বিচারে অবহেলা করা যায় সহজেই। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু কবিতায় শব্দের আকার ছোট হয়ে যাওয়াটা প্রকাশককে লক্ষ্য রাখতে হবে (সাত, এগারো, কুড়ি, বাইশ)। কোন বইয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই ছোটখাটো বিষয়গুলি। প্রচ্ছদের ক্ষেত্রেও একই কথা বলবো। পুরো পাতা জুড়ে না হ'ক আরও খানিকটা জায়গা ব্যবহার করা যেতে পারতো বলে মনে হচ্ছে। যদিও প্রচ্ছদ ছবিতে অভিনবত্ব আছে খানিকটা। তবে প্রকাশনার জগতে কাজ করতে করতেই অভিজ্ঞতা বাড়ে আর ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে বলতে পারি এতো কমবয়সে প্রকাশনার গুরু দায়িত্ব তুলে নেওয়াটাও প্রকাশকের সাহসকেই প্রকাশ করছে। বই ছাপলে খরচা হয়। প্রকাশককেই সেটা দিতে হয়। কবে বই বিক্রী হয়ে টাকা উঠবে সেটা ভগবানও জানেন না। বিশেষ ক'রে কবিতার বই। মূল্য মাত্র চল্লিশ টাকা হলেও আমরা বেশীরভাগই বই কিনি না। এটা মাথায় রেখেই প্রকাশনার কাজটা করতে হয়।
সবশেষে, কবি সঞ্জয় সোম লিখে যান আরও। তাঁর লেখায় প্রাণিত হ'ক আগামী প্রজন্ম। তবে আবেদন কেবলমাত্র আত্মরতিতেই যেন আটকে না থাকে তাঁর সৃষ্টি। তিনি নিজেই বলেছেন "ভনিতা ভন্ডামির কোন লেখা লিখি না।" আমরাও তাই চাই। এই কাব্যগ্রন্থের সাহসিকতা তাঁর আগামী লেখাগুলিতে ছড়িয়ে পড়ুক। সমৃদ্ধ হ'ক সাহিত্য।
No comments:
Post a Comment