কবিতা
সুখ নেই
অমরেশ দাস
আমাদের ঘর নেই, বাড়ি নেই!
জীবন্ত
রক্তে যুগ যুগান্তরের ফসিলের গন্ধ
বয়ে
আনে শতাব্দীর অন্ধকার।
এখানে
মৃত চোখ ভুলে গেছে স্বপ্ন দেখতে,
ব্যস্ত
পানকৌড়ির মতো স্রোতহীন জলে –
শুধু
ডুবে থাকা!
তোমাকে
একগুচ্ছ লাল গোলাপ দেবো বলে
নিজেকে
রক্তাক্ত করেছি সেদিন –
রাজপথে
দাঁড়িয়ে বলেছি ভালোবাসি,
যুদ্ধ
ভূমিতে দাঁড়িয়ে বলেছি ভালোবাসি,
কারাগারেও
দাঁড়িয়ে বলবো ভালোবাসি।
তুমি বিশ্বাস করো, সত্যি
বলছি –
আমি
ভালোবাসি; তাই এখনো বর্ষায় কদমফুল ফোটে,
আমার ছাদের কার্নিশে চড়ুই
পাখিটি নিরুদ্বেগ;
ইলাদের মাধবীলতা এখনো গন্ধ
ছড়ায়,
আজও
অন্ধ বাউল মনের মানুষের সন্ধানে যায় –
আমি ভালোবাসি, আমি
ভালোবাসি তাই ...
তোমাকে দেখবো বলে-
দোয়েলের মতো শিস দিতে দিতে
বেড়িয়ে
পরব আশ্বিনে।
কিংবা
শেষ ট্রামে –
তখন
রাজপথে আলোর সমুদ্র;
শহর
ঘুমিয়ে পড়বে মৃত কোনো দ্বীপের মতোই।
ব্যর্থ
পথিকের হৃদয়ের লবণ আমাকে পৌঁছে দেবে-
চির
অন্ধকার গলিতে – সেখানে ঘর নেই,
সেখানে
সুখ নেই –
যেখানে
তুমি নেই।
কেবল
মৃত-চোখ, মৃত-শহর, জাগ্রত রিপু;
আর
বদ্ধ লবণাক্ত হৃদয়।

No comments:
Post a Comment