অবশেষে থাকে কিছু
কুমকুম ঘোষ
পিছলে যাওয়া ভোরের আলো
নারকেলের মাথা ছুঁয়ে
সটান নেমে এলো রূপসী ওষ্ঠে;
সোনালী একটা মাছির মত।
তর্জনী উঁচিয়ে শাসনের ভঙ্গী
উপমা সম স্থির চিত্র।
স্বল্প-বৃত্তে ঘুরে চলা যাপনের চাকা;
চিত্র বদল হয়।
মাছিটা এখন ঘুর ঘুর করছে শুকনো ঠোঁটের
মাঝখানে;
ছবিতে এখন কিছু ফেলা-ছড়া কথা আর চিতাভস্ম পরে আছে।
( উত্তর পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসে জলধারা
পুষ্পে পত্রে সবুজ হয়ে ওঠে অরণ্য ;
সঙ্গমরত প্রণয় প্রণয়ীরা দলছুট প্রজাপতির
মত ছন্দবদ্ধ এবং বন্য।
বিকেলের স্মিত আলোয় গা ভিজিয়ে নদী, বৃক্ষ এবং পশুপাখির দল সমবেত গল্প - আসর জমিয়ে তোলে ; আকাশে তখন দু একটা নক্ষত্রের কানাকানি শোনা যায়।
অপূর্ব অস্তরাগে আক্রান্ত বুড়ো বটগাছ মৃদু বাতাসে হেলে দুলে উপাচার সাজিয়ে রাখে আসন্ন শর্বরীর জন্য। মাধুকরী সাঙ্গ করে ক্লান্ত বাউলটা তাকে সঙ্গ দেয়, খানিক জিরিয়েও নেয়; দু- হাত আকাশের দিকে তুলে ধরে, দ্রবীভূত আত্মমগ্নতায়।
অবশেষে, অবশেষে বৃষ্টিরা ধারাপাত হয়ে ঝরে পড়ে ; কিছুটা সবুজ পাতায় কিছুটা দগ্ধ হৃদয়ের খোলা খাতায়।)
(মুজনাই অনলাইন আষাঢ় সংখ্যা)
No comments:
Post a Comment