Sunday, December 15, 2024
Monday, December 9, 2024
পাঠ প্রতিক্রিয়া
পদ্য
সম্পাদক: রিমি দে
Monday, December 2, 2024
মুজনাই
অনলাইন অগ্রহায়ণ সংখ্যা ১৪৩১
সম্পাদকের কথা
কবি বলেছেন, `অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে/ তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।`
একটি রাষ্ট্রের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশদ্বারে অন্য রাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা মাড়িয়ে প্রবেশ করছেন সকলে। এই দৃশ্য আমাদের চমকে দেয়নি শুধু, আহত ও ক্রুদ্ধ করেছে। আমরা ভাবতে পারিনি এই দৃশ্য আমাদের দেখতে হবে। আরও ব্যথিত হয়েছি সেই রাষ্ট্রের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কেউ এর বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করলেন না। অন্তত আমরা করতে দেখিনি। তারা সকলে ভুলে গেছেন, যে রাষ্ট্রের জাতীয় পতাকার এই অবমাননা তারা করছেন, সেই রাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়া গত শতকের সাতের দশকে তাদের স্বাধীনতা সম্ভব ছিল না। এর পাশাপাশি যেভাবে তারা হিংসার আশ্রয় নিয়ে মানবতাকে লঙ্ঘন করছেন, তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি। ধিক্কার জানাচ্ছি মৌলবাদী শক্তিকে।
মুজনাই
অনলাইন অগ্রহায়ণ সংখ্যা ১৪৩১
রেজিস্ট্রেশন নম্বর- S0008775 OF 2019-2020
হসপিটাল রোড
কোচবিহার
৭৩৬১০১
ইমেল- mujnaisahityopotrika@gmail.com
প্রকাশক- রীনা সাহা
সম্পাদনা, প্রচ্ছদ, অলংকরণ ও বিন্যাস- শৌভিক রায়
এই সংখ্যায় আছেন যাঁরা
গৌতমেন্দু নন্দী, পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রাবণী সেনগুপ্ত,
জয়তী ব্যানার্জী, জনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় সাহা,
সুদীপা ঘোষ, অনিতা নাগ, অলকানন্দা দে,
ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য, পূর্বা দাস, তাসনিম জারিন,
বিপ্লব তালুকদার, বটু কৃষ্ণ হালদার, শুভেন্দু নন্দী,
অঙ্কিতা সেন, সূর্য্যদীপ্তা সরকার, মিষ্টু সরকার,
আজিজুল সেখ, অশোক কুমার ঠাকুর, পরাগ মিত্র,
প্রাণজি বসাক, দেবর্ষি সরকার, উৎপলেন্দু পাল,
প্রাণেশ পাল, শঙ্খনাদ আচার্য, অমিতাভ চক্রবর্ত্তী,
চিত্রা পাল, মাথুর দাস, বেলা দে,
তন্ময় ধর, ফিরোজ আখতার, জুলি আখতারী,
পক্ষিরাজ, আশীষ কুমার বিশ্বাস, পিন্টু কর্মকার,
রবিনা সরকার, অর্পিতা গুহ মজুমদার, সঞ্জয় পাঠক,
শ্রাবণী সেন, রীতা মোদক, সৈকত দাম,
