Monday, October 5, 2020


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 দেবী পক্ষ 

                          শ্যামলী সেনগুপ্ত 

তুমি দেবী। অসুর সম্প্রদায়ের অহং সইতে পারোনি।বলেই ফেললে, 'গর্জ গর্জ ক্ষণং মূঢ়,মধুম্ যাবত্ পিবাম্যহম্।' আমরা জন্ম ইস্তক জেনে এলাম, দর্প চূর্ণ করতে দেবী দুর্গা অসুর বধ করলেন । মা গো, তোমার হাতে অস্ত্রসমূহ তুলে দিয়ে অন্ধকার, পাপ,অন্যায় এইসব নিকৃষ্টতম শব্দ তোমার কর্ণকুহরের কাছে আওড়াতে  আওড়াতে অথবা দেবদেবীকৃত অন্যায়ের বিরোধিতা করেছে বলে একটা সমাজকে অশুভ বলে দেগে দেওয়া হয়নি তো!আর সেই সমাজের নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসা ব্যক্তিকে মহিষ-মুখের আড়ালে রেখে অশুভ-শুভ,অন্ধকার-আলোক এইসব পরস্পর বিপরীত শব্দসমূহের একটা দারুণ ব্যাকরণ তৈরি করা হয়েছে কি না কে জানে!কেন এমন মনে হয় বলোতো?ঐ যে অশুভ,অন্যায়, অন্ধকার, অহেতুক অহংকার সব শব্দই তো আকাশে বাতাসে মানুষের মনে দিব্যি বিচরণ করছে গো! শুধু মাত্র দলিত হওয়ার অপরাধে এত নৃশংসতা!বিতর্কিত কাঠামো ভাঙার পূর্ব পরিকল্পনা ছিলো না বলে বত্রিশটি 
Syncerus cafferকে খোঁয়াড় থেকে ছেড়ে দেওয়া  হলো ! দলিত অসুর সমাজের প্রতি অন্যায় হয়েছে বলেই তোমার পায়ের তলায় দাঁড়িয়ে তোমার দিকে পলক না ফেলে তাকিয়ে থাকা অবস্থায় দু'চারটে ফুল পাওয়ার ব্যবস্থাটি পাকাপোক্ত করে দেওয়া  হলো।যে কিশোরী নারকীয় যন্ত্রণা সহ্য করতে করতে  জীবন সম্পূর্ণ করতে পারলো না,তাকে মনে রাখবে তো পরিবার , সরকারী সহায়তার জোয়ারে ভাসতে ভাসতে! আমরা মানুষরা কিন্তু ভিতরে ভিতরে একটা সীমারেখা পোষণ করি । এই দেখ না দলিত অকাদেমি নিয়ে কেমন ফেসবুকীয় উথালপাথাল! দীর্ঘ নাসা,দীর্ঘ দেহী,চওড়া ললাটে আধখানা সূর্য অথবা পূর্ণ চন্দ্র শিল্পীত করে ফেলার অধিকার জন্মে গেলেই কেল্লা ফতেহ্ !
      যাকগে যাকগে, এসব অর্থহীন ভাবনায় না ডুবে বরং মজন্তালী সরকারের মতো ঢেউ গুণি।কাজে দেবে।
      এস মা,অসুরদলনী,এস।আবার। 
 সংবৎসরব্যতীতে তু পুনরাগমনায় চ

No comments:

Post a Comment