ঝুলন পূর্নিমা
সুপ্রীতি বর্মন
খেলতে লেগেছে লুকোচুরি,
মালঞ্চ বনে কাঞ্চন কামিনীর,
দোলনায় তুমি আমি।
গা ঠেঁসাঠিসি, প্রচ্ছদে ভ্রম,
কৃষ্ণ রাধিকা সঙ্গপনে রাসলীলা।।
অঝোরে পুষ্পবৃষ্টি উপঢৌকন গান্ধর্ব বিবাহে।।
পুষ্প চয়নে গাঁথতে লেগেছি মালা,
প্রতিশ্রুতির অঙ্গীকার মালাবদল।।
যৌতুক তোমাকে সময় আবদ্ধ ঘড়ি ।।
শোভা বর্ধনে তোমার কব্জির,
মালঞ্চ বনে উচাটন প্রেমিকা।।
সর্বস্বান্ত হতে লেগেছে,
তোমাকে রাখতে সুখে।।
যেন তেন প্রকারেন,
বানভাসি সময় বয়ে যায় ধরতে অক্ষম,
তোমার মুষ্টি।।
তোমার চোখে চোখ দিয়ে দেখেছি,
সালংকারা রূপসী।।
দীর্ঘশ্বাস সংকোচনশীল গহ্বর,
এই বুঝি সময় ফসকে যায়।।
তোমার আনমনা সুর রন্ধ্রে তোলে,
সোহাগের ঝড় ।।
আনমনা পাতার খসখস,
জড়িয়ে জাপটে আলিঙ্গনে,
কামিনী কাঞ্চনের ডালে বিষাক্ত সর্পের ফোঁসফোঁস।।
ঘন ঘন নিঃশ্বাসের আনাগোনায় মুখভার মুখচন্দ্রিমার,
একরাশ কেশরাশি মেঘের আচ্ছাদনে।।
শুধু আজ লুকাতে চায়,
প্রশয় শুধু তোমাকে ছোঁয়া।।
তোমার খোলা সমুদ্রের বৈতরনীর গর্ভগৃহে,
আশ্রয় আমার।।
যেন স্নেহধন্যা মৃন্ময়ীর অপরূপ সৃষ্টি।।
দুচোখ ভরে দেখতে চায় কুমারটুলি।।
মালঞ্চ আজ প্রস্ফুটিত ডালে ডালে,
অপরূপ শোভা বসন্ত তিলোত্তমা,
প্রনয়াষ্পদে ভব্য খোলা আটচালা।
ঝরে পরা পুষ্প তোমার পত্রে,
গা ঘষে কেটে গেছে যে বসন্তপ্রলাপ,
কখন মুখ শুকনো করে হয়ে যেও না,
জীবনস্মৃতি ডায়েরীর পাতায় মুখ গুঁজে,
প্রাক্তন চোখের জলে।।
শুধু এইটুকু দাও কথা।
না হলে তোমার ছায়ায়,
ফেলেছি যে অপরূপ কায়া,
অভিশপ্ত খাঁ খাঁ নরকের,
অগ্নিতে হবে দগ্ধ অমাবস্যা।।
ঝুলন পূর্নিমা সুদুরপরাহত,
ধোঁয়াশা মধুচন্দ্রিমা।।
No comments:
Post a Comment