মহঃ সানোয়ার, কবিতা বণিক, প্রদীপ কুমার দে,
রীনা মজুমদার, সুনন্দ মন্ডল, শ্রুতি দত্ত রায়,
প্রতিভা পাল, কল্যানী মন্ডল, আকাশলীনা ঢোল,
পাপু মজুমদার, বাবুল মল্লিক, শঙ্কর জানা,
তিথি পাল সরকার, চিত্রাক্ষী রায়, হৃদান সরকার, অলিপ্রভা পাটোয়ারি
মুজনাই
অনলাইন অগ্রহায়ণ সংখ্যা ১৪৩১
এক একটা আস্ত "বিচার" গিলে নিচ্ছে এজলাস.... আপনার পোষমানা ট্রাম্প কার্ড। আমি দেখছি, মানুষ দেখছে , অজগররাও দেখছে।
যাঁর সংগীত সাগরের সলিলে আজও অবগাহন করি প্রাক্ জন্মশতবর্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ --- - - গৌতমেন্দু নন্দী
হ্যাঁ, তিনি "আলোর পথযাত্রী", আমাদের এক বিষ্ময়, গীতিকার,সুরকার, সংগীতজ্ঞ সলিল চৌধুরী।
ধর্ম পুজা
তথাগত বুদ্ধ
জয়তী ব্যানার্জী
ঘন্টাকর্ণ
জনা বন্দ্যোপাধ্যায়
স্নিগ্ধ বরফঘেরা পাহাড়ী এলাকা খিরসুতে ঘন্টাকর্ণের মন্দির লক্ষিত হয় l বদ্রীনাথ মন্দিরের প্রবেশপথের ডানপার্শ্বেও দ্বাররক্ষীরূপে ঘন্টাকর্ণের মূর্তিটি সকল দর্শনার্থীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে l "ঘন্টাকর্ণ"কে নিয়ে বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীগুলো অনেকেরই অজানা l মহাভারতের "হরিবংশম"এর বৈশ্য পর্বের একাদশ অধ্যায়ে "ঘন্টকর্ণ" এক পিশাচরূপে বর্ণিত,কৃষ্ণের কৈলাস যাত্রার পথে ঘন্টাকর্ণের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়,ঘন্টাকর্ণ কৃষ্ণের প্রকৃত পরিচয় জানতেননা,ঘন্টাকর্ণ কৃষ্ণের কাছে নিজেকে কুবেরের অনুচর ও শিবের ভক্ত বলে পরিচয় দেন ,শিবভক্ত ঘন্টাকর্ণ নিজের দুই কানে দুটি ঘন্টা পরতেন,যাতে বিষ্ণুর নাম তাঁর কানে প্রবেশ না করে l
ঘন্টাকর্ণ শিবকে তাঁর ভক্তি দ্বারা তুষ্ট করে মোক্ষ প্রার্থনা করেছিলেন, শিব বলেছিলেন বিষ্ণুই একমাত্র মোক্ষদান করতে পারেন l এরপর ঘন্টাকর্ণ বিষ্ণুর উপাসনা আরম্ভ করেন, কৃষ্ণ নিজের স্বরূপ প্রকাশ করেন,ঘন্টাকর্ণ বিষ্ণুর দর্শন লাভ করেন এবং নৃত্যে রত হন,কৃষ্ণের প্রভাবে ঘন্টাকর্ণর পিশাচ শরীরের দৈবশরীরে উত্তরণ ঘটে l
নীলাচল পর্বতে অবস্থিত কোন কোন মন্দির ভৈরব ঘন্টাকর্ণর নাম ও কাহিনীর সঙ্গে যুক্ত l নেপালের কাঠমান্ডু ভ্যালির একটি বিশেষ সম্প্রদায় তিনদিনের একটি উৎসব পালন করে যা "গাথেমঙ্গল "নামে খ্যাত,সেখানে এটাই বিশ্বাস করা হয় যে,ঘন্টাকর্ণ একজন দানব এবং এই উৎসবে দানবের মৃত্যু সূচিত হয়,,অশুভ শক্তির নাশই এই উৎসবের মুখ্য তাৎপর্য্য l
