`এই পথ যদি না শেষ হয়`
জীবনপথে চলতে গিয়ে হোঁচট খেতে খেতেই সন্ধান পাই নতুন নতুন পথের -----
গৌতমেন্দু নন্দী
সেই পথের কোথায় শুরু আর কোথায় শেষ কেউ জানিনা। তবুও চলতেই হয়। "জীবন পুরের" পথিক হয়ে জন্মের পর থেকেই সেই পথ চলা শুরু।
কখনও আনন্দ কখনও বিষাদ, কখনও ক্লান্তি কখনও রোমাঞ্চ। চলার পথে ক্লান্তি এলে চলতে চলতেই উচ্চারণ করি " পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহ ভরা কোলে তব মা গো বলো কবে শীতল হবে...কতো দূর আর কতো দূর বলো মা...... যতই দূঃখ তুমি দেবে দাও তবু জানি কোলে শেষে তুমি টেনে নাও
মা গো তুমি ছাড়া এ আঁধারে গতি নাই তোমারে কেমনে ভুলে রবো......"
জীবন মানেই পথ। তাই জীবনের সংগীতের মতোই চলমান পথেরও সংগীত আছে। পথের গানই পথ চলার মন্ত্র হয়ে দেখা দেয়। তাইতো আমরা সবাই চির পথিক। বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়েই এই পরিক্রমন্য পথের মধ্যে ধ্বনিত হয়েছে অনন্ত জীবনের মহাসংগীত।
এই পথই আবার আহ্বান জানায় বন্ধুত্বের, সহযোগীর " পথে এবার নামো সাথী, পথেই হবে এ পথ চেনা...." কখনও আবার এভাবেও আহ্বান জানায়। " পথ দিয়ে কে যায়গো চলে ডাক দিয়ে সে যায় ......" আবার আমরাই উচ্চারণ করি " পথ হারাব বলেই এবার পথে নেমেছি ......"। আমরাই বলি ,
" যতো মত ততো পথ.."
আমাদের জীবনের অনুষঙ্গে পথের এই দাবি বিভিন্ন ভাবেই জড়িয়ে আছে। সাধারণ চলার পথেও
এই ভালোলাগা, মুগ্ধতার কারণগুলোও পূর্ব নির্ধারিত থাকেনা। পথের পরিসরই দৃষ্টিনন্দন পথচলার মাপকাঠি যে হবেই তা নয়। জীবনের বাঁকে বাঁকে যেমন লুকিয়ে থাকে , আত্মগোপন করে থাকে অপার বিস্ময়, তেমনি অপরিসর পথের কোন বাঁকে কোন্ মুগ্ধতা, বিস্ময়ের হঠাৎ আবির্ভাব ঘটবে তাও পূর্ব নির্ধারিত নয়। চমক যেমন থাকতে পারে তেমনি থাকতে পারে অবাঞ্ছিত, অপ্রত্যাশিত প্রত্যাঘাত। এই বাঁক বদলের, অপরিসর বা প্রশস্থ পথের কোনায় কোনায় জীবন নাট্যের পালাবদলের কাহিনীর রোমাঞ্চকর আবির্ভাব। তাঁকে প্রশ্রয় বা উপেক্ষাই হলো এগিয়ে চলা। আমরা বলি, "চরৈবেতি চরৈবেতি....."
কখনও রোমান্সের সুর মিশিয়ে উচ্চারণ করি---
" এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হোত তুমি বলোতো...!!"
No comments:
Post a Comment