মুজনাই
অনলাইন বৈশাখ সংখ্যা ১৪৩১
ক্রোড়পত্র
স্পর্শ
অলকানন্দা দে
কেঁদে ওঠে ভূমিষ্ঠটি যে বর্ণের আঁচল ধরে
ঘুমপাড়ানি স্পর্শ যাকে নিশ্চিন্তের অমোঘ স্বরে
শান্ত করে অচেনাতে রাত্রিদিনের যার সাধনা
নাড়ি ছেঁড়া গোলাপ আমি, মা যে আমার জন্মচেনা।
মা থাকলে চার দেওয়ালে পাল তুলে দেয় গানের কলি
দুষ্টু হাওয়া দুয়ার ডিঙোয় স্বস্তি ওড়ে খামখেয়ালী।
এই ধরণীর শ্রেষ্ঠ ফ্যাশান আটপৌরে সিঁদুরে-সাজ
ব্যস্ততম রান্নাঘরে মায়াপ্লাবন চুরির আওয়াজ।
বিশ্বসেরা সেই মিউজিক দুপুর করে আলসেভরা
মেলছে শাড়ি উঠোন কোণে এলো-খোঁপায় গামছা মোড়া।
বাড়া ভাতের অমৃতটা তৃপ্তিটাকে উথলে তোলে
টের পেয়ে যায় না বলাটাও কে জানে কোন ম্যাজিক ছলে!
হাত মুছে নিই মুখ মুছে নিই, এই আঁচলের স্বত্ব আমার
তিরস্কারের আড়ালে যার প্রশ্রয়টা দুর্বলতার!
দুঃখে আছি সুখে আছি সুরে হোক বা বেসুর জীবন
মা থাকলে শিশির ফোঁটাও মরুতীরে জলের প্লাবন।
এক কথাতে যায় কি বলা মা বলতে কি যে বুঝি
উচ্চারণে বাঁধ মানে না চোখের কোণে অশ্রু কুচি।
খুব অল্পে বলি যদি বিপুল দ্বিধায় দুললে মাটি
মা আদতে সামলে নেওয়া সব তিমিরের শুকতারাটি!
No comments:
Post a Comment