তবে হরি রাম যোশীর মতো কিছু বিদগ্ধ পন্ডিতের মতে "ঘন্টাকর্ণ" হলেন কুমার কার্তিক,দেবতারা কার্তিককে যেসকল উপহার প্রদান করেছিলেন,সেগুলোর মধ্যে কার্তিক দুটি ঘণ্টা পছন্দ করে কর্ণে পরেছিলেন বলে তাঁর নাম হয়েছিল "ঘন্টাকর্ণ" l এভাবে নেপালের সাধারণ মানুষের কাছে ঘন্টাকর্ণ দানব ও বিদগ্ধ পন্ডিতদের কাছে "স্কন্দ" রূপে পরিচিত l
শৈব পুরাণ অনুযায়ী শিবের চৌষট্টিটি ভৈরবরূপের অন্যতম একটি হল "ঘন্টাকর্ণ" l
কোনার্কের সূর্য মন্দিরের দুদিকেই দুটি ঘন্টাকর্ণ ভৈরবের মূর্তি স্থাপিত আছে,যাঁরা ছোট্ট নৌকায় নৃত্যরত l এর তাৎপর্য্য-ওই নৌকাটি হল জগৎরূপ নৌকা,ইহলোক থেকে পরলোকের যাত্রাপথে মাঝিরূপে "ঘন্টাকর্ণ "খোদিত হয়েছে l উত্তর থেকে দক্ষিণ সমগ্র ভারতে এরকম বিবিধ তাৎপর্য্যব্যঞ্জক পৌরাণিক কাহিনী "ঘন্টাকর্ণ"-র নামের সঙ্গে যুক্ত l
পরবর্তীকালে গ্রামবাংলায় ঘণ্টাকর্ণ ঘেঁটু ঠাকুর নামে খ্যাত হন। তিনি সূর্য ও ধর্মঠাকুরের লৌকিক রূপ। কারণ সূর্য ও ধর্মঠাকুর দুজনেই কুষ্ঠ ও নানারকম চর্মরোগ থেকে মুক্তি দেন। চর্মদেবতা ঘেঁটুর নাম ও আচরণ অদ্ভুত। ব্যবহৃত হওয়া আধভাঙা হাঁড়ি উল্টো করে রাখা হয়। এটি আসন হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এর ওপর পাঁচদলা গোবর দিয়ে করা হয় ঘেঁটু দেবতার মুখ। চোখ তৈরী করা হয় দুটি কড়ি দিয়ে। কপালে সিঁদুরের তিলক আঁকা হয়। পাঁচ পাক সাদা সুতো দিয়ে ঘেঁটু ঠাকুরদের বন্ধনের ব্যবস্থা করা হয়। হাঁড়ির ওপর ঘেঁটু ফুল রেখে পুজো করা হয়। ফাল্গুন মাসের শেষ দিন এই পুজো হয়।
এছাড়া অন্য একটি মত অনুসারে একাদশ শতাব্দীতে বাঁকুড়া পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে বিশেষ করে দ্বারকেশ্বর নদীর তীরে গড়ে ওঠা সমস্ত মন্দির মূলত: জৈন মন্দির। সে সময় জৈন ধর্ম বিস্তার লাভ করায় শৈব বিরোধিতা শুরু হয়। বিষ্ণুপুর ষন্ডেশ্বর মন্দির, পুরুলিয়ার দেউলঘাটার প্রাচীন মন্দিরে জৈন স্থাপত্য লক্ষিত হয়। ঘন্টাকর্ণ শৈব উপাসক ছিলেন। তিনি শিব নিন্দা শুনবেন না বলে কানে ঘণ্টা ঝুলিয়ে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ভিক্ষা করতেন। ধারণা করা হয় শৈব ধর্মের পাশাপাশি জৈন ধর্ম গড়ে ওঠায় জৈন ধর্মের ভিক্ষা আচারের সাদৃশ্য লক্ষিত হয়। ঘেঁটু হলেন ভিখিরি ঘন্টাকর্ণর লৌকিক রূপ। ফাল্গুন মাসের বিকেল বেলা বাংলার গ্রামে শহরে বাচ্চারা ছোট্ট ঝুড়িতে ঘেঁটু নিয়ে ভিক্ষা করতে বেরোয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্পে মানবতার প্রভাব
হলুদ চিঠি
সুদীপা ঘোষ
পুরোনো সুবাস
অনিতা নাগ