গল্প 
সেপারেটেড হাজভেন্ড এন্ড ওয়াইফ
প্রদীপ কুমার দে
অবুঝ মন তার ইচ্ছাকে স্বীকৃতি দিয়েই শরীর হারিয়েছে।এখন আমি আমাকে ছাড়া। নদীর গতিমুখ জোর করে পাল্টে দিলে যা হয় আর কি? নিজস্বতা নেই। আছে ধার করা আবেগ, অথবা বলা যেতে পারে অন্যর বুলি নিজের কন্ঠে আওড়নো, ইনফ্যাক্ট ইঞ্জেকটেড ফ্রম আউটসাইড।   নাউ অনিকা ইজ কমপ্লিটলি হাইপোথিকেটেড।
সামনের কদম গাছের ছায়াপথেই আড়ষ্টতা মেখে চেয়ার দখল করে বসে ইকোনমি ট্যুরিং কোম্পানির চেয়ারম্যান অনিকা গাঙ্গুলী।
উল্টোদিকে টিম কন্ডাক্টর কাম সোল প্রোপাইটার সুরেশ আহমেদ। সম্পর্ক ব্যবসায়িক।
আরো একটা পরিচিতি ওদের বডি ওয়ালে সেঁটে গেছে, দে আর রিলেটেড এজ হাজবেন্ড এন্ড ওয়াউফ।
কোম্পানীর মিট দি পাবলিক ফুড উইথ গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে বাদুড়িয়া বাগান বাড়ি আলোড়িত।
আমি নিমন্ত্রিত। কারণ আমি একজন দামী সাপ্লায়ার। অন্য আর একটা পরিচয় আছে, না ছিল এককালে, এখন আর নেই। 
অনিকাকে বিয়ে করেছিলাম ভালোবেসেই। বিয়ের দুই বছরের মাথায় দামী চাকরি চলে যায়,  কোম্পানী ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার ফলে। দামী চাকরি করার ঝুঁকি অনেক। হারালে ফেরা কঠিন।
দারিদ্র্য ভালোবাসার শয়তান, মেরে দিল। অনিকা চাকরি খুঁজে নিল। বস সুরেশ আহমেদ। চাকরিতে ঝটপট উন্নতি চেয়ারম্যান বানিয়ে দিল। সহজ নয় যদিও তবে জেন্টলম্যান সুরেশের ভালো নজরেই পড়ে যায় অনিকা।
আমার কাছে ডিভোর্স চায়। আমি বাক্যবায় করেনি। চার বছরের মাথায় সেপারেশন কম্পলিটেড! 
আমি ব্যাবসা শুরু করি দিন বদলায়।  ইষ্টার্ন ইন্ডিয়ার একমাত্র কোল সাপ্লায়ার এজেন্সির তকমা জুটে যায়। সুরেশ আমার শরনাপন্ন হয়।
সেই থেকেই আমরা ব্যবসায়ী।
বিয়ের পাঁচবছর অতিক্রান্ত। আজ এই মিট দা ফেষ্টিবালে এসে জানতে পারি। সুরেশ আর অনিকার এই সম্পর্কটা!

No comments:
Post a Comment