Saturday, September 23, 2017



























মশারির বিনিদ্র রজনী একলা চাঁদ।
সুপ্রীতি বর্মন


মশারি টানটান অবসাদে রিক্ত হৃদয়।অব্যক্ত যন্ত্রনা বুকের বাঁদিক ধকধক। অভিমানে ছলছল চোখ শূলব্যথা কোমর থেকে তলপেটে চেপে ধরে।অস্থিরমতি উচাটন ছটফট বিনিদ্র রজনী যাপনচিত্র।অভুক্ত ঘুম রেখাচিত্র অঙ্কনে প্রেয়সীর মুখ আর আলিঙ্গনে চোরাসুখ।তোমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গে জড়ায়ে গতিশীলতায় প্রানস্পন্দন আলোর ঝিকমিক উজান গাঙে।এই একটু আগেও পড়েছিল নদীর বুকে আদিগন্ত চরা এখন স্রোতপ্রবাহে খোলা নদীমুখ অবাধ্য আস্কারা এলোপাথারি ছোঁয়া। আস্কারায় বুনতে লেগেছে তোমার ছেঁড়া কাঁথা নকসী কাঁথার মাঠ।আমার সাতরঙা প্রজাপতি স্বপ্নিল রামধনুর রঙে নিজেকে চুবিয়ে ছত্রে ছত্রে এঁটো মৌখিক প্রনয়ালাপে দিয়েছে প্রেমের প্রতিশ্রুতি।খোলা চোখে তুমি রাতজাগা পাখি।মাঝরাতে নিশুতি পাড়া আর ঘরদোর আমাদের আলাপচারিতায় কাকজ্যোৎস্না ভ্রমে ভোরের ডাক।ফোনে জাগে নতুন হৃদস্পন্দন আমি এসেছি তোলো আমায় লাগাও পাল আমার খোলা হাওয়া।বিনিদ্র রজনী কোলবালিশে ঠেসে আধশোওয়া কনুইয়ে ভর স্বপ্নভ্রমে দ্বিচারিতা তুমি পাশে শুয়ে।রাশভারী হাত মারে বর্শার ছিপ এলায়িত নদীবক্ষে এলোপাথারি সান্নিধ্য সুখ মুখপানে চেয়ে বলি ওগো শুনছো কি যে কর তুমি।ধামসা মাদলে বুকে আনচান সানাইয়ের সুরে আগমনী নববধূ কুঁচবরন কন্যে ঘর করবে আলো। আধডোবা মন তোমার অধরা ওষ্ঠের স্পর্শে চালচুলোহীন ভাঙা একতলা হুড়মুড়িয়ে সাতমহলা গগনচুম্বী। হাত ধরে ঠিক পৌঁছে যাবো।তোমাকে মানানো অভিমান, ক্লান্তি মেখে একেবারে নিঃশ্চুপ বলো বলো কি হয়েছে।সাতসকালে শত কষ্ট মুখ বুজে রাজকার্য্যে ছোটো নেই কোন আসার প্রতিশ্রুতি শুধু ফোনেই হবে আমাদের।গোপনতার আরেক ছায়া আলাপন সোহাগের সান্নিধ্য সুখ।সামনা সামনি ঝপাৎ শব্দে ছায়াপথে সুখ মড়ক লাগা গাছগাছালির ফাঁকে চল না পার্কে কিংবা কোন প্রমোদ ভ্রমনে নাগরদোলায়।ঘুরবো শক্ত করে তোমার হাত ধরে হাজার দুর্বিপাকের ঘোরপথে সোহাগের সুখ।মশারীর ভেতরে অভীপ্সা তোমার সাথে নিদ্রা তুমি এখন অলীক সুখ চেনা শব্দ শূন্যতায় ভর।

আমি এখন একলা জীবন।নিঃসঙ্গ শূন্যতায় জ্যোৎস্নায় মাখামাখি মধুচন্দ্রিমা কেমন করে কাটে বলো একলা বিরহের বেলা।তবুও এমন বেহায়া প্রতীক্ষায় বসে প্রহর গোনে কখন শুনবো তোমার পদধ্বনি।ঝলসে উঠে সহবাসে আলো আঁধারের খেলা ধরাছোঁয়ার বাইরে। জীবনবৃত্ত জটিল উপপাদ্য তোমা ভোগ্য সুখে।আমিও কান্না হাসি মান অভিমান টুকে রাখি ফোনের খাতায়।আগামী দিনের উজ্জ্বল স্মৃতি কেটেছে কত বিনিদ্র রজনী চাদরের আবদারে।মশারির বাহুডোরের ফাঁদে কুমুদিনী তুমি দিয়েছো ধরা।তোমার উষ্ণ প্রসবনে দুগ্ধফেনিল সমুদ্রের আদিগন্ত প্রশয় আর ঠোঁটের আগুনকে বুকে ধরে পলকে ছারখার আমার আধডোবা মন।রাশ ছেড়ে নিজেকে ভাসায় প্রেমে তোমাকে নিয়ে করে যায় প্রতি রাতে ছেলেখেলা।তোমার সান্নিধ্যে নজর যেন না লাগে তাই সাঁঝের কাজল একটু নিয়ে সহাস্য রূপসী তোমার ঠোঁটে বসাই তিল যদিও আমার আবদার নিতান্তই আটপৌরে।কখন পাশ ফিরে শুয়ে তোমাকে অনর্গল শুনতে থেকে আলিঙ্গন সোহাগ ভ্রমে কেটে গেছে রাত টের আমি পাইনি।আধডোবা মনে ফোন খোলা শরীরে আস্কারায় তোমার সান্নিধ্য সুখে মুখচোরা। চুপটি করে পড়ে আছে কোলবালিশে প্রতীক্ষার পলাশরাঙার ভোরে।তুমি ঘুম ভাঙতে নারাজ পেয়েছিলে চাঁদ তোমার ভাঙা ঘরের উঠানে।তাই পাশ ফিরে আবার শোও তুমি আমাকে আপন করে....

No comments:

Post a Comment